এনসিপি নেতাদের নিয়ে ফেসবুকে ট্রল, এএসপি প্রত্যাহার
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৭ জুলাই,বৃহস্পতিবার,২০২৫ | আপডেট: ১২:১৭ এএম, ১৮ জুলাই,শুক্রবার,২০২৫
_1752743959.jpg)
আন্দোলনের মুখে দিনাজপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো. মোসফেকুর রহমানকে প্রত্যাহার করে ঢাকায় পুলিশ সদর দপ্তরে রিপোর্টের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৬ জুলাই) গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীদের ওপর হামল চালায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। হামলার পর সেনাবাহিনীর গাড়ি আর্মার্ড পার্সোনেল ক্যারিয়ারে (এপিসি) করে গোপালগঞ্জ ত্যাগ করেন এনসিপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা। এ নিয়ে দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো. মোসফেকুর রহমান নিজের ফেসবুকে লেখেন, ‘ট্যাংকের এসি খুব আরামদায়ক শুনেছি’। সমালোচনার মুখে মোসফেকুর রহমান তার ফেসবুক স্ট্যাটাসটি মুছে ফেলেন। ততক্ষণে স্ট্যাটাসটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ফেসবুক স্ট্যাটাসের জেরে মোসফেকুর রহমানকে প্রত্যাহার ও গ্রেফতারের দাবিতে বুধবার রাত থেকে দিনাজপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থানটি নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও এনসিপির নেতাকর্মীরা। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দিনাজপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক একরামুল ইসলাম আবির।
আবির জানান, গোপালগঞ্জে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের ওপর হামলার ঘটনার পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মোসফেকুর রহমান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও বিভিন্ন হাস্যরসাত্মক পোস্ট করেছেন। এসব পোস্টের মাধ্যমে তিনি আন্দোলনকারীদের অপমান ও উপহাস করেছেন।
এই ঘটনার প্রতিবাদে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোসফেকুর রহমানের প্রত্যাহার ও গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। তাকে প্রত্যাহার করা হলেও গ্রেফতার না করা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলেও জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও এনসিপির নেতাকর্মীরা।
এ ঘটনায় অতিরিক্ত ডিআইজি (হেডকোয়াটার্স, অতিরিক্ত দায়িত্ব) মিয়া মাসুদ করিম এক আদেশে মোসফেকুর রহমানকে ১৭ জুলাই পুলিশ সদর দপ্তরে রিপোর্ট করতে বলেছেন।
দিনাজপুরের পুলিশ সুপার মো. মারুফাত হুসাইন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মোসফেকুর রহমানকে এরইমধ্যে প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং তাকে হেডকোয়াটার্সে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে।