avertisements 2

৭৯৬ শিশুর মৃত্যুর রহস্যের জট খুলতে গণকবর খোঁড়া হচ্ছে আয়ারল্যান্ডে

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৫ জুলাই,মঙ্গলবার,২০২৫ | আপডেট: ১২:৫৩ এএম, ১৬ জুলাই, বুধবার,২০২৫

Text


 


আগামী ১৫ জুলাই থেকে আয়ারল্যান্ডের তুয়াম শহরের সাবেক ‘মাদার অ্যান্ড বেবি হোম’-এর প্রাঙ্গণে খনন কাজ শুরু হচ্ছে। বহু বছর আগে অন্তত ৭৯৬টি শিশুর গণকবরের রহস্য উদ্ঘাটনের আশায় এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সালটা ২০১৪। ইতিহাসবিদ ক্যাথরিন করলিস পুরনো মানচিত্র, সরকারি নথি ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে বেশ কিছু সমীক্ষা করছিলেন। সেই কাজ করতে করতে হঠাৎই নজরে আসে গোপন সমাধি। যদিও সেখানে নেই কোনও সমাধিফলক, শিলালিপি কিংবা নেই কোনও রেকর্ড! ইতিহাসবিদের মনে প্রশ্ন ওঠে এ তাহলে কীসের সমাধি? আয়ারল্যান্ডের গলওয়ের তুয়াম শহরে প্রাক্তন সেন্ট মেরিজ শিশু আশ্রমের (মাদার্স অ্যান্ড বেবি হোম) স্থানে গণকবরের প্রমাণ মেলে। সেই জায়গাতেই আনুষ্ঠানিক খননকাজ শুরু হচ্ছে।

প্রায় দুই বছর ধরে খনন চলবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেখানে শিশুদের একটি খেলার মাঠের পাশের ঘাসের বর্গাকার জায়গায় নামানো হয়েছে খননযন্ত্র। এই সমাধিই আয়ারল্যান্ডের ইতিহাসের সবচেয়ে করুণ এক অধ্যায়ের সাক্ষী হয়ে গেছে বিশ্বের কাছে। যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সানডে টাইমস জানিয়েছে, ২০১২ সালে স্থানীয় ইতিহাসচর্চার অংশ হিসেবে করলেস দাবি করেছিলেন, তুয়ামে ১৯২৫ থেকে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত পরিচালিত সেই ক্যাথলিক হোমে মারা যাওয়া ৭৯৬ শিশুর কোনো কবরের রেকর্ড নেই। তিনি ধারণা করেন, ১৯৭৫ সালে ওই হোমের পুরোনো যে সেপটিক ট্যাংকে দুই শিশুর দেহাবশেষ আবিষ্কৃত হয়েছিল, হয়তো সেখানে বাকিদের দেহাবশেষও রয়েছে।

তুয়ামের ওই হোমটি পরিচালনা করত ‘বন সিকোর্স সিস্টার্স’ নামে একটি ক্যাথলিক প্রতিষ্ঠান। তারা গর্ভবতী মায়েদের সন্তান জন্ম দিতে বাধ্য করত, পরে সন্তানদের রেখে মায়েদের বিদায় করে দিত। অনেক মা-ই পরবর্তীতে তাদের সন্তানকে আর কখনোই দেখতে পাননি।। ১৯৬১ সালে হোমটি বন্ধ হয়ে যায়। পরে সেখানে একটি আবাসন তৈরি হয়। ১৯৭৫ সালে সেই আবাসনের দুই শিশু হাড়ের খোঁজ পেয়েছিল আপেল কুড়োতে গিয়ে। ওই ঘটনায় তার গবেষণায় সাহায্য করেছে বলে জানিয়েছেন ক্যাথরিন। মৃত শিশুদের দেহাবশেষের খোঁজে আয়ারল্যান্ডের তুয়াম শহরের সেই পুরনো হোমের জমিতে খননকাজ শুরু করেছে প্রশাসন।

১৮ সদস্যের একটি দল খননকাজ চালাবে। সেই দলে আয়ারল্যান্ড, বৃটেন, অস্ট্রেলিয়া, কলম্বিয়া, স্পেন এবং আমেরিকার প্রত্নতত্ত্ববিদেরা রয়েছেন। ক্যাথরিন বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত এটা হচ্ছে দেখে স্বস্তি পেলাম। অনেক দিন ধরে এই রহস্য উদ্ঘাটনের পেছনে পড়ে রয়েছি। দীর্ঘ দিন অপেক্ষা করে রয়েছি। আজ আমার আনন্দের দিন।’

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

 

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2