
জালাল উদ্দিন আহমেদ
প্রাচীন মগধের আঁকিবুকি
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৮ অক্টোবর, বুধবার,২০২৫ | আপডেট: ০১:৫৭ পিএম, ১০ অক্টোবর,শুক্রবার,২০২৫

আপনারা প্রাচীন ভারতের সম্রাট অশোকের খবর জানেন নিশ্চয়। না জানলে জেনে নিন। আর এখন তো জানতেই হবে। যে চিত্র ফুটে উঠেছে সম্রাট আকবরের দিল্লির দেওয়ানী আমের দেয়ালচিত্রে তাতে করে ওসব না জানার কোন কারন থাকতে পারে না। তবে দিল্লির মধ্যযুগীয় দেওয়ানী আম বা দেওয়ানী খাসের কথা যাই বলুন না কেন, এসবের বালাই তো ঐ প্রাচীন সম্রাট অশোকের করতলে ছিল না। সেখানে ছিল অশোকীয় উন্মুক্ত তরবারীর শৌর্যবীর্যের বীরত্বের কথা আর দ্রাবিড়ীয় উন্মত্ততার পৈশাচিক আচার আচরন। মৌর্য বংশের পরম্পরায় চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য, বিন্দুসার, অশোক এবং দশরথের কথা আমরা জেনেছি। মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রসার ও পসারের সফলতম সম্রাট ছিলেন অশোক মৌর্য। সে খ্রীষ্টপুর্ব ৩২২ শতাব্দী হবে হয়তো, মৌর্যরা ভারত সাম্রাজ্য বিস্তার ও শাসন করেছিল প্রায় দু'শ বছর ধরে। সেই মৌর্য বংশীয় দু'আড়াই হাজার বছর পুর্বের প্রচীন ভারত সাম্রাজ্যের পাঠ নিতে হবে এখন আমাদের। যেন 'পড়েছি পাঠানের হাতে খানা খেতে হবে একপাতে'র নতুন সংস্করনে, ‘উঠেছি চা-ওয়ালার নাউয়ে চলো সবে গঙ্গা স্নানে'। কোকনদের সুতীব্র ঘ্রানে মৌ মৌ করা মসনদের দেয়াল চিত্রের ম্যুরালে নাম লিখিয়েছে সেই মোর্য আধিপত্যের মগধ সাম্রাজ্য, যেখানে আমরাও আছি আজকের স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।
খবর এবং বাস্তব চিত্র তো তাইই বলে। ইদানীং ভারতের হিন্দুত্ববাদী চরিত্রের কট্টর মৌলবাদী সরকার তাদের রাজধানীতে নতুন করে সংসদ ভবন নির্মাণ করেছে। শোনা যায় নির্মিত ভবনের দেয়াল চিত্রে তারা এক প্রাচীন ভারতের মানচিত্র এঁকে তাদের স্বপ্নের সার্বভৌম ভারতকে উচ্চকিত করতে চেয়েছে। লক্ষ্যনীয়, তাদের সেই সাধের ভারত মানচিত্রে অশোকের মগধ সাম্রাজ্যের চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে তারা আমাদের বাংলাদেশকেও অন্তর্ভুক্ত করে রেখেছে। কি স্পর্ধা! এই একবিংশের উঠানে দাঁড়িয়ে তারা এখনো সেই আর্য অনার্যের প্রাচীন ভারতের স্বপ্নে নিজেদেরকে উচ্চকিত করতে চায়। তবে কি আমরা ফিরে গেলাম সেই পাটলীপুত্রের মগধ রাজ্যের অশোকীয় সাম্রাজ্যে! বিশ্বের শ্রেষ্ঠ জ্ঞানালয় নালান্দা ধ্বংসের মহা কুশীলব স্বৈরাচারী শাসক অশোক যখন তার বিকট অট্টহাসিতে বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসযজ্ঞ উপভোগ করে তৃপ্তির ঢেকুর তুলেন তখন ভারতীয় ঐতিহ্যের একটি সভ্য জাতিস্বত্ত্বার শেষ শিকড়টি উৎপাটিত হয়েছিল বলে মনে করা হয়। অধুনাকালে সেই অশোক চক্র বা অশোক স্তম্ভের ভিত্তিমূলে যখন ভারতকে তার অস্তিত্বের মূল্যায়নে সামনে এনে দাঁড় করানো হয় তখন বোদ্ধামাত্রই বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয় যে কোন্ বেসিক মূল্যায়নে এই তথাকথিত মহান রাষ্ট্রটি অবস্থান করছে। যে অশোকের মগধ সাম্রাজ্যের মানচিত্র নিয়ে তারা তাদের সেই প্রাচীন ভারতীয় ঐশ্বর্যের স্বপ্নকে দৃশ্যমান করতে চায় সেই বৌদ্ধ বিনাশকারী মহামতি অশোকই যে তার শেষ সময়ে ত্রিচিবর মন্ত্র পাঠ করে বৌদ্ধ সন্যাসী বেশে কুটিরবাসী হয়ে নিজের প্রায়শ্চিত্র করেছিলেন সে ইতিহাসের পাতা কি তারা মুছে ফেলতে পারবেন!
