
জালাল উদ্দিন আহমেদ
বাংলা ভাষা নিয়ে বাঙালীর হিরন্ময় নীরবতা
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১২ আগস্ট,মঙ্গলবার,২০২৫ | আপডেট: ০১:৩৯ পিএম, ২২ আগস্ট,শুক্রবার,২০২৫

গলদটা তো গোঁড়াতেই সৃষ্টি হয়েছে। সেক্ষেত্রে মাতৃ ভাষার আন্তর্জাতিকতাবাদ তৈরীর আগে এটা নিয়ে পন্ডিতেরা ভেবেছেন কিনা তা নিয়ে থ্রেড বেয়ার ডিসকাশন হওয়া দরকার। আসলে খুঁত ছাড়া নিখুঁত হওয়ার জো আছে কি? নইলে বত্রিশ কোটি বাঙালীর ষোল কোটিকে ভর করে কোন্ নিক্তিতে উঠিয়ে বাংলা ভাষার বীরত্ব গাঁথায় তাকে টেনে নিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার ক্যাপ্টেন বানিয়ে সীলমোহর লাগিয়ে দেয়া হয়! যাহোক এটা আক্ষেপের কথা। কিন্তু আক্ষেপেও যে এমন খামচা খামচি শুরু হবে তা কি কেউ ভেবেছিলেন! কথা উঠছে এই কারনে যে, যারা বাঙালী বলে নিজেদের আত্মরম্ভিতায় বরাবরই নাক সিটকান, যারা পুর্ব বাংলার বাঙালীকে মুছলমান বলে অবজ্ঞা করেন এবং বাংলা ভাষা নিয়ে আনন্দবাজারীয় টোল খুলে বসেছিলেন তাদের হেসেলের চালেই তো এখন শকুনের আনাগোনা। ব্রাহ্মন বৈদ্য ও কায়স্থের গোষ্ঠী সমন্বয়ে যে সুবিধাভোগী বাঙালী সম্প্রদায় নিজেদেরকে আলাদা উচ্চতায় বাঙালীর নিউক্লিয়াস ভেবে, এমনকি ভারতীয় প্রেক্ষাপটে সামনের সারিতে থেকে ভারতীয় বাঙালী হয়ে দিল্লি শাসনের স্বপ্ন দেখেছিলেন তারা আজ কোথায়? তারা আছেন হয়তো। নইলে মিডিয়ার কল্যানে শত শত বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমকদের উপর হিন্দি বলয়ের রাজ্যগুলিতে যে নিষ্টুরতার রোলার চালানো হচ্ছে তার উপর প্রতিক্রিয়ায় এইতো গত সপ্তাহেই কোন এক আনন্দবাজারীয় লেখকের মুখ থেকে শুনতে হোল,‘'বাঙালীর গায়ে তো এখনও হাত পড়েনি। যেটা দেখছি সেটা তো নিম্ন শ্রেণীর কিছু খেটে খাওয়া বাংলা বলা রোহিঙ্গা ও মুসলমান”। এরাই কিন্তু সেই মধ্যস্বত্ব ভোগী ঊনবিংশের তৈরী হওয়া তথাকথিত বাঙালী, যাদের গোষ্ঠী স্বার্থের জটাজালে পড়ে গোটা বাঙালী স্বত্ত্বাকে ধর্ম-জুজুর জিগির তুলে দু'ভাগ করিয়ে বাঙালীর অখন্ড জাতীয়তাবোধকে হত্যা করা হয়েছিল ১৯৪৭ সালে। চলমান ভারতীয় জাতীয়তাবাদের বাঙালীর হাইয়াই চটির এক ষাটোর্ধ বঙ্গ নারী তার জীবন যৌবনের সমস্তটাই ভারতীয় রাজনীতির পিছনে ক্ষয় ক’রে এবং নিজেকে খাঁটি ভারতীয় প্রমান করেও আজকের দিনে নিজের বাংলা মায়ের আঁচলে শত ছিদ্রের জীর্ণতায় ছটপট করছেন। মুখের ভাষায় কুলুপ এঁটে তাকে বলানোর চেষ্টা করা হচ্ছে ম্যেই হিন্দুস্তানী হুঁ।
