
জালাল উদ্দিন আহমেদ
বাঙালীর ভাষা ও জাতীয়তা
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৮ জুলাই,সোমবার,২০২৫ | আপডেট: ০৭:৫৪ এএম, ২৮ জুলাই,সোমবার,২০২৫

বেশ কিছুদিন আগে মনে হয় একুশে ফেব্রুয়ারীরকে হেডলাইন করে একটি আর্টিক্যাল লিখেছিলাম। সেখানে ভাষাকে সামনে রেখে যেকোন জাতিস্বত্ত্বার জাতীয়তাবাদ বা বোধের অস্মিতাকে সমুন্নত করার কথা বলেছিলাম। এছাড়া আরো কয়েকটি এধরনের আর্টিক্যালে বাঙালী জাতিস্বত্ত্বার অস্মিতা নিয়েও বোধ হয় লিখেছিলাম। আমার ওইসব প্রবন্ধগুলির প্রতিটিতেই ভাষাভিত্তিক লক্ষ্মন রেখা তৈরী হয়েই যেকোন জাতিস্বত্ত্বার অস্মিতা প্রস্ফুটিত হওয়ার কথা বলেছি বলে মনে পড়ে। আজকাল মিডিয়ার ব্যাপকতায় আমরা ঘরে বসেই এসব নিয়ে ফিসফাস শুনতে পাই। বিশ্বায়নের এই যুগে এসব নিয়ে প্রত্যক্ষ প্রমানও দেখতে পাই। তাছাড়া নিজ মাটিতে থেকে নিজের মুখের ভাষার উপর যখন শাসকের চাপিয়ে দেয়া ভাষায় চলাফেরার প্রচ্ছন্ন হুমকি বা উপদেশ আসে তখন কোথাও না জানি একটা আপন জাতিস্বত্ত্বার আত্মশ্লাঘার তাগিদ অনুভূত হয়। তখন সেখানে নেতৃত্ব আপনা আপনিই গড়ে উঠে। মাটি থেকে উঠে আসা মানুষের আকুতি তখন মায়ের মুখের ভাষায় কথা বলতে চায়। মা মাটি ও মানুষ তখন এক স্বত্ত্বায় একাত্ম হয়ে পড়ে।
একেই বলে নাড়ির টান। এই নাড়ির টানের বিষয়টি এখনকার দিনে বেশ জোরেশোরে উচ্চারণ করতে দেখা যাচ্ছে। ব্যক্তি আকুতি থেকেই সৃষ্টি হয় সামষ্টিক আকুতির জন্ম। নিজের মত চলা, নিজের মত বলা, আপন স্বত্ত্বায় চলাফেরা করা, আপন স্বত্ত্বায় বিকশিত হওয়া - এমন কি আপন এর আপনত্বকে মুক্ত নিশ্বাসে সার্বজনীন করে তার মহত্ত্ব বিশ্ব পরিমন্ডলে ছড়িয়ে দেয়াই হচ্ছে জাতীয়তার সামষ্টিক আচরনের মূল কথা। আজ আমরা আঠার কোটি বাঙালী স্বাধীন স্বত্ত্বায় নিজেদেরকে বাংলাদেশী পরিচয়ে গর্ববোধ করি। পৃথিবীতে সবমিলিয়ে না হলেও বত্রিশ কোটি বাঙালীর বাস। এরা সবাই কিন্তু বাংলার সন্তান। তাইতো বৃহত্তর চিন্তায় আমরা সবাই বাঙালী। কিন্তু ঐ যে নাড়ির টান! মা মাটি ও মানুষ। বাংলা মায়ের বাঙালী সন্তানেরা নিজেদের অখন্ড মাটি ও প্রকৃতি এবং অভিন্ন সাহিত্য সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য থাকা সত্বেও আজ তারা খন্ডিত।
কিন্তু কেন এমন হোল। এসবের ব্যবচ্ছেদ বহুজনে ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে বয়ান করেছেন। অর্বাচীনের মতে, ক্ষমতা প্রাপ্তির আকুলতা ও কতিপয় ধর্মীয় অন্ধভক্তের একগুঁয়েমী, সর্বোপরি শাসক চক্রের সান্নিধ্যের সুবিধাভোগে বাংলাকে ভেঙ্গে দু'টুকরো করে বাঙালী জাতিস্বত্ত্বাকে দুর্বল করাটাই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য। তাছাড়া ভারতবর্ষের বিখ্যাত কলকাতা শহরটির কিংবা নবাব মোঘলদের স্থাপত্য শিল্প হাত ছাড়া হওয়ার আশংকায় তারা তড়িঘড়ি করে র্যাডক্লিপ সাহেবকে দিয়ে লক্ষ্মন রেখাটি টেনে বাংলাতে এক অসম