সুতরাং সাধু সাবধান। যতই রামায়ন মহাভারত গীতা পুরান শ্রীকৃষ্ণ শ্রীরাম ক'রে হিন্দুত্ব জাহির করুন না কেন, আসল জায়গায় হাত দিন। এশিয়া মাইনর থেকে ভারতমুখী হওয়া যাযাবর আর্যদের নিয়ে আসা বেদকে শিরোমনি করে নিজেদের ধর্মকে সমুন্নত করুন। ওটাই আপনাদের প্রাচীন সনাতন ধর্মের মূল উৎস। ওটাই ঈশ্বর প্রদত্ত বাণীর মূল কিতাব। ওখানেই খুঁজে পাবেন স্রষ্ঠা প্রদত্ত পরবর্তী এবং শেষ ধর্মের জন্য প্রেরিত বাণী সমূহের সঙ্গে অন্তরীন সাযুজ্য বা ইন্টার লিংক। ওটাতে হিন্দু নামের কোন শব্দ আছে কিনা আমার জানা নেই। তবে আমার জানামতে হিন্দু একটি জাতিস্বত্ত্বা। ওটাকে ধর্ম বানাবেন না। ইন্ডাস থেকে ইন্ডিয়া তেমনি সিন্ধু থেকে হিন্দু। গ্রীক ও এশিয়া মাইনরের প্রান্ত বদলের লোকজন যখন সিন্দু নদী পেরোবেন তখন তারা সিন্ধু নদকে হিন্দু আর ইন্ডাস উচ্চারন করেছিল। এটাকে মিথ্যে প্রমান করতে পারবেন কি! আর এই হিন্দু থেকে হিন্দুস্তান এবং ইন্ডাস থেকে ইন্ডিয়া হয়েছে বলেই আমরা জেনেছি। সুতরাং হিন্দুধর্ম নিয়ে স্বত্বা তৈরী করার অলীক স্বপ্ন না দেখাই ভাল। এখনকার ভারত রাষ্ট্রে হিন্দু ধর্ম বলে আপনারা যে ধর্মীয় জোশ তোলার চেষ্টা করছেন এটা কখনোই বাস্তব সম্মত নয় বা মেলাতে পারবেন না। আর ধর্ম নামসেটার অস্তিত্ব নেই বলেই তো ভারতীয় রাষ্ট্র কাঠামোয় কোন স্বীকৃত রাষ্ট্র ধর্ম নেই। যদি তাই হোত তাহলে সংবিধানে “রাষ্ট্রধর্ম হিন্দু” লিখে দিতে বাবা সাহেব বা প্যাটেল বাবুরা এক মূহূর্তও দেরি করতেন কি! রাষ্ট্রের তো একটা ভাষাও থাকে। সেটারও তো সংবিধানিক স্বীকৃতি নেই। ইদানীংকালে এই যে এত হিন্দি হিন্দি করছেন, সেটা কি সংবিধান স্বীকৃত ভাষা! নাকি ভাষাকে সেকুলার বানাতে গিয়ে আপনাদের এই তথৈবচ অবস্থা। সংস্কৃত ভাষার সাযুজ্যে উদ্ভুত দেবনাগরী হরফের হিন্দি ভাষাকে সম্ভবত সরকারী ভাষা হিসাবে বিবেচনা করা হয় বলে আমরা জেনেছি।
নিজেদের আধিপত্যবাদী চরিত্র প্রমানের আগে নিজের জমিনকে মজবুত করুন। আর ধর্ম যেখান সংবিধান স্বীকৃত নয় তখন কেন এত হিন্দু হিন্দু করে লাফালাফি। আগে একেশ্বরবাদে একাট্টা হোন। তারপরে ধর্মের নামকরন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তার অন্নপ্রাশন করে মাঠে নামুন। ইচ্ছেমত সাপ বাঙ গাছ গরুকে ঈশ্বর বানিয়ে মানুষ হিসেবে ‘নিজেদেরকে ছোট করবেন না। মনে রাখবেন বিশ্ব ব্রম্ভান্ডের মহান স্রষ্ঠা, (আল্লাহ গড ভগবান নামের) নিরাকারী অস্তিত্ব নিয়ে বিরাজমান রয়েছেন। তিনি এক এবং অদ্বিতীয়। তার কোন স্রষ্ঠা ও শরীক নেই। সুতরাং ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি বা আত্মোরম্ভিতা না করে বরং বিবেকানন্দের ভাষায় “জীবে প্রেম করে যেই জন সেইজন সেবিছে ঈশ্বর” এর মন্ত্র গাঁথায় নিজেদেরকে নিবেদন করুন। পৃথিবীটা তো শুধু ভারতকে নিয়ে নয়। এরকম শত শত প্রাচীন বা সনাতনী ধর্ম বিশ্ব ব্রম্ভান্ডে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। সুতরাং