avertisements 2

মাইলস্টোন ট্রাজেডি: চলে গেল আইমান নামে আরও এক শিক্ষার্থী

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৫ জুলাই,শুক্রবার,২০২৫ | আপডেট: ০২:৪৬ পিএম, ২৬ জুলাই,শনিবার,২০২৫

Text


রাজধানীর উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ আইমান নামে ১০ বছরের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরের ৪৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকাল ৯টায় জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসারত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে বর্তমানে চিকিৎসাধীন ৪১ জন। তাদের মধ্যে চরম আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন পাঁচজন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় অন্তত ১৭ জন। 

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের যুগ্ম পরিচালক প্রফেসর ডা. মারুফুল ইসলাম যুগান্তরকে জানান, শুক্রবার সকালে আরেক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। আইসিউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ বছরের শিশু আইমানের মৃত্যু হয়। তার শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে যায়। 

ডা. মারুফুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে চিকিৎসাধীন ৪১ জন। তাদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন ৬ জন।

তিনি বলেন, চিকিৎসাধীন অনেক শিশুর ৩০ শতাংশের বেশি শরীর পোড়া রয়েছে। এদের শঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না। আমরা দিন রাত কাজ করছি, সঙ্গে বিদেশি ডাক্তারও যুক্ত হয়েছেন। কিছু শিশুর অবস্থার উন্নতি ঘটেছে। তাদের মধ্যে অনেককেই দু–একদিনের মধ্যে রিলিজ দেওয়া হতে পারে।

আগুনে পোড়া রোগীর অবস্থা সময়ে সময়ে পরিবর্তিত হতে পারেও বলেও জানান ডা. মারুফুল ইসলাম। 

তিনি বলেন, এ মুহূর্তে রক্তের কোনো প্রয়োজন নেই। পাশাপাশি স্কিন ডোনেশনও তারা আপাতত নিচ্ছেন না। এ ছাড়া অনেকে আর্থিক সাহায্য দিতে চাচ্ছেন, সেটিরও প্রয়োজন নেই। চিকিৎসা সংক্রান্ত সব খরচই সরকার বহন করছে।

আহতদের চিকিৎসায় বিদেশ থেকে চিকিৎসক দল আসার ব্যাপারে ইনস্টিটিউটের যুগ্ম এ পরিচালক বলেন, ভারত থেকে প্রতিনিধি দল এসেছে। চীন থেকে পাঁচ সদস্য বিশেষজ্ঞ একটি প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার রাতে পৌঁছেছে। সিঙ্গাপুর থেকে মোট ৫ জনের দুটি চিকিৎসক টিম আসবেন। 

ডা. মারুফুল বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে চিকিৎসার জন্য সহযোগিতার আশ্বাস পেয়েছি। অনেক মানুষ ইভেন আমাদের বাংলাদেশের যারা স্পেশালিস্ট আছে, আমেরিকা, ইউকে-তে আছেন তারাও আমাদের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। আমাদের বার্নে বিশ্বমানের চিকিৎসক রয়েছেন। 


এদিকে বুধবার (২৩ জুলাই) ৩২ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে আইএসপিআর। তবে বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বার্ন ইনস্টিটিউটে দুই শিক্ষার্থী চিকিৎসাধীন মারা যায়। আর আজ নতুন করে আরও এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ জনে।

এদিকে সন্তানের মৃত্যুতে বার বার জ্ঞান হারাচ্ছেন আইমানের বাবা ইসমাইল হোসেন বাপ্পি। তাদের গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর, পরিবার নিয়ে উত্তরায় থাকতেন। মেয়েকে হারিয়ে পুরো পরিবার বিলাপ করছে। কেউ কাউকে সান্ত্বনা দিতেও পারছেন না। হাসপাতালের বারান্দায় স্বজনদের আর্তচিৎকারে পরিবেশ ভারি হয়ে উঠছে। 
 

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2