avertisements 2

কী হতে যাচ্ছে দেশে

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২০ সেপ্টেম্বর,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:০১ এএম, ৪ মে,শনিবার,২০২৪

Text

‘খাঁচার ভেতর অচিন, পাখি কেমনে আসে যায়?’ মরমী সাধক লালন সাইজির আধ্যাত্ম মন একদা প্রশ্ন ছুঁড়েছিল। সেই উত্তর খুঁজতে সময় চলেই যাচ্ছে। তবে, ঈশ্বরমিত্র নামের এক দার্শনিক মতবাদ রাখায় যেন একটু বিশ্রাম নিলেন! গীতিকাব্য রচনা করলেন! লিখে বললেন, জাপটে ধর চেনা পাখির অচেনা মন কে!

অচিন, নাকি চেনা পাখিটি বাংলাদেশের আকাশে উড়ছে, প্রশ্ন একটা তাই রাখার যৌক্তিকতা আছে। অতিমারি কোভিড এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ যখন সারাবিশ্বকে থমকে দিয়েছে, তখন একান্ন বছর বয়সী বাংলাদেশ কিভাবে চলছে, এগোচ্ছে, তা নিয়ে সাধারণ জনশ্রেণির চিন্তামগ্ন হওয়ার লক্ষণও অবশ্য নেই। তাদেরকে কেবল আদেশক্রমে অনুরোধ করা যায়। বলা যায় যে, স্রষ্টার আনুগত্যে ভেসে যাও এবং প্রকৃতির দিকে তাকাও। তখন মানুষ বলছে, ‘কোভিড-১৯ এখন অতীত, এসব নিয়ে পড়ে থাকার কিছু নেই। প্রকৃতিগত, না কোন মহলের জৈব অস্ত্র হিসাবে কোভিড এসেছিল, এসব নিয়ে সময়ক্ষেপণ করতে পারব না। আমাদের বাঁচতে হবে। খেয়ে পরে চলতে হবে।’ ঈশ্বরমিত্র তখনই বলছেন, এই তোমরা শোন, টিকে থাকাটাই হল স্বার্থপরতা।

বাংলাদেশের মানুষ টিকে থাকার নামে বৈষয়িক হতে চায়। রাষ্ট্র ও সরকার যখন তাদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, তখন বলছে, ‘সঞ্চয় তো করতে পারছি না ? পরের প্রজন্ম খাবে কি ? করবে কী?’ এই সুযোগে বাংলাদেশ নামের কোন রাষ্ট্রকেই যারা প্রত্যাশা করেনি, সেই তারা রাজনৈতিক দলের নামে দুষ্টু রাজসমিতির পক্ষ থেকে বলছে, ‘গণতন্ত্র দাও, ভোটাধিকার দাও, তোমাদেরকে আর ভাল লাগছে না। সহ্য হচ্ছে না।’

বাংলাদেশকে একটি দুর্বল অর্থনীতির দেশ, অধিকার হরণের দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় তারা। বিদেশি শক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে সরকার পরিবর্তনের মাধ্যমে কথিত বিপ্লব করার অভিলাষে অহোরাত্র পার হচ্ছে তাদের। তাই একটার পর একটা এই বাংলায় বন্ধুর পথ এর উদ্বোধনও হচ্ছে, কিন্তু, লাভ হচ্ছে না!

মানবদেহে থাকা রুহু পরিদর্শনে ঈশ্বরের সচিবালয়ের অস্তিত্বসমূহ যথারীতি সকলের মাঝে ফিরছেও। তবে ঈশ্বরমিত্রের দেহসত্তায় খোদ ঈশ্বর নিজেই তাঁর যাতায়াত বাড়ানোয় সমস্যা হয়ে যাচ্ছে দেশের রাজনৈতিক অপশক্তিগুলোর। ঈশ্বরমিত্র বলছেন, হে সৃষ্টিকর্তা, তুমি শেখ হাসিনার বৈঠকখানার জানালা ঘেঁষে ছোট্ট পাখি হয়ে তাঁকে দেখভাল করো। সে তোমাকে চিনতে চেষ্টা করবে। তুমি ফলত অচিন নয়, কখনই নও-- কিন্তু, চিরচেনা তুমি তাঁকে আশীর্বাদ দিয়ে 'চালিয়ে নিও'।