বিভাজনের সমাপ্তি টানে। সে সময় কলকাতা ছিল ভারতের সবচেয়ে বনেদি শহর। শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি ও কলকাতা বন্দরের বাণিজ্যিক ভ্যালু তখনকার দিনে অতীব গুরুত্বপুর্ণ ছিল। আর নবাব মোঘলদের স্থাপত্য আগলে রেখে ভারত যে তার রাজস্বের একটা ভাল অংশ উপার্জন করবে সেটা তারা পঁচাত্তর বছর আগেই বুঝতে পেরেছিল। প্রশ্ন আসতে পারে এই তারা কারা? বাঙালী হয়তো এতদিনে এসব বুঝে গেছে। কতিপয় হিন্দু বাঙালীর অতি উচ্চাভিলাষী রাজা জমিদারদের আভিজাত্যের অহমিকা এবং পরজীবি ব্রাহ্মন্য সমাজের মাথাওয়ালা মানুষজনের সম্মিলনে সৃষ্টি হয়েছিল এক মেকী হিন্দুত্ববাদের ধর্মীয় ঢেউ। এবং এই ঢেউএর আঁচ হিন্দি বলয়ের ভবিষ্যত ভারত শাসকদের প্রলুব্ধ করেছিল। ফলে দুয়ে দুয়ে চার না হয়ে দুয়ে দুয়ে এক মোহনায় মিলে হিন্দুয়ানীর জয়গানে ধর্ম স্বত্ত্বের ফর্মুলায় বাংলাকেও হিন্দু মুসলমান হিসাবে দু’ভাগে বিভক্ত করা হোল। কিন্তু কলকাতায় রাজ করা হিন্দু স্বত্ত্বার রাজা মহারাজা জমিদাররা একথা একবারও ভাবলেন না যে তাদের রাজত্বের মূল ভিত্তি হচ্ছে মুসলমান গরিষ্ট পুর্ব বাংলা। তাদের সহায় সম্পদ সবই তো ওই মুসলিম অধ্যুষিত সোনার বাংলায় অবস্থিত। এভাবেই ভাষা সংস্কৃতির একই মাটির সন্তানেরা শুধুমাত্র ধর্মকে হাতিয়ার করে নিজেরাই নিজেদেরকে বিচ্ছিন্ন করলো। ফলে ধর্মীয় জাত্যাভিমানে কলুষিত বাঙালী নিজ মাটিতেই শরণার্থীর তকমা নিয়ে গৃহ ও সম্পদহারা হোল।
এদিকে অনগ্রসর পুর্ব বাংলার মুসলিম সম্প্রদায় বাঙালী হয়ে বেঁচে থেকে নিজের অস্তিত্ত্ব বিনির্মানের শপথ নেয়। নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা, বিশেষ করে মুসলিম হয়ে বেঁচে থাকার তাগিদটাই তখন মুখ্য ছিল। সাম্প্রদায়িকতার এই দোলাচালে হিন্দুয়ানী বা ইসলামীকরন করার সুবিধাভোগে ভারতবর্ষের হতদরিদ্র বিহার উড়িষ্যা ও ইউপির ধর্ম ভেদের ভিন ভাষীরা বাংলার উভয় পাশে ঠাঁই নিল। ধর্ম ভেদের এই গ্যাপ পুরনে পুর্ব বাংলাতেই ভিনভাষী মুসলমানদের একটি মোটা অংশ বিহার উড়িষ্যা ও ইউপি থেকে শরণার্থী হিসাবে এসে সরকারীভাবে তারা প্রতিষ্ঠা পেল। একটি অসম জাতিস্বত্ত্বা সৃষ্টি করে পুর্ব বাংলায় যে পাকিস্তানী জাতিস্বত্ত্বার মেরুকরন করার চেষ্টা হোল সেটা কয়েক বছরের মধ্যেই বাঙালী অনুধাবন করেছিল। আস্তেধীরে তারা তাদের আপন অস্তিত্ত্বের ভিত্তি বিনির্মানে ধর্ম ও গোষ্ঠী কেন্দ্রিকতার উর্ধে উঠে বাঙালীয়ানার সামগ্রিকতায় একাট্টা হোল। ধর্ম নিয়ে জাতীয়তা সৃষ্টি করে ভিনভাষী শাসক শ্রেণীর ভাষা আগ্রাসন (অর্থাৎ শাসকের ভাষাকে রাজভাষা হিসাবে সমুন্নত করা), পাকিস্তানী হয়ে আত্মপ্রকাশ করা বাঙালী প্রত্যাখান করলো। এভাবেই ভাষা সূত্রের সিঁড়িতে পা রেখে পুর্ব বাংলার বাঙালী আপন অস্মিতার জয়গানে কামিয়াব হোল। সেক্ষেত্রে কলকাতা কেন্দ্রিক উচ্চ মার্গের বাঙালী বাবুদের নাক সিটকানো অবহেলিত পুর্ব বাংলার আনপাড় ম্লেচ্ছ বাঙালীরা নিজেদের অস্তিত্ব বিনির্মানে মাত্র চব্বিশ বছরেই তাদের পায়ের মাটি শক্ত করে নিল।
