avertisements 2

‘অশিক্ষিত’ প্রার্থী তিনি

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৮ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৩ | আপডেট: ০৮:৫৩ এএম, ৪ মে,শনিবার,২০২৪

Text

অতীতে যুবলীগের রাজনীতি করলেও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৬ (সদর) আসনে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শহিদুল ইসলাম। বৈধতা পাওয়া এই প্রার্থী হলফনামায় নিজেকে ‘অশিক্ষিত’ বলে উল্লেখ করেছেন।

তবে তিনি দাবি করেন, নিজেকে ‘স্বশিক্ষিত’ বলতে চেয়েছিলেন। ‘উকিলের ভুলে’ হলফনামায় ‘অশিক্ষিত’ লেখা হয়েছে। শহিদুল ইসলাম জেলার শাজাহানপুর উপজেলার কাঁটাবাড়িয়া দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা। বাবার নাম আব্দুল মতিন।

নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হলফনামায় এই প্রার্থী উল্লেখ করেন, তার আয়ের একমাত্র উৎস কৃষি। এই খাত থেকে প্রতি বছর চার লাখ টাকা আয় করেন। নগদ টাকা আছে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। বৈদেশিক কোনো মুদ্রা নেই। তবে আছে ৭০ হাজার টাকার গাড়ি, ৫ লাখ টাকার অলংকার। আসবাবপত্র ও ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী মিলে রয়েছে সাড়ে ৩ লাখ টাকার সম্পত্তি। তার নিজের ১২ শতক ও স্ত্রীর ২ বিঘা ছাড়া আর কোনো সম্পদের উল্লেখ করেননি তিনি।

হলফনামায় শহিদুল ইসলাম উল্লেখ করেন, তার বিরুদ্ধে এনআই (চেক জালিয়াতি) আইনে তিনটি মামলা রয়েছে। এগুলো বগুড়া জেলা জজ আদালতে বিচারাধীন। তিন মামলায় একটি কীটনাশক কোম্পানি তার কাছ থেকে প্রায় ৪ লাখ টাকা পাবেন।

তিনি জানান, ১৯৯৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলা যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন তিনি। শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়ে জানতে চাইলে শহিদুল ইসলাম জানান, ‘আমি উচ্চ মাধ্যমিক পাস। তবে কাগজপত্র এখন কাছে নেই। অন্য একটি জায়গায় জমা দেয়া আছে।’

দেখানো সম্ভব কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সেখান থেকে আনতে সময় লাগবে, এ কারণে নিজেকে স্বশিক্ষিত বলতে চেয়েছি। কিন্তু উকিল ভুল করে অশিক্ষিত লিখেছেন।’ আগামীতেও নির্বাচনে দাঁড়ালে হলফনামায় নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ করবেন না বলে জানান এনপিপির প্রার্থী শহিদুল ইসলাম।

বগুড়া-৬ আসনে এবার বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা পাঁচজন। এর মধ্যে স্বতন্ত্র একজন। অন্যরা সব দলীয় ব্যানারে নির্বাচন করছেন। সদর আসনটিতে মোট ভোটার ৪ লাখ ২৮ হাজার ৪২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ১০ হাজার ৬৬৬ জন। নারী ২ লাখ ১৭ হাজার ৩৭৬ জন। ভোটকেন্দ্র ১৪৪টি। আর ভোট কক্ষ ৯৬৮টি, যার মধ্যে স্থায়ী ৮৯৬ ও অস্থায়ী ৬২টি।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2