খাতনা দিয়ে নাম সংকীর্তন করে তারপরে হিন্দুত্বের জয়গানে আকাশ বাতাস ভারি করুন। মিথ্যে মিথের উপর আর কত! একদল বানর হনুমানকে নিয়ে ঢাকঢোল বাজিয়ে পুজা প্রার্থনা করবেন। কেউবা হাতিকে গনেশ নামে প্রার্থনা করবেন। অন্য প্রান্তের কেউ শিব নামের একজন কালোত্তীর্ন দেবদূতের লিঙ্গ নিয়ে সেখানে মাথা ঠেকাবেন, কেউবা তার স্ত্রীকে দেবীজ্ঞানে পুজা পার্বন করবেন। এটা তো ধর্ম হতে পারেনা। পুজা বা প্রার্থনা করলে নিরাকার ঈশ্বর বা ভগবানের পূজা করুন। তার বর প্রাপ্তদের নিয়ে এত মাতামাতি কেন? বিগ্রহ বানিয়ে যাদের পুজা অর্চনা করছেন তারা তো ভগবানের দেবত্ব প্রাপ্ত মহাপুরুষ। আফটার অল তারা আমার আপনার মত মানুষ। তারা নিজ সাধনায় সিদ্ধ পুরুষ হয়ে আপনাদের পথ দেখিয়েছেন। সেক্ষেত্রে তাদের নাম নিয়ে স্রষ্ঠার সন্তুষ্টিতে পুজা অর্চনা করুন। কিন্তু ভগবান স্বীকৃত ঐশী পুরুষ এবং তাদের আন্ডাবাচ্চা ও ভালবাসার পশু প্রাণীদের বিগ্রহ বানিয়ে তাদেরকে কেন ভগবান বানাচ্ছেন? কেন খামোখা তাদের পায়ে মাথা ঠুকছেন। এসব করে তো আপনারা স্রষ্ঠা ঈশ্বরকে অপমান করছেন।
এসব মতামত ব্যক্ত করার পর হয়তো অনেকের কাছেই শত্রু ও ব্রাত্য হয়ে যাব। কিন্তু এই একবিংশের আলো ঝলমল উঠানে দাঁড়িয়ে এখনো যদি আমি সেই প্রাচীন পৌরানিক কুসংস্কারে আচ্ছন্ন থেকে গরু বানর হাতি হনুমানকে পুজা করে ধর্মাচারনে মহান হতে চাই তবে কি আমি সম্মানের সারিতে আসার বদলে হাস্যোস্পদ হব না? অসির ঝংকারে মহামতি অশোক ভারতীয় ইতিহাসে মহাপরাক্রমশালী মগধ সাম্রাজ্যের পত্তন ঘটিয়েছিলেন৷ তার শৌর্য বীর্য ও সহিংসতায় পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জ্ঞানালয় নালান্দায় ধংসযজ্ঞ চালিয়ে এবং ভারতের মাটি থেকে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের হত্যা ও বিতাড়নের মাধ্যমে নির্মুল করে তৃপ্তির ঢেকুর তুলেছিলেন তিনি। আবার সেই মহাবীর অশোক তার শেষ বয়সে যখন লুম্বিনীর রাজকুমারের ব্রতে মোহিষ্ট হয়ে ত্রিচিবর ব্রত গ্রহন করে অহিংস হলেন তখন মোর্য বংশের আকাশচুম্বি পাখা মেলার দৃশ্যপটে ব্রাহ্মন্য ঠাকুরদের সৃষ্ট দ্রাবিড়ীয় ক্ষত্রিয় ঘোড়ার জিনের লাগামটা আলগা হয়ে যায়নি কি? সুতরাং অশোক, অশোক চক্র, অশোক স্তম্ভ সবই আপনার, কিন্তু পাটলীপুত্র বেষ্টিত বিস্তৃত মগধ সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি যে ক্ষয়িষ্ণু হয়ে শীর্ণ হয়েছে সেটার খেয়াল তো আপনাকে রাখতে হবে। আমরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের বাঙালীরা আপনার দেওয়ানী আমে লাগানো প্রাচীন ভারতের মগধ সাম্রাজ্যের মানচিত্র দেখতে চাই না। যদি একান্তই খায়েস হয় তবে বিংশ শতাব্দীর সাতচল্লিশের গান্ধী - নেহেরু - প্যাটেলকে স্মরন করে বিভাজিত হিন্দু ভারতের মানচিত্র টাঙান। মনে রাখা দরকার, আপনারা জাতিগত হিন্দু, ধর্মগত কখনোই নয়। সে স্বীকৃতি আপনার রাষ্ট্র কাঠমোই আপনাকে দেয়নি। আর মগধ সাম্রাজ্য! ওটার জায়গায় জাদুঘরে। রাখতে হয় রাখুন। ইতিহাস তো!
*(লেখাটি ২০২৪এর প্রথমভাগে লেখা। সময়ের চোখে এটাকে অন-এয়ার করতে পারিনি। প্রাসঙ্গিকতা আছে বলেই অনলাইন করলাম)
লেখকের আরও লেখা

