৩০ পারা কোরআন হাতে লিখলেন ঢাবি শিক্ষার্থী
                                    
                                    
                                        
                                            ডেস্ক রিপোর্ট
                                        
                                    
                                   
                                     প্রকাশ:  ১২:০০ এএম,  ১৮ জুন,শনিবার,২০২২ | আপডেট:  ১০:২৯ পিএম,  ৪ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৫
                                
                        
                    ছবি : সংগৃহীত
ইসলামের প্রতি বিশ্বাস ও আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা থেকে কোরআন হাতে লিখলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী জারিন তাসনিম দিয়া। তিনি পুরো কোরআন শরিফ হাতে লিখেছেন। তারপর হাতে লেখা সেই পান্ডুলিপিগুলো বাঁধাই করে রূপ দিয়েছেন পূর্ণাঙ্গ কোরআনে।
ঢাবির ফলিত গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জারিন তাসনিম দেশের ৫০০ মসজিদে তার হস্তলিখিত কোরআন উপহার দিতে চান।
করোনাকালে লকডাউনে ঘরে বসে নিজের অবসর সময় পার করতে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কোরআন হাতে লিখতে শুরু করেন তিনি। অবশেষে দেড় বছর পর ৩০ পারার ১১৪টি সুরাই লিখে শেষ করেছেন।
তাসনিম দিয়া জানান, এই কাজে তাকে সব থেকে বেশি উৎসাহ দিয়েছেন তার বাবা-মা। ঘরে টানিয়ে রাখার জন্য আয়াতুল কুরসি লিখের পর তিনি এই পবিত্র কাজের অঅনুপ্রেরণা পান।
দিয়া আরও বলেন, আমি এই দেড় বছর সবসময় আমার লেখার সরঞ্জাম কাছে রেখেছি। যখন গ্রামের বাড়ি গেছি তখনও সব সঙ্গে নিয়ে গেছি যাতে লেখা বন্ধ না থাকে। আমার লেখা কোরআনটি কিন্তু এখন পর্যন্ত ৩০ বার খতম হয়েছে। কারণ, লেখা শেষে এটি ৩০ জন হাফেজকে দিয়ে সম্পাদনার কাজ করা হয়। তারা আমাকে যে ভুলগুলো দেখিয়ে দিয়েছেন সেগুলো আমি আবার ফ্লুইড দিয়ে ঠিক করেছি।
৩০ জন হাফেজের সম্পাদনা শেষে পবিত্রগ্রন্থটি বাঁধাই করে রুপ দেওয়া হয় পূর্ণাঙ্গ কোরআন শরিফে। প্রায় সাড়ে ১৪শ’ বছর আগে হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর ওপর কোরআন নাজিল হওয়ার পর এভাবেই হাতে লিখে পবিত্র বাণী সংরক্ষণ করা হতো।
ঢাবির এই শিক্ষার্থী বলেন, তার ইচ্ছা ৫০০ মসজিদে আমার হাতে লেখা কোরআন শরীফ বিনামূল্যে বিতরণ করব। আমি চাই আমার হাতে লেখা কোরআনটি সবাই পড়ুক।
উল্লেখ্য, শিক্ষাজীবনে কখনও মাদ্রাসায় পড়েননি দিয়া। শুধুমাত্র আল্লাহপাকের প্রতি ভালোবাসা থেকেই এই উদ্যোগ।
 


                                    
                                    
                                    
                                    
                                    