এ এক পিলে চমকানো খবরই বটে। শিক্ষা দীক্ষা ও সাহিত্য সংস্কৃতিতে নাক উঁচু বাঙালীরা (যারা শুধুমাত্র ধর্মাশ্রয়ের আপন স্বত্ত্বাকেই বাঙালী বলে অহমিকা দেখায়, কিন্তু বাস্তবে ভারত নামের অলিখিত হিন্দু রাষ্ট্রের আঁচলে একীভূত হয়ে নিজেদের গলায় বা তিলকে ভারতীয় জাতীয়তায় আত্মসমর্পন করে) নিজেদের কলকাতা প্রাপ্তির আপতকালীন তৃপ্তি এবং গ্রেটার হিন্দু ভারতের জৌলুষতায় ক্ষণকালের জন্য হলেও নিজেদের বাঙালী অস্মিতার সামগ্রিকতার কথা ভুলে গিয়েছিল। কোন এক ঋষি উপাধি পাওয়া ইংরেজ শাসনের বাঙালী ডেপুটির উচ্চারনের মধ্য দিয়েই ধর্মাশ্রয়ের বিভাজনের কথগুলি সেই ঊনবিংশের প্রথম দিক থেকেই উচ্চারিত হওয়া শুরু করে। বলা যেতে পারে ধর্মভেদের এক ধরনের প্ররোচনা বা উস্কানীর বীজ বপন তার হাত দিয়েই শুরু হয়। তিনি হিন্দু ধর্মকে সামনে রেখে হিন্দু রাষ্ট্র বিনির্মানের প্রথম ভারতীয় নাগরিক। কারন বারো থেকে আঠার এই পাঁচ ছয়'শ বছর ধরে ভারবর্ষে বিদেশী শাসনে যে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় কাঠামো শক্ত ভিতের উপর প্রতিষ্ঠিত হয়, এটা সম্ভব হয়েছে কেবলমাত্র ইসলামী অনুশাসনের সাম্য ও সৌহার্দের ভিত্তিমুলের উপর দাঁড় করিয়ে। সেখানে মুসলিম শাসনের প্রাধন্য থাকলেও ইসলামের সাম্য ও সংহতির অনুশীলনে সেই ভারতে বহু জাতি, ভাষাভাষি এবং ধর্ম স্বত্বার মানুষ শান্তি ও সৌহার্দের মধ্যে পরম সুখ ও শান্তিতে বসবাস করেছে। কিন্তু অষ্টাদশ শতাব্দীতে বৃটিশ শাসনের অধীনে এসে এই ভারতে ডিভাইড এন্ড রুলের অম্ল মধুর হিসাব নিকাশে ধর্মীয় জাতিস্বত্ত্বার উদ্ভব ঘটনা হয়। হিংসা বিদ্বেষ ও ফান্ডামেন্টালিজমের সূত্রপাত ঘটিয়ে তারাই ভারত নামের এই শান্তি ও সৌহার্দের পবিত্র মাটিতে ধর্মাশ্রয়ী জাতিস্বত্ত্বার বীজ বপন করে। আর এতে ক্যাটালিষ্ট হিসাবে সঞ্চালকের ভূমিকায় আবির্ভূত হন ইংরেজী শিক্ষার সুবিধা পাওয়া ওইসব ডেপুটি বা কেরানী বাবুরা।
যা হওয়ার তা তো হয়েই গেছে। ওসব পুরনো কথা। যতই ঘাঁটবেন, পচা গন্ধের বিষবাষ্পে তা ততই পুঁতিগন্ধময় হবে। পরিপাশকে কলুষিত করবে। পশ্চিম পাকিস্তানের উর্দু বলয়ের চাপিয়ে দেয়া ভাষার বোঝা এবং শাসন ক্ষমতার একছত্র ছত্রপতি হওয়ার বাসনায় পাঞ্জাবী উর্দুওয়ালারা যেভাবে গত শতাব্দীর সাতচল্লিশের পর পুর্ববাংলায় তাঁবু খাটিয়েছিল তা কি সফল হয়েছিল! পারে নি। কারন সেখানে একটি অখন্ড জাতিস্বত্ত্বা তাদের মুখের ভাষাকে হাতিয়ার করে নিজেদের বাঙালী জাতীয়তাবাদের আত্মশ্লাঘায় একাট্টা হয়ে মাথা তুলেছিল এবং তারা সফল হয়েছিল। ইদানীং হিন্দি আধিপত্যের ভারত শাসনেও সেরকম একটি চিত্রপট তৈরী হচ্ছে বলে মনে করার যথেষ্ট কারন রয়েছে। সেক্যুলার ভারত বর্ষের সাম্প্রতিক সময়ের ধর্মাশ্রয়ের রাজনীতি ভারতের সেক্যুলার চরিত্রকে বিনষ্ট করার