avertisements 2

অশনির আশংকায়

অজল জালাল
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ১২:২২ এএম, ১২ মার্চ,মঙ্গলবার,২০২৪

Text

আমার সেই টগবগে তরুন
চেহারা তুমি দেখ নি।
তুমি দেখনি আমার যৌবনে
পাথর ভেঙ্গে পাহাড় ডিঙ্গানোর  দৃশ্য।
সদ্য স্বাধীনতার স্বাদ নিয়ে
ঘরে ফেরার সেই অগ্নিস্ফুরন।

আমি মুক্তি ছিনিয়ে আনা
মুক্তিযোদ্ধা সেই অদম্য যুবক।
যার হাতে পৃথিবীর তাবড় শক্তিধর
নর পিশাচের সিংহদুয়ার ভেঙ্গেছিল।
বর্বর সেনা শাসকদের মাটিতে নামিয়ে
সোহরাওয়ার্দীতে দাসখত নিয়েছিল।

আমি বাংলার সেই অদম্য মুক্তিসেনা
এ মাটির প্রতি ইঞ্চিতে জন্ম নেয়া
মুজিব ভাসানীর অগ্নিমন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী।
বায়ান্নে ভাষার দাবিতে হাঁটতে হাঁটতে
অবশেষে একাত্তরের সাতই মার্চ আমি
     আপন উঠান তৈরীর রসদ পেয়েছি।

“তোমাদের যার যা কিছু আছে
তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা কর”। 
মহানায়কের সেই বাঁশির সুর প্রতিধ্বনিত
হয়ে অষ্টম বেঙ্গলের পোষাকী বাঙালী
মেজরের দীপ্র কন্ঠে ঘোষিত হোল
মহান নেতার নামে কাংখিত স্বাধীনতা।

বাঙালী তরুন যুবা বাঁধভাঙ্গা উদ্যমে
প্রতিরোধের অদম্য বাসনায় দেশ দেশান্তরে
মুজিবসেনা হয়ে মেজরদের সঞ্চালনায়
ন'মাসে বাংলাদেশ ভূখন্ডের জন্ম দিল।
আমরা সেই মুক্তিফৌজ দেশসেরা সন্তান
বুকভরা নিঃশ্বাসে সুবর্ণ জয়ন্তীর ধারক।

যৌবন পেরিয়ে প্রৌঢ়ত্বের উঠানে এখনও
আমরা সেই বাংলার স্বপ্নে বিভোর,
স্থপতির মন ও মননের সোনার বাংলার
সিপাহশালার আমরা, ফের উচ্চকিত হব।
বসে আছি কাব্যিক বজ্রকন্ঠের ঘোষনাসহ
ঘোষনা পাঠের নতুন মাজনের অপেক্ষায়।

কেন্দ্রীয় চরিত্রের পাদপীঠে জায়া ও সুতি
ষোল কোটির মূল চেতনার প্রজ্জলিত মশাল।
পিতার যোগ্য উত্তরসুরী জনক নদিনী
ঘোষনা পাঠের জায়া দেশনেত্রী বটে।
বাঙালীর আশার আলো অবশিষ্ঠের দল
অশুভ শক্তির যম আশার প্রদীপ।

মুক্তিযোদ্ধা আমরা, মুক্ত জমিনের বীর
যুদ্ধ জয়ের অতন্দ্র প্রহরীর দল।
যৌবনে গেঁথে রাখা অদম্য চেতনা
নিয়ত টগবগে, প্রতিদানের আকাঙ্ক্ষায়।

সুবর্ণ জয়ন্তীর উঠানে জমাট বাঁধা মেঘ
ঈশান কোনের চালে শকুনির আনাগোনা
মুক্ত জমিনে আজ দর্জিদের অট্টহাসি
তাইতো প্রোঢ়ত্বেও ট্রেনিংটাকেই সম্বল ভাবছি।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2