avertisements 2

বদলি হওয়ায় থানার এসি-টিভি-সোফা খুলে নিলেন ওসি

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৭ আগস্ট,রবিবার,২০২৩ | আপডেট: ১১:৩৬ পিএম, ১১ মার্চ,সোমবার,২০২৪

Text

ছবি: সংগৃহীত 

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলামের বদলি হওয়ায় থানায় লাগানো এসি, টেলিভিশন, সোফাসেট আইপিএস খুলে নিয়েছেন। এভাবে থানার জিনিষপত্র গুলো খুলে নেয়ার ঘটনায় আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।
 
এদিকে থানার সৌন্দর্য্য বর্ধনের জন্য যারা জিনিষ পত্র গুলো উপহার দিয়েছেন তারা বিরূপ মন্তব্য করেছেন।
 
শুক্রবার (২৫ আগষ্ট) রাত ৯টার দিকে থানার পুলিশ সদস্য উদয় ও বহিরাগত আরিফ এবং ভ্যান চালকের সহায়তায় থানার জিনিষপত্রগুলো খোলা হয়। এরপর সেগুলো থানা হতে ভ্যানযোগে ওসির কোয়াটারে নেয়া হয়।
 
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (২৪ আগষ্ট) পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার স্বাক্ষরিত স্মারক নং ৫১৭০/১ (৪৯)(আরওআই) আদেশে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তার এই বদলির আদেশের পরের দিন শুক্রবার রাতে থানার এসি, টেলিভিশন, সোফা সেট ও আইপিএস খুলে নেয়া হয়।
 
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ব্যবসায়ীরা জানান, জিনিষপত্র গুলো ব্যক্তিগত কাউকে দেয়া হয় নাই। থানায় যে ওসি আসবে সেই ব্যবহার করবে এজন্যই জিনিষপত্রগুলো কেনার জন্য টাকা দেয়া হয়েছে। এতো নিচু মন মানসিকতার ওসি সেটা জানা ছিল না।
 
থানার পুলিশ সদস্য উদয় বলেন, ওসি স্যারের নির্দেশে জিনিষপত্রগুলো খুলে নেয়া হয়েছে। এরপর সেগুলো ভ্যানযোগে ওসির কোয়াটারে রাখা হয়েছে।
 
নিকরাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি জুরান মন্ডল বলেন, থানার সৌন্দর্য্য বর্ধন ও থানার যেই ওসি আসুক তারা যেন সুবিধামত ব্যবহার করতে পারে সেজন্য বালু মহলের টাকা দিয়ে জিনিষপত্রগুলো দেয়া হয়েছে থানার স্বার্থে কারো ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য নয়। শুনেছি তিনি সেগুলো খুলে নিয়ে যাচ্ছেন এটা ঠিক না। তাকে ব্যক্তিগতভাবে দেয়া হয়নি তার চেয়ারটাকে সম্মান করে দেয়া হয়েছে।
 
ভূঞাপুর থানার ওসি (তদন্ত) মো. লুৎফর রহমান জানান, ওসির টাকায় কেনা জিনিষপত্র হলেতো সে নিতেই পারে। এই বিষয়ে আমার কোন মন্তব্য নেই।
 
বদলি হওয়া ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, যেগুলো থানা হতে খোলা হয়েছে সেগুলো ব্যক্তিগত টাকা দিয়ে কেনা। সুতরাং সেগুলো আমি নিতেই পারি।
 
জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, কারো অনুদানের টাকায় কিনে থাকলে সেগুলো ওসি নিতে পারে না। যদি ব্যক্তিগত টাকায় কেনা হয় তাহলে নিতে পারবেন। যদিও এই বিষয়ে কিছুই জানি না।
 

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2