ঠিক আছে। তারা তো বরাবরই ভারতীয় বাঙালী হিসাবে গর্ব করে। বন্দে মাতরম বলে গগন বিদীর্ণ করে। এমনকি সত্যমেব জয়তু বলে সিনা টান করে দাঁড়ায়। তাই বলে কি তারা নিজের মায়ের ভাষায় কথা বলতে পারবেনা! ভারত গঠনই তো হয়েছিল বহু জাতি বহু ভাষী ও বহু বর্ণের সমন্বয়ের এক ডমিনিয়ন রিপাবলিক হিসাবে। তারা ভারতীয় বা ইন্ডিয়ান কিন্তু ধর্ম পরিচয়ের হিন্দুস্তানী নন। শত ধর্ম শত বর্ণ ও শত ভাষীর ভারত বর্ষের সেই জয় হিন্দ উচ্চারনে কোথায় টান পড়লো যে আজকে সবাইকে নিজের মাতৃভাষায় কথা বলা বন্ধ করে হিন্দি নামক সংস্কৃতজাত ভাষায় কথা বলে নিজেকে ভারতীয় প্রমানে গদগদ হতে হবে! ধর্ম যদি কর্মের সবকিছু হয় তবে হিন্দি কেন, সংস্কৃতকেই সামনে আনুন না! আসল গলদ অন্যখানে। বর্তমান ভারত সরকার হচ্ছে ধর্মীয় কট্টর মৌলবাদী সরকার। তারা অখন্ড হিন্দু*স্থানের স্বপ্ন দ্যাখে। ভিনজাতি ভিনভাষী ভিনধর্ম তাদের কাছে গাত্রদাহের ব্যাপার। তারা ভারতকে হিন্দুস্তান বানাতে চায়। ভারতবাসীকে হিন্দু বানাতে চায়। প্রাচীন ভারতের সেই কৈলাস হিমালয় আদলের গুহাবাসী মনু সংহিতার ভারত বানাতে চায়। নিজেদের ধর্মের শতছিদ্র বহুত্ববাদী সনাতনী ধারনাকে উচ্চকিত করতে চায়। অখন্ড ভারতের স্বপ্নকে বাস্তবায়নের জন্য ভিনজাতি ভিনভাষী ও ভিনধর্মের পড়শী দেশকে সংযুক্ত করে হাজার বছরের পুরনো ভারতের সংস্করনে ভাবতে চায়। এরই সূত্রের জেরে বন্ধুত্বের লেবাসে পড়শী দেশের এক গদিচ্যুত স্বৈরাচারী বাংলাভাষী ভৃত্য ও তার সঙ্গে পলাতক খুনী সহযোগীদের নিজের মাটিতে অবৈধ আশ্রয় দিয়ে ভারত সরকার আজ দাবার গুটি নিয়ে বসেছে। পড়শী দেশকে অস্থিতিশীল রেখে সেখানকার অস্তিত্ব বিনাসে ভৃত্যসম পতিত স্বৈরাচারী দোসরকে নিজের মাটিতে আশ্রয় দিয়ে বেহায়াপনার নির্লজ্জতায় আজ বিশ্ব পরিমন্ডলে বন্ধুহীন হতেও কসুর করছেনা তারা। তবে স্বৈরাচারী হাসিনা ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিজের মাটিতে রেখে বাংলাভাষী মানেই বাংলাদেশী তকমা লাগিয়ে দিল্লি প্রশাসন যে পোড়ামাটি নীতির আশ্রয় নিচ্ছে তার চোরাবালিতে তারা যে নিজেরাই পুড়ে মরবে তা হাতে গুনেই বলা যায়। তারা শ্রীলঙ্কায় পারেনি, নেপালে পারেনি, এমনকি মালদ্বীপে গিয়েও মুখ পুড়িয়েছে। আর বর্তমান চলনে বাংলাদেশকে নিয়ে যে দ্বিচারিতা করছে তাতে না বহুল কথিত বর্তমান ভারতের ভিন্ন ভাষী ও জাতীয়তার আঞ্চলিক শক্তি মাটি ফুঁড়ে বেরিয়ে ভারতকে আদি ভারতের খন্ড খন্ড স্বতন্ত্র রাজ্য সৃষ্টিতে উস্কে দেয় - সেটাই এখন দেখার বিষয়।