এই চালিয়ে নেওয়ার অসম্ভব ক্ষমতা অর্জন করতে পেরেছেন শেখ হাসিনা। বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলা করার জন্য যখন উন্নত দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে শেখ হাসিনা হোমওয়ার্ক বাড়িয়ে দিয়ে একের পর এক সংকটকে বিদায় দিয়ে বলছে, প্রিয় সংকট, এ-বা-র তুমি আসতে পারো ! তাই সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক ইস্যু ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সামনে এসে পড়লেই যখন ধরে নেওয়া হয়, আর রক্ষা নেই ! কিন্তু, সপ্তাহ না ঘুরতেই শেখ হাসিনা নিজেই ফ্লোর নিয়ে কথা বলবেন এবং সেই সংকট চুপসে গিয়ে অদৃশ্য হয়ে যায়।

বহুল বিতর্কিত তকমা নিয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন ও একটি স্থাপনা দাঁড়িয়ে আছে। ১৯৯১ সাল থেকেই এই স্থাপনার ইট-দেয়াল সুরক্ষিত সজ্জায় সজ্জিত হয়ে বলতে পারে না, আমাদেরকে সব্বাই ভালবাসে ! এমন দিকটি কষ্টের। জাতীয় নির্বাচনের ফল না মানতে পারার মাশুল ঘুরেফিরে নির্বাচন কমিশনের ওপর বর্তাচ্ছে। যা সাংস্কৃতিক মনবোধের কোষকে শ্রী-হীন করায়ে আস্থাহীনতা নামক পরকীয়াকে সু স্বাগত বলায়!

নির্বাচন কমিশন এদিকে ঘোষণা রেখেছে যে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে। না, এই বছরে নয়। টানা তিন মেয়াদের আওয়ামী লীগ সরকারের পনের বছরের ক্ষমতার মেয়াদ শেষ হবে। অতঃপর, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর, অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে সেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশের ৩৯টি রাজনৈতিক দলের তা জানাও ছিল। দেশের প্রধানত দুই রাজনৈতিক শক্তি তাই এবার হিসাব-নিকেশ করেই রাজনীতি করতে চায়। আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যে জানান দিয়েছে, তারা তাদের দলের সম্মেলন আসছে ডিসেম্বরে করবে। সেখান থেকে দলকে পুনর্গঠন করে শেখ হাসিনাকে পুনরায় সভানেত্রীর দায়িত্ব দিয়ে নির্বাচন করার প্রস্তুতিতে চলে যাবে। সূত্র দাবি করছে, শেখ হাসিনা এবার তার দলে নতুন সাধারণ সম্পাদক হিসাবে এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন কিংবা ডক্টর আব্দুর রাজ্জাক অথবা জাহাঙ্গীর কবির নানককে দেখতে চান। যদিও ধারে, ভারে ও যোগ্যতায় লিটন কিংবা ওবায়দুল কাদেরের মত বিকল্প সেকেন্ড ইন কমান্ড আওয়ামী লীগে এখনও তৈরি হয় নাই।

বিএনপি, দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির মূলধারায় নেই। তারা তাদের রাজনীতিকে দুই শীর্ষ নেতার মামলা ও মুক্তি নিয়েই পড়ে থেকে আড়ষ্ট হয়ে আছে। তাঁদের কোন জনস্বার্থ সংরক্ষণের রাজনীতি নেই। তবে অর্থবহ রাজনৈতিক দাবি আছে একটি। তা হল, নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। এমন দাবি নিয়ে তারা আন্দোলনের কথা বলে। জনসম্পৃক্ততা বাড়িয়ে তেমন আন্দোলন করার আদৌ তাদের প্রস্তুতি আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখার অবকাশ রয়েছে। কিন্তু, নাশকতাকে হাতিয়ার করে তারা সমাধান চাইছে বা চাইবে, তা তাদের নেতাদের শারীরিক ভাষা সাক্ষ্য দেয়।

