avertisements 2

একমাত্র সম্বল অটোরিকশা, হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন কিশোর

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৭ ফেব্রুয়ারী,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:৫৫ পিএম, ১৭ মে,শুক্রবার,২০২৪

Text

ভুক্তভোগী কিশোর

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় যাত্রী সেজে উঠেছেন দুই ব্যক্তি। বিভিন্নস্থানে ঘুরে সুযোগ বুঝে চালকের চোখ ফাঁকি দিয়ে রিকশাটি নিয়ে মুহূর্তেই উধাও হয়ে গেলেন যাত্রীবেশী দুই চোর। এ সময় ভাড়ায় চালিত অটোরিকশা হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন চালক মো. ইয়াছিন (১৪)।

রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ মজুপুর গ্রামের পলোয়ান মসজিদ এলাকা থেকে তার অটোরিকশাটি চুরি হয়ে যায়। এর আগে গত দেড় মাস থেকে পরিবারের হাল কাঁধে নিয়ে কিশোর বয়সে অটোরিকশা হ্যান্ডেল ধরে ইয়াছিন। সেটি চুরি হয়ে যাওয়ায় চোখে-মুখে অন্ধকার দেখছে সে।

ভুক্তভোগী ইয়াছিনের বাড়ি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের চরভুতা গ্রামে। ইয়াছিন জানান, রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জের চৌরাস্তা বাজার থেকে তার অটোরিকশায় দুজন যাত্রী ওঠে জেলা শহরে আসার জন্য। বিভিন্নস্থানে ঘুরিয়ে দুপুর দেড়টার দিকে তাকে নিয়ে আসে পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের পলোয়ান মসজিদের পাশে। সেখানে ওই যাত্রীরা নেমে চা পান করে। এ সময় যাত্রীরা (চালক) ইয়াছিনকে পাশের একটি ভবন দেখিয়ে সেখানে পাঠায় সাউন্ড বক্স আনার জন্য। সরল বিশ্বাসে সে তাদের কথামতো সেখানে যায়। এ সুযোগে যাত্রীবেশী চোরেরা তার অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায়। মুহূর্তেই এমন ঘটনায় সে হতবাক হয়ে পড়ে। এরপর কান্নায় ভেঙে পড়ে।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে ইয়াছিন আরটিভি নিউজকে বলেন, গত দেড় মাস থেকে এলাকার জনি নামের একজনের কাছ থেকে অটোরিকশাটি ভাড়ায় নিয়েছি। দিনে ৫ থেকে ৬শ’ টাকা পাই। ৩০০ টাকা ভাড়া হিসেবে মালিককে দিয়ে দেই। বাকী টাকা দিয়ে সংসার চালাই। অটোরিকশাটি এখন চোরে নিয়ে গেছে। মালিককে কি বুঝ দেব।

তিনি জানান, তার বাবা মো. ইব্রাহিম অন্যত্র বিয়ে করে তাদের রেখে চলে গেছে। তারা তিন ভাই-বোন। ছোট এক ভাই ছিল, ছয় মাস আগে ব্রেন ক্যানসারে মারা গেছে। ভাইয়ের চিকিৎসা করাতে গিয়ে অনেক টাকা ঋণ করতে হয়েছে তাদের। একদিকে ঋণের বোঝা, অন্যদিকে পুরো পরিবারের ভার তার কাঁধের ওপর। তাই লেখাপড়া ছেড়ে অটোরিকশা চালানো শুরু করে।

অটোরিকশা চুরির বিষয়টি লক্ষ্মীপুর শহর ফাঁড়ি পুলিশের নজরে আনা হলে উদ্ধারের চেষ্টা চালাবেন বলে জানান ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. জহিরুল আলম।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2