লিখতে শুরু করলে তো সেই দুর্গন্ধময় ধর্মীয় জাতপাত নিয়েই কলম চলতে চায়। অথচ যে জাত পাত ও ধর্মীয় বিভাজন সৃষ্টি করে এই বাঙ্গাল মুলককে খন্ড বিখন্ড করা হয়েছিল তার একমাত্র মজেজাই ছিল ধর্ম রক্ষার নামে ক্ষমতা প্রাপ্তির পথ সুগম করা। কিন্তু সেই ধর্মের সাম্যতা ও তার অবস্থানগত বিবেচনায় কি ভারত ভাগের বিষয়টি তৎকালে বিবেচনায় এসেছিল! আর যে বিবেচনায় বৃটিশ আনুকুল্য পাওয়া বাঙালীর মধ্যবিত্তের ব্রাহ্মন বৈদ্য ও কায়স্থ সম্প্রদায় হিন্দু গরিষ্ঠতার অজুহাতে কলকাতা কেন্দ্রিক পশ্চিম বাংলাকে ভারত ভুক্তির বেদমন্ত্র উচ্চারন করেছিল তার জমা খরচ কেউ কি নিয়েছেন! এমনিতেই হিন্দু সম্প্রদায়ের ৬০% নিম্ন শ্রেণীভুক্ত তফসিলী সম্প্রদায়, যারা জাতপাতের শিকার হয়ে হিন্দু ধর্মের উঠানে অছ্যুৎ হিসাবে বরাবরই নিগৃহীত। বাকী থাকে ৪০% যার ৩০% সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়। অবশিষ্ট ১০% হচ্ছে আঁতেল শ্রেণীর মধ্যস্বত্ত্বভোগী মধ্য ও নিম্ন মধ্যবিত্তের ব্রাহ্মন বৈদ্য ও কায়স্থের দল যারা বৃটিশ আনুকুল্যে শিক্ষাদীক্ষার সুযোগ নিয়ে চাকরী বাকরীর সুযোগ সুবিধায় সমাজে একটা আলাদা শ্রেণীভুক্ত বা জাতে উঠেছিলেন বলা যায়। এরাই যত নাটের গুরু। এদের সঙ্গে সামিল হওয়া ১% উচ্চবিত্ত রাজন্য জমিদার শ্রেণী, শুধুমাত্র দিল্লির ক্ষমতা লাভের আকাঙ্খা এবং হিন্দু রাষ্ট্রের খাঁটি হিন্দু হওয়ার লালসায় এই বিভাজনের ফাঁদে পা দিয়েছিলেন। সেটাও ছিল ঐসব মধ্যবিত্ত আঁতেল শ্রেণীর প্ররোচনায় রাজ করার মুলা ঝুলানোর গল্প।
ফলশ্রুতিতে যেটা হয়েছিল সেটাকে কাঠ কাটতে গিয়ে ‘নিজের পায়ে কুড়াল মারা’ ছাড়া আর কি বলা যায়! কলকাতায় থিতু হওয়া জমিদার ভূস্বামীর দল যাদের জমিদারির মূল উৎস ছিল পুর্ব বাংলার মাটি, সেসব জমি জিরাত তারা হারিয়ে ফেললেন। এমনকি পুর্ব বাংলার ৩০% হিন্দু উন্নত জীবনাচারের আকাঙ্খায় গণহারে পশ্চিমবঙ্গ মুখী হয়ে সেখানে তারা শরণার্থী হিসাবে পরিচিত হোল। শোনা যায় ১৯৪৭ এর পর হতে এই হিন্দুস্রোত অব্যাহত থাকায় হাল নাগাদ হিসাবে বাংলাদেশে এখন দশ শতাংশের কম হিন্দু বসতি ঠেঁকেছে। অপরদিকে পশ্চিম বঙ্গ থেকে সে হারে মুসলমানেরা এখানে আসেনি। শুধুমাত্র যারা সরকারী চাকুরী করতেন