ডায়রিয়া রোগীর ক্ষেত্রে যা করবেন, যা করবেন না
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৪ এপ্রিল,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:২০ এএম, ২৩ এপ্রিল,মঙ্গলবার,২০২৪
যেকোনো বয়সী মানুষ ডায়রিয়ায় ভুগতে পারেন। কিছু বিষয় খেয়াল রাখলেই সাধারণত ডায়রিয়ার ফলে তেমন কোনো জটিল সমস্যা হয় না। তবে শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের ব্যাপারে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন।
সাধারণত ডায়রিয়া হলে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। কারণ, এই রোগে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণ পানি বের হয়ে যায়। তখন শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। তাই এই সময়ে তরল জাতীয় খাবার খাওয়া জরুরি।
অনেকসময়, ডায়রিয়া একদিনে ভালো হয়ে যায়। আবার অনেক সময় ডায়রিয়া ভালো হতে তিন দিনও লেগে যায়। হজমের সমস্যা থাকলে কারও কারও ক্ষেত্রে আবার কয়েকবার পর্যন্ত হতে পারে।
সাধারণত সংক্রমণ হলে ডায়রিয়া দেখা দেয়। এটি ব্যাকটেরিয়াল, ভাইরাল কিংবা কৃমির কারণে হতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে খাবার বা পানি থেকে এই রোগ হয়।
ডায়রিয়া হলে যা করবেন:
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়রিয়া হলে প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার গ্রহণ করতে হবে। ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে দিনে আট থেকে ১০ গ্লাস তরল খাবেন। প্রতিবার টয়লেটে যাওয়ার পর এক কাপ পরিমাণে তরল খাবার খাওয়া উচিত। এ সময় উচ্চ পটাশিয়ামযুক্ত খাবার যেমন– কলা, আলু ও ফলের রস খাওয়া যাবে। পিনাট বাটার, চমড়াছাড়া মুরগি বা টার্কিও ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে।
ডায়রিয়া হলে যা করবেন না:
ডায়রিয়ার রোগীদের পর্যাপ্ত পানি ও লবণ গ্রহণের ব্যাপারে অবহেলা করা উচিত নয়। ডায়রিয়া হলে শরীর থেকে প্রচুর পানি ও লবণ বেরিয়ে যায়। তাই স্বাভাবিকের চেয়েও বেশি তরল খাবার খেতে হবে এ সময়।
ডায়রিয়া বন্ধ করার ওষুধ সেবন করবেন না। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এ ধরনের ওষুধ ব্যবহার বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। এসব ওষুধ ব্যবহারের ফলে শিশুদের অন্ত্রনালি পেঁচিয়ে গিয়ে মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
নিজে থেকে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ সেবন করবেন না। জীবাণুর সংক্রমণের ফলে পায়খানার সঙ্গে রক্ত গেলেও সব ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োজন হয় না।
ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের সাবান দিয়ে হাত না ধুয়ে খাদ্যদ্রব্যে হাত দেওয়া উচিত নয়।