সজীব ওয়াজেদ জয়কে হত্যাচেষ্টা: শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমানের ৭ বছরের জেল
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৮ আগস্ট,শুক্রবার,২০২৩ | আপডেট: ০৭:৫৫ এএম, ২৫ আগস্ট,সোমবার,২০২৫

সাংবাদিক শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমান। ছবি : সংগৃহীত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ এবং হত্যাচেষ্টার মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমান ও আমার দেশ পত্রিকার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনের পৃথক দুই ধারায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. আবদুর রহমার খান কাজল কালবেলাকে জানান, ‘এ মামলায় পাঁচ আসামিকে দুই ধারায় মোট সাত বছরের সাজা দেয়া হয়েছে। উভয় সাজা একসঙ্গে চলবে। এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। রায় শেষে আদালত পলাতক পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে সাজাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।’
যায়যায়দিন পত্রিকার সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমান ও আমাদের দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ছাড়া কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য তিন আসামি হলেন- জাতীয়তাবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তাঁর ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।
রায়ে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগে পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও পাঁচহাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে একমাসের কারাভোগ করতে হবে। এ ছাড়া হত্যার ষড়যন্ত্র করায় দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে একমাসের কারাভোগ করতে হবে। দুই ধারার সাজা একসাথে চলবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।
সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট পল্টন থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যেকোনো সময় জাসাস নেতা মোহাম্মদ উল্লাহসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা ঢাকা শহরের পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে ও যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহর ও যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় আসামিরা একত্র হয়ে বৈঠকে অংশ নেন। তারা সজীব ওয়াজেদ জয়কে যুক্তরাষ্ট্রে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। অপরাধ ঘটানোর দায়িত্ব দেওয়া হয় রিজভী আহাম্মদকে। মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যাচেষ্টা ষড়যন্ত্রের নির্দেশদাতা হিসেবে শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। আর আসামি মোহাম্মদ উল্লাহর বিরুদ্ধে পরামর্শদাতার অভিযোগ উল্লেখ করে পুলিশ।
মোহাম্মদ উল্লাহর ছেলে রিজভী আহাম্মেদের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের কাছ থেকে সজীব ওয়াজেদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করেন। পরে অন্য আসামিদের কাছে সেই তথ্য সরবরাহ করেন। এ ছাড়া মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে অর্থায়ন ও পরামর্শদাতার অভিযোগ আনা হয়। দণ্ডবিধির ৩০৭ এবং ১২০-বি ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।
২০১৬ সালের ১৬ এপ্রিল এ মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান। এ ছাড়া মাহমুদুর রহমানও জামিন নেন। তারা দু’জন জামিন নিয়ে পলাতক হয়েছেন। অপর তিন আসামি মামলার শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন। ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় চার্জশিট দাখিল করা হয়। এ মামলার বিচার চলাকালীন মোট ১৫ সাক্ষীর মধ্যে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। বিচার শেষে গতকাল আদালত রায় ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, জয়কে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনা হয়েছিল নিউইয়র্কে। সেখানে এই মামলার বিচার সম্পন্ন হয়েছে। মামলার রায়ে সেখানকার বিএনপির নেতার ছেলে রিজভী আহমেদ সিজারের ৪২ মাসের কারাদণ্ড হয়। এ ছাড়া ঘুষ লেনদেনের জন্য এক এফবিআই এজেন্টের বন্ধুর ৩০ মাসের কারাদণ্ড হয়।
আরও পড়ুন
এই বিভাগের আরো খবর

শাহজালাল বিমানবন্দরে ১৩০ কোটি টাকার কোকেনসহ নারী গ্রেপ্তার

শেখ মুজিবের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ লিখে টাকা-ফ্ল্যাট দেয়ার ঘটনা তদন্ত লিগ্যাল নোটিশ

শেখ হাসিনা-কামালের বিরুদ্ধে চতুর্থ দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

সাজার রায় শুনে কাঁদলেন পাপিয়া, পাশে দাঁড়ালেন স্বামী সুমন
