avertisements 2

অস্ট্রেলিয়া বিএনপি'র কমিটি গঠনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৫ মে,সোমবার,২০২৩ | আপডেট: ০১:১৬ এএম, ৪ মে,শনিবার,২০২৪

Text

অস্ট্রেলিয়া শাখা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের  কমিটি গঠনের লক্ষ্যে গত ২৩ রা মার্চ ২০২৩ থেকে গৃহীত কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় গত ৯ মে ২০২৩ মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় লাফেম্বার পাবলিক লাইব্রেরী হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রাশেদুল হক রাশেদের আহবানে সমবেত হয়েছেন অস্ট্রেলিয়া বিএনপি'র বিভিন্ন গ্রুপের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।

রাশেদুল হক  এই সভা পরিচালনা করেন। শুরুতেই তিনি উপস্থিত সকল নেতৃবৃন্দকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন তাদের আজকের এই উপস্থিতি অস্ট্রেলিয়া বিএনপি তথা সমগ্র বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিএনপি'র বিভিন্ন সংগঠন এবং গ্রুপকে একত্রিত হয়ে কাজ করে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রনায়ক  তারেক রহমানের সংগ্রামী হাতকে আরো শক্তিশালী করে গড়ে তুলবে। অস্ট্রেলিয়াতে সকলেই স্বাধীনভাবে নিজ নিজ পছন্দমত গণ্ডিতে রাজনীতি করতে পারে। তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানের নির্দেশনায় তিনি অস্ট্রেলিয়া বিএনপিকে সু সংগঠিত করে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের জন্য আন্তরিকভাবে সচেষ্ট। তিনি বলেন তিনি হাই কমান্ড থেকে সকল নির্দেশনা প্রাপ্ত হয়েছেন এবং সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সাথে বাংলাদেশে তিনি প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করে অস্ট্রেলিয়া বিএনপি'র কার্যক্রমের সকল আপডেট তিনি দিয়ে আসছেন। তিনি বলেন সময় এখন অত্যন্ত সীমিত কাজেই সকলকে একত্রিত হয়ে আলোচনায় বসে দ্রুততার সাথে বিএনপি পূর্ণাঙ্গ কমিটির গঠনের সকল কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। তিনি জানান আজকে যারা উপস্থিত হতে পারেননি, তিনিনিজে সচেষ্ট হয়ে আগামী মিটিংয়ে তাদেরকে অবশ্যইউপস্থিত থাকার সকল ব্যবস্থা করবেন। তিনি উপস্থিত সকল নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে বিএনপির সর্বস্তরের নেতা কর্মীদেরকে জানিয়ে দিতে বলেছেন যেন তারা অতি দ্রুত বিএনপি'র সদস্য ফরম পূরণ করেন এবং যথাযথ নির্দেশনা অনুসারে তা জমা প্রদান করেন।
তিনি উপস্থিত সকল নেতৃবৃন্দেকে খোলা মনে আলোচনায় অংশগ্রহণ করার এবং সকলকে তাদের নিজ নিজ মতামত এবং পরামর্শ প্রদান করার জন্য আহ্বান জানান। 
 
রাশেদুল হক  আহবানে সাড়া দিয়ে সর্বপ্রথম ফারুক খান আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। একটি পূর্ণাঙ্গ এবং শক্তিশালী কমিটি করার জন্য সকল গ্রুপকে  সময় নিয়ে একত্রিত হয়ে বসে দীর্ঘ আলোচনার মাধ্যমে করা সম্ভব হতে পারে। সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য আলোচনার স্থান এবং সময় সকলের যেন সুবিধাজনক হয় সে বিষয়েও নিশ্চিত হতে হবে। তিনি আরো বলেন আগামী মিটিংএর সময় নির্ধারণের জন্য অন্তত এক সপ্তাহ সময় দেওয়া দরকার। সবশেষে তিনি সকল গ্রুপকে সহনশীল হয়ে পরবর্তী মিটিংয়ে বসার জন্য আহ্বান জানান।

এডভোকেট নাসিরুল্লাহ বলেন, আমরা সকলে ভিন্ন ভিন্ন গ্রুপে থেকে রাজনীতি করলো আমাদের রাজনৈতিক মতাদর্শ একই। সেই অর্থে একটি পূর্ণাঙ্গ বিএনপি অস্ট্রেলিয়া কমিটি গঠনেও আমরা সহমত ধারণ করি। যেহেতু আমাদের মৌলিক বিষয় কোন মত পার্থক্য  নেই, কাজী পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের বিষয়ক আমাদেরএকত্রে কাজ করতে হবে। এবং এই বিষয়ে তিনি তার ব্যক্তিগত এবং দলীয়সমর্থন জানান। তবে তিনি সকল কার্যক্রমকে যথাযথ নিয়ম নীতির অনুসারে এবং সকল বিষয় নথিভুক্ত কর্ণের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।

