avertisements 2

নতুন পরিচালনা পর্ষদের রেপটাইলস ফার্ম পরিদর্শন

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২১ ফেব্রুয়ারী,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:১২ পিএম, ৩ মে,শুক্রবার,২০২৪

Text

রেপটাইলস ফার্ম লিমিটেড এর বর্তমান বোর্ড অব ডাইরেক্টরসগণ গত ১৬ ফেব্রুয়ারি  ২০২২ তারিখে ময়ময়নসিংহের ভালুকায় অবস্থিত খামারটি পরিদর্শন করেন।  পরিদর্শনের পাশাপাশি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের  সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেছেন। 
বিভিন্ন তথ্য উপাত্তা বিশ্লেষন, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বরাতে জানা যায়,খামারটি থেকে  ২০১০ সালে জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বপ্রথম ৬৯টি হিমায়িত কুমির রফতানি করা হয়। ২০১৪, ২০১৫, ২০১৬, ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে জাপানে মোট ১ হাজার ৫০৭টি কুমিরের চামড়া রফতানি করা হয়েছে । প্রতিটি কুমিরের চামড়া ৩০০-৫০০ ডলার  মূল্যে রফতানি করা হতো। 
এছাড়া বর্তমানে   কুমিরের চামড়া, মাংস, হাড় ও দাঁত চড়া মূল্যে বিক্রি হয় আন্তর্জাতিক বাজারে। ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, স্পেনসহ বিভিন্ন দেশে এগুলোর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। 
বর্তমানে  খামারে প্রায় ২৪০০ কুমির আছে বলে প্রাথমিকভাবে বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু বিশিষ্ট কুমির বিশেষজ্ঞ এবং নতুন পরিচালনা পর্ষদের  ব্যবস্থাপনা পরিচালক এনাম হক জানান, একটি কুমিরের খামার দীর্ঘমেয়াদে বানিজ্যিক ভাবে  লাভজনক করতে হলে ১০ থেকে ১২ হাজার কুমির থাকা  প্রয়োজন তার সাথে বিজ্ঞানসম্মত  উপায়ে অবকাঠামগত উন্নয়নের উপর জোর দেন। এর পাশিপাশি তিনি কুমিরের এই খামারটিকে একটি ব্যতিক্রমী পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা জানান। 

তিনি আরো জানান, সারাবিশ্বে কুমিরের চামড়ার বেশ দামি। এগুলো দিয়ে  ব্যাগ, জুতাসহ অনেক দামি জিনিস তৈরি করা হয়। এছাড়া কুমিরের মাংস, হাঁড়, দাঁত বেশ  দামি পন্য। দাঁত থেকে বিভিন্ন ধরনের গহনা বানানো হয়। আবার পায়ের থাবা থেকে দামি চাবির রিং তৈরি হয়। কুমিরের মাংস বেশ সুস্বাদু ও পুষ্টিকর এবং বিদেশে চাহিদা রয়ছে প্রচুর চাহিদা। এক কথায় কুমিরের কোন কিছুই অব্যবহৃত থাকে না। বিশ্বে বর্তমানে কুমিরকে বলা হয় গোল্ড আয়রন অর্থাৎ ‘সোনালী লোহা’।

Previous Next

তাই এই খামারে রয়েছে বিপুল সম্ভাবনার হাতছানি। এখন শুধু প্রয়োজন পৃষ্টপোষকতা  এবং সরকারী সহযোগীতা। 

খামার  পরিদর্শন কালে পর্ষদের  চেয়ারম্যান এ্যাডঃ ডঃ নাইম আহাম্মেদ , সদস্য মুহাঃ আব্দুর রশিদ, সদস্য রেজাউল শিকদার, সদস্য  ডঃ মুহাঃ রফিকুল আলম, সদস্য ফখরুদ্দিন আহাম্মেদ এফসিএ উপস্থিত ছিলেন।
 

avertisements 2