জনগণের কাছে ক্ষমা চাইলেন হুইপ স্বপন

সরকার, আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়র, ইউপি চেয়ারম্যান বা নেতাকর্মীদের আচরণগত কারণে কেউ কোনো কষ্ট পেয়ে থাকলে তাদের পক্ষ থেকে জনগণের কাছে নিঃশর্তভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।

হুইপ স্বপন বলেন নিজ দলের নেতাকর্মীদের ভুল অথবা আচরণগত কারণে কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে জনগণের কাছে নিঃশর্তভাবে ক্ষমা চেয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, আমরা মানুষ, আমরা বাঙালি। বাঙালির চরিত্রে যত গুণাবলি আছে সেগুলো আমাদেরও আছে, বাঙালির যত দোষ আছে তাও আমাদের আছে।

তিনি বলেন, আমরা ফেরেশতাও না, শয়তানও না। ফেরেশতা ভুল করেও মন্দ কাজ করতে পারেন না, শয়তান ভুল করেও ভালো কিছু করতে পারে না। মানুষের মাত্রই ভুল হয়। আমরাও ভুলের ঊর্ধে নয়।

বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মতো ঐতিহ্যবাহী-সংগ্রামী দলেও কিছু মন্দ মানুষ আছেন। দু-চারজনের কারণে আমাদের শাস্তি দেবেন না। আমাদের ওপর অভিমান করলে দেশের প্রতি শাস্তি প্রদান করা হবে। আওয়ামী লীগের আন্তরিকতা ও একাগ্রতার কোনো ঘাটতি নেই। দলগত হিসেবে আওয়ামী লীগ বাঙালির সবচেয়ে আপন রাজনৈতিক দল। বাংলাদেশ যে স্বপ্ন দেখে, আওয়ামী লীগ সেই স্বপ্ন সম্ভব করে।

তিনি আরও বলেন, ১৯৪৫ সালে সমাপ্ত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সমগ্র পৃথিবীর মানব জাতির ওপর সম্মিলিতভাবে বর্তমানের মতো কোনো অভিশাপ নেমে আসেনি। করোনার চরম অভিঘাত এবং বর্তমান ইউক্রেন- রাশিয়া যুদ্ধ, স্যাংশন-পাল্টা স্যাংশনের কারণে সমগ্র মানব জাতির ওপর মহাসংকট নেমে এসেছে।

বাংলাদেশও এ সংকটে আক্রান্ত। বর্তমান সংকট মোকাবিলার জন্য শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। সুতরাং দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ করছি, আমাদের জনপ্রতিনিধি ও নেতাকর্মীদের ভুলত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখে আগামী নির্বাচনে অনুগ্রহপূর্বক নৌকা মার্কায় ভোট দিন।

দীর্ঘ ১৯ বছর পর সোনাইমুড়ি মডেল উচ্চবিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের উদ্বোধন করেন নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আনম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম। উপজেলা সভাপতি আলহাজ্ব মমিনুল ইসলম বাকেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রথম অধিবেশনে বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুর রহমান বেলায়েত, মোরশেদ আলম, এম এইচ ইব্রাহিম, শিহাব উদ্দিন শাহীন, সহিদুল্লাহ খান সোহেল, খন্দকার রুহুল আমিন, আফম বাবুল বাবু, নিজাম উদ্দিন সুজন।

সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে সাবেক সভাপতি মমিনুল ইসলাম বাকের সভাপতি এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক আফম বাবুল বাবু পুনরায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।