এদিকে আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনি জোটের সমীকরণ নিয়ে এখন নতুন করেই ভাবছে বলে অনুমিত হয়। কারণ, আকস্মিক সিদ্ধান্তে তারা সর্বদলীয় সরকারের অভিযাত্রাকে ‘বিরতি’ দিচ্ছি বলে ঘোষণা করে। অথচ, এমন অভিযাত্রায় নিকট অতীতে তারা জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টি নেতা রাশেদ খান মেনন, জেপি সভাপতি আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব দিয়ে বলবার অভ্যাসে ছিল যে, আমরা এক ও ভালই আছি। তাই বর্ষীয়ান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু কিংবা হাসানুল হক ইনুরা আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে নতুন করে বলতেই পারেন, আমরা পুনরায় ভাল থাকতে চাই !

সঙ্গত যুক্তিতে আওয়ামী লীগ তাদের মিত্র সংগঠন হিসাবে জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ জাসদ, সাম্যবাদী দল, ন্যাপ, গণতন্ত্রী পার্টি, জাকের পার্টি, ইসলামী ঐক্য জোট, কমিউনিস্ট কেন্দ্র, জাতীয় পার্টি- জেপির মত দলগুলোকে পুনরায় প্রত্যাশা করবে। এমন কি তারা এবার বাসদ, সিপিবির মত বামদলগুলোকে কাছে পেতে চাইবে। অবাক করে দিয়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতির বিবেচনায় এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট কেও চাইতে পারে। যেখানে বাংলাদেশ ন্যাপ এর মত নিবন্ধিত সংগঠনও রয়েছে। আবার মোস্তফা মহসিন মন্টু ও তার পরিচালনায় থাকা গণফোরাম এর মত দলও তাদের জোটে থাকতে পারে।

অন্যদিকে বিএনপি আন্দোলনের নামে হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ পরিস্থিতিকে আশ্রয় দিয়ে কথিত আন্দোলনকে লক্ষ্য করে একটি পরিকল্পনা এবং জাতীয় নির্বাচনের জন্যও একটি পরিকল্পনার ছক এঁকেছে বলে ধরে নেয়ার সুযোগ আছে।

একটু কৌশলী হয়ে তারা বাংলাদেশকে দিনের আলোয় বোঝাতে চাইছে, বিতর্কিত সংগঠন জামায়াতে ইসলামী আমাদের সাথে নেই। কাজটি অবশ্য বিএনপির সম্মিলিত বা গোষ্ঠিগত জায়গা থেকে সিদ্ধান্তের ফসল কিনা, সে প্রশ্নে সমাধান খোঁজা প্রাসঙ্গিক নয়। তবে এটি কৌশল হিসাবে করেছে মির্জা ফখরুলেরা। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চেয়ে তাদের কথিত আন্দোলনে ফলত যার যার জায়গা থেকে মিশন পরিচালনা করবে, এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার দুইটি দিক রয়েছে। এক, হত্যা, অগ্নি সন্ত্রাস করার পর দেশকে অচল করে দেয়া গেলে তাদের দাবি পূরণের ইচ্ছে পূরণ হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে। দুই, খুবই খারাপ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে গেলে কর্তৃত্ববাদী অনির্বাচিত সরকারে ব্যক্তিবিশেষের জায়গা যেন নিশ্চিত হয়।