হোলিখেলায় নেমেছে। বর্তমানে সেখানে হিন্দুত্ববাদী শাসনের উদ্ভব হয়েছে। ধর্মাশ্রয়ী মৌলবাদী শাসনের দেশ এখন ভারত। হিন্দি বলয়ের শাসকদের এখন খায়েস চেপেছে দেশকে এক ধর্ম, এক ভাষীর এক অখন্ড হিন্দুস্তান বানাতে হবে। ফলে প্রথম চোটে তারা উর্বর মস্তিষ্কের বাংলাকে দিয়েই শুরু করেছে তাদের হিন্দুস্তান বানানোর প্রথম দফার কাজ। বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশী। এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে তারা এখন বাঙালী খেদাও অভিযানে তৎপর হয়ে উঠেছে। এমনকি বাংলার মাটিতেও (খন্ডিত পশ্চিম বাংলা) হিন্দি ওয়ালাদের আধিক্য বাড়িয়ে সেখানে ভাষা বৈষম্যের বোঝা চাপানোর অশুভ পাঁয়তারা করছে। ফলে বাঙালী অস্মিতার সুপ্ত আত্মশ্লাঘায় সেখানকার বাঙালীরা সোচ্চার হয়ে উঠছেন বলেই মনে হয়। ১৯৫২এর পুর্ব বাংলার ভাষা আন্দোলনের রেপ্লিকা নয়তো এটা! ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি প্রবাদটি কি আবারো দরজায় কড়া নাড়ছে!
ধর্ম স্বত্ত্বাকে সামনে রেখে জাতীয়তার বিন্যাস ঘটাতে চায় তারা। হিন্দু হিন্দি এবং হিন্দুস্তানই হচ্ছে বর্তমান ভারত শাসক গোষ্ঠীর ধ্যান ও জ্ঞান। বাঙালকে যেভাবে ভারতীয় কলোনিয়াল বিন্যাসের রাজ্য বানিয়ে তাদের মুখের ভাষা কেড়ে নেয়ার নীলনক্সা তৈরী করে যে কায়দায় তারা এগিয়ে চলেছেন, তাতে করে কবে না কেউড়াতলার মহাশ্মসান থেকে শ্যামা প্রসাদ বাবুদের আত্মা চিৎকার করে জয় বাংলা শ্লোগানে শোরগোল উঠান - সেটাই এখন দেখার বিষয়। অবশ্য মাটির উপরে শোরগোল যে উঠেনি তা কিন্তু বলা যাবে না। ডমিনিয়ন ভারতে সবাই ভারতীয় জাতীয়তাবাদ ও বোধে অঙ্গীকারাবদ্ধ। সেক্ষেত্রে ইদানীং সময়ে হিন্দি বলয়ের দিল্লি শাসকেরা যেভাবে মাস্টার প্লান তৈরী করে ভারতের আপার হ্যান্ডে থাকা রাজ্যগুলিতে পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে কাজ করা ভারতীয় বাঙালী শ্রমিকদের বাংলায় কথা বলার অজুহাতে বাংলাদেশী হিসাবে চিহ্নিত করে রাজনীতি করছেন সেটা মোটেই ভাল লক্ষ্মন নয়। ক্ষেত্র বিশেষে তাদেরকে বাংলাদেশী ট্যাগ লাগিয়ে জোরপূর্বক বাংলাদেশে পুশব্যাক করার ঘটনাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এতে করে হিন্দু জাতীয়তাবাদে বিলীন হয়ে ভারতীয় তকমায় পরিতৃপ্ত বাঙালী অস্মিতায় এক ধরনের হতাশা পরিলক্ষিত হচ্ছে। হাজার হোক নাড়ির টান বলে কথা। প্রতিক্রিয়া যে হচ্ছে না তা কিন্তু বলা যাবে না। রাজ্য শাসক দল ইতোমধ্যেই জয় বাংলাকে তাদের দলীয় শ্লোগানে পরিণত করেছেন। রবি ঠাকুরের বাংলার মাটি বাংলার জল কে “রাজ্য সংগীত” এবং পহেলা বৈশাখকে “বাংলা দিবস” হিসাবে ঘোষনা করেছেন তারা। বাঙালীর আস্পর্ধা বলে কথা! শুধু মানবতাকর্মী ও লেখক মানিক ফকির কেন, আজকাল রাজ্যের প্রধান শাসকের মুখেও তো বাঙালী জাতীয়তাবাদের প্রথম সিঁড়ি অর্থাৎ মুখের ভাষা বাংলাকে নিয়েই হতাশা ব্যক্ত করতে দেখা যায়।