তাদের একটা অংশ অপশন দিয়ে এবং সীমান্তবর্তী ঝুঁকিপুর্ণ কিছু জেলার একটি অংশ যার সাকুল্য শতকরা হার দুই থেকে তিনের মধ্যেই হবে হয়তো। সম্প্রতি ভারতের মিডিয়া কথিত পুর্ব বাংলার মুসলমান বাঙালীর ভারতে অনুপ্রবেশ করাটা সত্যের অপলাপ ছাড়া অন্য কিছু নয়। বরঞ্চ বিহার ইউপির ভিনভাষীর নির্যাচিত মুসলমানরা এখানে গণহারে এসেছিল বলে জেনেছি বা দেখেছি। এমনও শুনেছি বিহার ইউপি বা উড়িষ্যায় পাকিস্তানের মুসলিম শাসকদের মাধ্যমে ঢেড়া পিটিয়ে ফরমান জারির মত করে ভিনভাষী মুসলমানদের পুর্ব বাংলায় আসতে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছিল। লক্ষ্য একটাই তা হচ্ছে ভিন জাতি ও ভিনভাষীর সমন্বয়ে মুসলিম জাতীয়তাবাদ সৃষ্টির মাধ্যমে পাকিস্তানের ভিত মজবুত করা। অপরপক্ষে ভারত সরকার পুর্ব বাংলার হিন্দুদের জায়গায় দিয়েছিল বটে তবে তার মধ্যে সরকারী উৎসাহ বা প্রনোদনার মত পাকিস্তানী স্টাইলের পথ অনুসরন করা হয়নি। কারন তাদের ঘোষিত সরকার ছিল বা এখনো আছে হিন্দুত্বে মুড়ানো এক প্রবঞ্চনার ধর্ম নিরপেক্ষ ভারত রাষ্ট্র। এর ফলশ্রুতিতে যেটা ঘটলো তা নিতান্তই অমানবিক এবং মানবেতর। সহায় সম্পদ হারানো পুর্ব বাংলার হিন্দু বাঙালীরা মানবেতর জীবন সংগ্রামে ভারতীয় বাংলায় ব্রাহ্মন্য পাশা খেলার গুটি হয়ে কলকাতার অলিগলি ও পশ্চিম বাংলার বনে বাদাড়ে আশ্রয়হীন ঝুপড়িবাসী হোল। অপরদিকে মাছে ভাতের নদীমার্তৃক পুর্ব বাংলার মুসলমান বাঙালীরা জীবন যুদ্ধের প্রথম থেকেই ভাষা সন্ত্রাসের এক অসম পাকিস্তান রাষ্ট্রের যাঁতাকলে সংগ্রাম চালিয়ে পায়ের মাটি শক্ত করার মন্ত্রে নিজেদেরকে তৈরী করতে থাকলো।
আজকের দিনে বাঙালী শিক্ষিত সমাজে নিজেদের শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি নিয়ে ততটা উচ্চকিত হতে দেখিনা। স্রোতে গা ভাসিয়ে রাজনীতি ও ক্ষমতা স্তুতির গজল গেয়েই তাদের পান্ডিত্যের ফুলঝুরি ছুটাতে দেখি। সমাজ গঠনের কারিগর হিসাবে বিবেচিত হলেও আজকাল তাদের রাজনীতি ও ক্ষমতার স্তাবকতা সত্যিই জাতি হিসাবে আমাদেরকে গভীর তিমিরেই ঠেলে দিচ্ছে বলে মনে হয়। ঊনবিংশে উইলিয়াম কেরি সাহেবের ফোর্ট উলিয়াম কলেজে দলবেঁধে একপেশে বাঙালীয়ানার যে গান বাঙালী বুদ্ধিজীবিরা ধরেছিলেন আমি সে বাঙালী বুদ্ধিজীবি কবি সাহিত্যিকের কথা বলতে চাই না। এমনকি সাহিত্য সম্রাট বলে খ্যাত বঙ্কিমের কথা বলতেও আমার অরূচি আছে। কারন শ্রদ্ধেয় বৃটিশ ডেপুটি সাহেব ‘বাবু’ হওয়ার খায়েসে যেভাবে বাঙালী হিন্দু সমাজে বিষ ছড়িয়েছিলেন তা কি ভুলা যায়! আমার তো মনে হয় অখন্ড বাঙালী স্বত্ত্বাকে হিন্দু-মুসলমানের বিষাক্ত দাবদাহে তিনিই পুড়িয়েছেন বেশী করে। তারপরেও শুধু পুর্ব বাংলা নয় সামগ্রিকতার বিচারে বাঙালী জাতীয়তাবাদ যে তাদের ভাষা সাহিত্য সংস্কৃতি নিয়ে উচ্চকিত থাকতে চেয়েছে তার প্রমান আমাদের স্মৃতিতে উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে। ভাষা সন্ত্রাসের প্রতিবাদে শুধু পুর্ব বাংলার ১৯৫২ কেন, ১৯০৫, ১৯৫৬, ১৯৬১ সময়কালে বৃহত্তর বাঙালী সমাজ তার নিজস্ব অস্মিতার ছিটেফোঁটা স্ফুরন ঘটিয়েছে বলে আমরা জানি। যে বিশালতা নিয়ে বাঙলা একসময় বাঙালীময় ছিল তার ভগ্নাংশ হয়ে বাঙালীর বাংলাদেশ উচ্চারনে যতই আত্মোরম্ভিতা করিনা কেন, প্রকৃত উচ্চারনে বাঙালী ও বাংলা সেই ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গপুর্ব বৃহত্তর বাংলাতেই পড়ে রয়েছে। বাংলার বৃহত্তর অংশের সেই মানভূম, ধানবাদ, মুঙ্গের, পুর্ব ঝাড়খন্ড, কিংবা আসাম অঞ্চলের বরাক, গোয়ালপাড়া, করিমগঞ্জ, ঐতিহাসিক শিলচর এমনকি কামরূপ কামাখ্যার বাঙালিময়তার কথা নিয়ে আমাদেরকে ভাবতে হবে বৈকি!
সস্তা রাজনীতির স্ট্যান্টবাজি করে এখন কি চলার সময়! বাঙালীর শিকড় উপড়ানোর যে পাঁয়তারা হিন্দি শাসনের দিল্লিওয়ালারা করছেন তার জন্য চোখে আঙুল দিয়ে দেখাবেন তো বুদ্ধিবৃত্তির মাথাওয়ালারা। তারাই তো বাংলার ইতিহাস ঐতিহ্য শিল্প সংস্কৃতি নিয়ে সামনে আসবেন। যে রাজনীতির ঘোল খেয়ে বাঙালীর বৃহত্তর জাতীয়তাবাদকে আমাদের পুর্ব পুরুষেরা কয়েক টুকরো করেছিলেন তা রিপিয়ারিং অযোগ্য হলেও বাঙালী অস্মিতার ইতিহাস ঐতিহ্য সমুন্নত করার দায়িত্ব তাদের ঘাড়েই পড়ে বেশী করে। এখানে হিন্দু মুসলমান মুখ্য নয়। বাঙালীর ঐতিহ্য ও শাশ্বত আবাহনের পরম্পরাকে সমুন্নত রাখাটাই হোল আসল কাজ। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না এই আমরা বাঙালীরা, রবি ঠাকুরের দেবী বন্দনায় উজ্জীবিত হয়ে যেমন মনের মধ্যে পরমত সহিষ্ণুতা ও মানবতার দীক্ষা নিয়েছি তেমনি নজরুলের বিদ্রোহী উচ্চারনে বাধার বিন্ধাচল পেরোনোর কঠিন শপথে দুর্বার হয়েছি। সুতরাং পুর্ব পশ্চিম উত্তর দক্ষিণ সর্বত্রই আজ বাঙালীর হিরন্ময় নীরবতার অবসান ঘটিয়ে আসুন আমরা সব্যসাচী কবি সৈয়দ শামসুল হকের উচ্চারনে উচ্চকন্ঠে গেয়ে উঠি, “জাগো বাহে কুন্ঠে সবাই”।

শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে সরকার

লিবিয়ায় থেকে দেশে ফিরেছেন আটক ১৭৫ বাংলাদেশি

জাহিদ-মৌ দাম্পত্য কলহের গুঞ্জন নিয়ে যা বললেন জাহিদ

জনশক্তি রপ্তানি জালিয়াতির মূলহোতা স্বপনের ৫০০ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রোক

আবারও রোহিঙ্গা ঢুকছে কক্সবাজারে

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী নিজ বাসভবনে হামলার শিকার, গ্রেপ্তার ১

ইরান থেকে বিতাড়িত আফগান শরণার্থীদের বহনকারী বাস দুর্ঘটনার কবলে, নিহত ৭১

শাশুড়িকে মধ্যরাতে ফোন, স্ত্রীর মৃত্যুসংবাদ দিয়ে উধাও স্বামী!

স্বর্ণ ও ফ্ল্যাটে বিনিয়োগের দিকে ঝুঁকছে বিনিয়োগকারীরা

কানাডায় সড়কে বাংলাদেশি নববিবাহিত স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু

সাবেক ডিবি প্রধান হারুনসহ পুলিশের ১৮ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করল সরকার

তবুও বাংলা*দেশী

শেখ হাসিনা-কামালের বিরুদ্ধে চতুর্থ দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

বিদেশে সব কূটনৈতিক মিশন থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর নির্দেশ

গাজার ১০ লাখ নারী ও কিশোরী চরম অনাহারে

দুনিয়ার সবচেয়ে আজব সেতু বাংলাদেশে!

গাছের সঙ্গে বাঁধা সাত শিশু কাওছারের জীবন!

কারাগারে পরিকল্পনা, তিন মাসেই কোটিপতি ২ যুবক

সিডনিতে দুই বাংলাদেশীর আকস্মিক মৃত্যু

সিডনিতে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত তরুনী খুন

অক্সফোর্ডের করোনার ভ্যাকসিন বিরোধীতায় অস্ট্রেলিয়ার ইমাম ও আর্চবিশপ

অস্ট্রেলিয়ার কারাগারেই আরেক বন্দিকে কোপালেন সেই বাংলাদেশি ছাত্রী সোমা

কিশোরীর সাথে যৌন সম্পর্কের চেষ্টাঃ সিডনিতে বাংলাদেশী ছাত্র গ্রেপ্তার

মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার সেরা ৪-এ বাংলাদেশি-অস্ট্রেলিয়ান কিশোয়ার

খোলা চুলে সিগারেট হাতে এবার নতুন বার্তা দিলেন পরীমণি

হুইপপুত্রের গোপন ব্যবসার বলি তরুণ ব্যাংকার

কুইন্সল্যান্ডে বারবিকিউ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককের আকস্মিক মৃত্যু

প্রণব মুখার্জি আর নেই

মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে পড়ে সিডনির দুই বাংলাদেশীর মৃত্যু