রুহুল আমিন বলেন, বাংলাদেশের এই দুঃসময়ে আমাদের সকলের একত্রিতভাবে কাজ করে যাওয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই ব্যক্তিস্বার্থ কে দূরে রেখে, বিএনপি হাই কমান্ড এবং কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিনিধি - সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রাশেদুল হক রাশেদ এর সুনির্দিষ্ট নীতিমালা এবং নির্দেশনায় আমরা একটি ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল অস্ট্রেলিয়া শাখা গঠন করব।

মিতা কাদরী, রাশেদুল হক রাশেদকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান এই সম্মিলিত সভা আয়োজনের জন্য। তিনি বলেন, রাজনীতিতে গ্রুপিং অবশ্যই একটি শুভ লক্ষণ কারণ এর মাধ্যমে রাজনীতির পরিধি বৃদ্ধি পেতে পারে, যদি সকল গ্রুপ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে। তিনি এই সম্মিলিত সভায় উপস্থিত সকল নেতৃবৃন্দকেও ধন্যবাদ জানান। যারা এই সভায় উপস্থিত হতে পারেননি তাদেরকে অবশ্যই পরবর্তী সভায় উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানান। তিনি সকল গ্রুপের নেতাকর্মীদের নিয়ে একটি খসড়া কমিটি গঠন করে, তার অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটিতে পাঠানোর জন্যমতামত ব্যক্ত করেন।
মোবারক হোসেন এবং আশরাফুল ইসলাম তাদের বক্তব্যে তারা রাশিদুল হক সাহেবের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং সদিচ্ছায় অর্জিত অস্ট্রেলিয়া মহাদেশ শাখা পূর্ণাঙ্গ কমিটির নির্দেশনামার জন্য রাশেদুল হক রাশেদকে ধন্যবাদ জানান। তারা ধন্যবাদ জানান উপস্থিত সকল গ্রুপের নেতৃবৃন্দ কেউ। নেতারা বলেন যারা আজকে উপস্থিত হতে পারেননি তাদের সকলকে নিয়েই আমাদের একটি শক্তিশালী পূর্ণাঙ্গ বিএনপি কমিটি গঠন করতে হবে। যার কার্যক্রম বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটিকেও নির্ভরশীল করে তুলবে।

ইলিয়াস কাঞ্চন শাহীন বলেন, আজকে যারা উপস্থিত হয়েছে তাদের সকলকে ধন্যবাদ এবং আমরা একত্রিত হয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ কার্যক্রমকে অগ্রসর করে নিয়ে যাব এবং যারা আজ উপস্থিত হতে পারেননি ভবিষ্যতে তাদেরকে সাথে নিয়ে আরও শক্তিশালী একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করবো।
আশরাফুল আলম রনি সভায় সকলের উপস্থিতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রাশেদুল হক রাশেদ যে নিষ্ঠার সাথে আজকে অস্ট্রেলিয়া শাখা বিএনপি গঠনের জন্য পরিশ্রম করে যাচ্ছে তাতে আমাদের সকলের আন্তরিকভাবে সাহায্য করা উচিত। কাজেই আমরা যারা বিএনপি করি তাদের প্রত্যেকেরই নিজ দায়িত্বে অস্টলিয়া বিএনপি কমিটির গঠনের এই কার্যক্রমকে শরবতভাবে সমর্থন করে তাকে সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য একযোগে কাজ করা।

আমি ফেরদৌস বলেন, সর্বপ্রথম আমাদের সকলকে এক টেবিলে বসতে হবে এবং সকলকে একমত পোষণ করতে হবে। আর এরই ভিত্তিতে আমরা একটি শক্তিশালী পূর্ণাঙ্গ অস্ট্রেলিয়া মহাদেশ শাখা কমিটি গঠন করতে পারব। কাজেই যারা আজ উপস্থিত হতে পারেননি আমরা তাদের জন্য অপেক্ষা করবো তাদেরকে আহবান জানাবো যেন তারা পরবর্তী সভায় উপস্থিত হন এবং আমরা অতি দ্রুত এই কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারি।
হাবিব তার বক্তব্যে রাশেদুল হক কে তার এই অক্লান্ত পরিশ্রমে বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যপদ অর্জনের জন্য তাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন এবং এই সভা আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি ফারুক খানের প্রতিও ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সম্মিলিতভাবে একজন হয়ে অস্ট্রেলিয়া মহাদেশীয় বিএনপি কমিটিরসফলতা কামনা করেন।