বাঙালীর ভাষা ও জাতীয়তা

সেনাপ্রধানের ভূয়সী প্রশংসায় সারজিস আলম

গাজায় আন্তর্জাতিক আইনসহ সবই লঙ্ঘন করছে ইসরাইল: অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী

পশ্চিমবঙ্গে ‘বাংলা হিন্দু হোমল্যান্ড’ দাবি : কথিত বাংলাদেশিমুক্ত রাজ্য গড়ার ডাক শুভেন্দু অধিকারী

আল-জাজিরার সাংবাদিকের কড়া সমালোচনা করলেন ছাত্র ইউনিয়ন নেত্রী

আগে ১ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হতো, এখন দিতে হচ্ছে ৫ লাখ : মির্জা ফখরুল

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে ফ্রান্স: ম্যাখোঁ

মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: এবার মৃত্যুর মিছিলে যোগ হলো জারিফ

আমরা দুইজন মিলে চায়ের দোকান দিবো, ভয় নেই শিখা : মনিরা মিঠু

কিসের স্বাধীন দেশ, আমার বাবাকে প্রকাশ্যে হত্যা করে মিছিল করতেছে

‘পঁচাত্তরের পর আম্মা আওয়ামী লীগের হাল ধরেছিলেন, এখন অনেকে আমাদের ডাকছে’

দ্বিতীয় যুদ্ধের পরিকল্পনা ইসরায়েলের, প্রস্তুত ইরান?

মাইলস্টোন ট্রাজেডি: চলে গেল আইমান নামে আরও এক শিক্ষার্থী

‘শত শত বাঙালি মুসলিমকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়ে দিচ্ছে ভারত’

বোন নাজিয়ার পর স্মৃতি হয়ে গেল ভাই নাফিও

দুনিয়ার সবচেয়ে আজব সেতু বাংলাদেশে!

গাছের সঙ্গে বাঁধা সাত শিশু কাওছারের জীবন!

কারাগারে পরিকল্পনা, তিন মাসেই কোটিপতি ২ যুবক

সিডনিতে দুই বাংলাদেশীর আকস্মিক মৃত্যু

সিডনিতে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত তরুনী খুন

অক্সফোর্ডের করোনার ভ্যাকসিন বিরোধীতায় অস্ট্রেলিয়ার ইমাম ও আর্চবিশপ

অস্ট্রেলিয়ার কারাগারেই আরেক বন্দিকে কোপালেন সেই বাংলাদেশি ছাত্রী সোমা

কিশোরীর সাথে যৌন সম্পর্কের চেষ্টাঃ সিডনিতে বাংলাদেশী ছাত্র গ্রেপ্তার

মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার সেরা ৪-এ বাংলাদেশি-অস্ট্রেলিয়ান কিশোয়ার

হুইপপুত্রের গোপন ব্যবসার বলি তরুণ ব্যাংকার

খোলা চুলে সিগারেট হাতে এবার নতুন বার্তা দিলেন পরীমণি

কুইন্সল্যান্ডে বারবিকিউ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককের আকস্মিক মৃত্যু

মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে পড়ে সিডনির দুই বাংলাদেশীর মৃত্যু

প্রণব মুখার্জি আর নেই
