গ্রাম বাংলা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৮ মে,রবিবার,২০২৫ | আপডেট: ০৭:৫৩ এএম, ১৮ মে,রবিবার,২০২৫

গ্রীষ্মের তপ্ত দুপুরের মাথা ফাটা রোদ্দুরে, বৃক্ষের পদতলে রাখালের শান্তিময় ঘুম!
আ!হা! কোথায় মিলিবে এই শান্তি?
গাছের মগডালে ঘুঘুটিও ব্যাস্ত হয়িআছে বাসা বাধিবার জেরে।ওদিকে বাতাসে ভাসিয়া আসিতেছে কাঁঠালের ঘ্রাণ! পাশেই রয়িআছে আবার আমের বাগান। তবে প্রবেশ যে সেখানে মানা।
সোনালি ধানের মাঠ,চোখে নাহি মিলে তাহার শেষ।
সারি সারি ধান যেনো বাতাসে হেলিয়া-দুলিয়া গাইতেছে বাংলার গান।
কিছুটা দৃরে দেখা মিলিলো কিছু খেজুর গাছ,তবে তাহার মাথা উঁচু করিয়া মনে যেনো খোপ নিয়া দাড়িয়া রহিয়াছে।কারা যেনো তাহার পাতা কাটিয়া চিকন করিয়া রখিয়াছে। আরেকটু দূরে দেখা মিলিল তাল গাছ।সেখানেই বাধিয়াছে ববুই পাখি তাহার বাসা।আশে পাশের খেজুর গাছের খোপ নিয়ে দাড়িয়া থাকার কারন মিলিলো।বাবুই পাখি খেজুর গাছের পাতা ছিড়িয়া ছিড়িয়া বাসা বাধিয়াছে।পাশেই বহিয়া চলিয়াছে বিল,সেখানেই মিলে পুঁটি, টাকি,শিং সহ নানান মাছ,তবে তারাও পানির শল্পতার কারনে ভয়ে জীবন যাপন করিতেছে।কারন শুক্ন ডাল টাতে বসিয়া রহিয়াছে তাদের জোম, পান কড়ি ও মাছরাঙা।আঁকা-বাকা মেঠো পথের দুপাশে রহিয়াছে ঘাস।সেখানে বাধা রহিয়াছে তৃষ্ণার্থ গাভি,চোখ যেনো তাহার বাড়ির পথেই।
আরেকটু দূরেই মানুষ ভিড় জমিয়াছে,সবারই চোখ যেনো আটকিয়াছে তাল গাছের মাথায়,সেখানেই গিয়া দেখা মিলিলো আরেক অমরিতো।গরমের আত্ন তৃপ্তির মহা ঔষধ,তালের রস।তাহার স্বাধ নাহি ভোলার মত।মুখেই যেনো লাগিয়া রহিয়াছে। সেখান থেকে উত্তর দিগন্তে হাটিতে হাটিতে দেখা মিলিলো কিচি মিচি আওয়াজ, একটু কাছে যাইতেই চোখে পড়িল শত বছরের ঐতিহ্য বাদুরের আস্তনা।যেনো এখান থেকেই বাদুর সারা দেশে ছড়িয়া যায়।
আরেকটু দুরেই দেখা মিলিলো পাটশালা,সেখানেই কাটিলো বেশ কিছু সময়, বেলাটাও যেনো পড়ে এলো। তবে বেলা পড়ার কাছাকাছি সময় থেকেই কোথা থেকে যেনো হাজার হাজার শালিকের ভিড় জমিলো পাটশালার আশে পাশের গাছ গুলোতে।সেখানেই তাহারা ঝগড়া লাগিয়াছে,এ দৃশ্য আর কোথাও কখনো চোখে মিলে নায়।না জানি কি নিয়া তাহাদের মধ্যে এই বিরধ বাধিলো,মনে মনে তাহাদের ভাষা শেখার আগ্রহ জমিল।তাহাদের ঝগড়ার কারন জানার প্রতি আগ্রহ জমিল।এই রহস্য উধঘটন করিতে করিতে সেখানেই অন্ধকার নামিয়া পড়িল।
ঘরে ফেরার সময় আসিল।
লেখক- সাব্বির আহম্মেদ