সেফ এক্সিট নিয়ে এবার উপদেষ্টা আসিফের ফেসবুক পোস্ট

এবার হিজাব পরে কটাক্ষের শিকার অভিনেত্রী দীপিকা

পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন ৩ মার্কিন বিজ্ঞানী

কিছু উপদেষ্টার মৃত্যু ছাড়া কোনো সেফ এক্সিট নেই: সারজিস আলম

প্রাচীন মগধের আঁকিবুকি

দেশের রাজনীতিতে শেখ হাসিনার আতঙ্ক বেড়ে চলেছে : গোলাম মাওলা রনি

২৩৭ কোটি টাকা বৈধ করতে কোটি টাকার ঘুষচুক্তি করেন এনবিআর কর্মকর্তা!

ভারত স্বৈরাচারকে আশ্রয় দিয়ে বিরাগভাজন হলে কিছু করার নেই: তারেক রহমান

এক সপ্তাহের মধ্যে অনেক ঘটনা ঘটবে: তাজুল ইসলাম

বাংলাদেশে নির্বাচনে যেই ক্ষমতায় আসুক তার সঙ্গেই কাজ করবে দিল্লি: বিক্রম মিশ্রি

সেই শিক্ষার্থীকে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার

ভাইরাল কৃষকের সঙ্গে জেমসের এই ছবির নেপথ্যে রয়েছে ‘ইতিহাস’

শেকড়ের খোঁজে

আবু ত্বহা আদনানের ‘অন্ধকার জীবন’ নিয়ে স্ত্রীর অভিযোগ

মরক্কো থেকে নেপাল, লিমা থেকে মাদাগাস্কার: জেন-জি আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বজুড়ে

দুনিয়ার সবচেয়ে আজব সেতু বাংলাদেশে!

গাছের সঙ্গে বাঁধা সাত শিশু কাওছারের জীবন!

কারাগারে পরিকল্পনা, তিন মাসেই কোটিপতি ২ যুবক

সিডনিতে দুই বাংলাদেশীর আকস্মিক মৃত্যু

সিডনিতে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত তরুনী খুন

অক্সফোর্ডের করোনার ভ্যাকসিন বিরোধীতায় অস্ট্রেলিয়ার ইমাম ও আর্চবিশপ

অস্ট্রেলিয়ার কারাগারেই আরেক বন্দিকে কোপালেন সেই বাংলাদেশি ছাত্রী সোমা

কিশোরীর সাথে যৌন সম্পর্কের চেষ্টাঃ সিডনিতে বাংলাদেশী ছাত্র গ্রেপ্তার

মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার সেরা ৪-এ বাংলাদেশি-অস্ট্রেলিয়ান কিশোয়ার

হুইপপুত্রের গোপন ব্যবসার বলি তরুণ ব্যাংকার

খোলা চুলে সিগারেট হাতে এবার নতুন বার্তা দিলেন পরীমণি

প্রণব মুখার্জি আর নেই

কুইন্সল্যান্ডে বারবিকিউ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককের আকস্মিক মৃত্যু

মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে পড়ে সিডনির দুই বাংলাদেশীর মৃত্যু