এন এম মাসুম বলেন অতীতের সকল ভেদাভেদকে ভুলে সবাইকে এগিয়ে এসে একযোগে কাজ করে একটি শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়া বিএনপি গঠন করতে হবে। সকলের উচিত ব্যক্তিস্বার্থ কে ভুলে দলীয় স্বার্থ কে সকলের ঊর্ধ্বে রেখে সবারই এগিয়ে আসা উচিত।তিনি আরো বলেন, এই ক্ষেত্রে তিনি সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে সর্বদা প্রস্তুত থাকবেন।

হায়দার আলী বলেন, বর্তমানে এখানে উপস্থিত আমরা সকলেই ভিন্ন ভিন্ন গ্রুপের রাজনীতি করে থাকলেও আমরা প্রত্যেকেই একে অপরের সাথে পূর্ব পরিচিত এবং একে অপরের সাথে বিএনপির রাজনীতি করেছি। কাজেই আমাদের সকল গ্রুপিংকে উপেক্ষা করে রাশেদুল হকের আহবানে সাড়া দিয়ে এই স্বল্প স্বল্প নোটিশে সকলের উপস্থিতির জন্য তিনি সকলকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন বিএনপি হাই কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটি এবং রাশেদুল হকের সকল নির্দেশনা তিনি মেনে নিতে প্রস্তুত। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, তার সকল বিএনপির সহযোদ্ধারা সেই একই মত প্রকাশ করেন। কাজেই অচিরেই অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে একটি শক্তিশালী বিএনপি গঠন করা খুব একটা কঠিন বিষয় না। তিনি বিএনপির সর্বস্তরের সকল নেতাকর্মীকে রাশেদুল হকের আহবানে সাড়া দিয়ে অস্ট্রেলিয়া বিএনপির সদস্য পদের ফরম পূরণের জন্য আহ্বান জানান। তিনি বলেন ঐক্যমত এবং কিছু ব্যাক্তি স্বার্থ ত্যাগের মাধ্যমে এই কাজটি সুসম্পন্ন করে অস্ট্রেলিয়া বিএনপি, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের হাতকে আরো শক্তিশালী করতে পারে।

জাকির আলম লেলিন অত্যন্ত আনন্দের সাথে বলেন, অস্ট্রেলিয়া বিএনপি যে আসলে এক এবং যেকোনো সময় আমরা ঐক্যবদ্ধ হতে পারি আজকের এই মিটিং তার প্রমাণ। আমরা অতীতেও যখন স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা অস্ট্রেলিয়াতে এসেছিলেন তখন সকলে একত্রিত হই তা প্রতিহত করেছিলাম। দীর্ঘদিন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত না থাকার কারণে আমরা আমাদের পছন্দমত দল গঠন করেছি। দেশের বা দলের প্রয়োজনে আমরা আবার যে কোন সময় ঐক্যবদ্ধ হতে পারব তার সূচনা আজকের এই মিটিংয়ে আমরা করলাম। দলের সভাপতি কে হবে সেটা মুখ্য না হয়ে ঐক্যবদ্ধ একটি অনুমোদিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করায় আমাদের আজকের মিটিং এর মুখ্য বিষয় হওয়া উচিত। আর একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটির মাধ্যমেই অস্ট্রেলিয়া বিএনপি'র সকল গ্রুপিং বন্ধ করা যেতে পারে। তাই এর জন্য প্রয়োজন সকলের সঙ্গে আলোচনায় বসা। আর এই প্রাথমিক আলোচনায় বসার জন্য প্রত্যেকের ব্যক্তিগত সুবিধা অসুবিধা কে প্রাধান্য দিতে হবে।

তিনি বলেন, উলঙ্গ কমিটি করা বা এখানে বড় পদ পাওয়াটা আমাদের মুখ্য বিষয় হওয়া উচিত না। বরং এখন একটি সময় এসেছে আমাদের সকলের ঐক্যবদ্ধ হওয়া চাচী আমাদের এই সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তবে কমিটি হওয়ার পরেও আমাদের এই ঐক্যকে অটুট রাখতে হবে, যেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আমরা একটি সুন্দর নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। তিনি আরো বলেন যারা আজকে উপস্থিত হতে পারেননি তাদের সাথেও তিনি যোগাযোগ করেছেন এবং তাদের প্রতিনিধিত্ব তিনি করছেন এবং তিনি অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেন, অনুপস্থিত সকলেই আগামী মিটিংএ উপস্থিত হবেন।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2