প্রথমটির লক্ষ্য হিসাবে সেই জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়া। আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে বিজয়ী হওয়া গেলে তখন তারা পুনরায় জামায়াত, আওয়ামী লীগবিরুদ্ধ রাজনৈতিক ছোট মাঝারি শক্তিদের নিয়ে নির্বাচনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিবে। সেই ধরনের জোটে কর্নেল অলির দুর্বল এলডিপি, এক ব্যক্তি এক দল খেতাবধারী কল্যাণ পার্টির জেনারেল ইব্রাহিম এবং আসম আব্দুর রবের নেতৃত্বাধীন সাত দল-উপদলের গণতন্ত্র মঞ্চ যোগ দিতে পারে। যে মঞ্চের অধিকাংশ দলের নিবন্ধনই নেই। উপরন্ত, বিএনপি জাতীয় পার্টির কয়েকটা অংশের অন্তত একটাকে নতুন করে হাত করতে পারে। বিদিশা এরশাদ তেমন পছন্দে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। আরেকটি দুর্বল অংশ তো আগভাগ থেকেই আছে। কাজী জাফর গ্রুপ ! জাতীয় পার্টি (এরশাদ) মুলত নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থান কে সুসংহত করতে চায়। হালে তারা সরকারবিরোধী বক্তব্য বিবৃতিতে থেকে নিজেদের কদর বাড়াচ্ছে বলে মনে করার সুযোগ রয়েছে। অন্যদিকে জামায়াতও বলছে, আমরা বিএনপির সাথে নেই। সব কিছুই কৌশলের অংশ হিসাবে দেখার সুযোগ আছে।

দুই নম্বর দিকটির সফলতা প্রশ্নে পর্যালোচনা ও গবেষণা করে বিএনপির নেতৃস্থানীয় দুই একজন রাজনীতিক দেখেছেন যে, তাদের সাথে সরাসরি এখন আ স ম আব্দুর রব, জাফরউল্লাহ, রেজা কিবরিয়া, জোনায়েদ সাকি কিংবা মাহমুদুর রহমান মান্নারা থাকলে সুশীল সমাজ ও বিদেশি শক্তি বিএনপিকে সরাসরি প্রশ্রয় দেবে না। বরং, সুশীল সমাজ কথিত গণতন্ত্র মঞ্চকে সামনে নিয়ে এগিয়ে যাবে। তখন তারা আবার বিএনপির কয়েকজন নেতাকে জায়গা দেওয়ার সুপারিশ করে বিরাজনীতিকরণের সমীকরণে দেশ শাসনের বন্দোবস্তে চলে যেতে পারবে। অর্থাৎ, এই প্যাকেজটি আলোচনা করার মাধ্যমেই নিষ্পত্তি হয়েছে। এই জন্যই গণতন্ত্র মঞ্চ বিএনপির সমালোচনাতেও ইদানিং থাকছে।

শোনা যায়, বিএনপির বিতর্কিত নেতা তারেক রহমান অবশ্য প্রথম পয়েন্টের ওপর জ্ঞাত হয়ে বলেছেন, ‘এটা কর এবং আমি নিজেও মার্চ ২০২৩-এ বাংলাদেশে আসব। সরকার পতন হতেই হবে।’

বিএনপি মূলত এই বছরে নাশকতার নামে চূড়ান্ত আন্দোলনে যেতে পারছে না। আগামী অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রায় সব ধরণের সংগঠনকেন্দ্রিক একাধিক সম্মেলন রয়েছে। তাই তারা মাঠে থাকবে। অন্যদিকে এই বছরের ২০ নভেম্বর থেকে বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর রয়েছে। তখন পুরো দেশবাসী বিশ্বকাপ জ্বরে আক্রান্ত হবে। সব কিছু মিলিয়ে তারা নতুন বছরের জানুয়ারি থেকেই শুরু করতে পারে। মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব ইদ উল ফিতরের আগেই তারা কিছু একটা করতে চায়।

টমাস পেইনের দার্শনিকবাঁশির সুর শেখ হাসিনার দীপ্ত কণ্ঠ হয়ে আজ বলাচ্ছে যে, সংকটকে পিছু ফেলে নতুন করেই শুরু করতে হবে। সে জন্যই শেখ হাসিনা কাউকে ছাড় দেন না। অনেকেই বলে থাকেন যে, বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রায়শই কারো প্রতি কটাক্ষ করে কথা বলা মেনে নেওয়া যায় না। কিন্তু টমাস পেইনের উক্তি যথার্থ হয়ে পড়ে যখন শেখ হাসিনাই যেন নতুন করে বলতে পারছে, এই তোমরা শোন, "যে অপমান করার সাহস রাখে না, সে সৎ হতে পারে না।" শেখ হাসিনা নিজেকে প্রমাণ করে বলতে পারছেন, "আসল মানুষ কষ্টে হাসে, কষ্ট থেকে শক্তি সংগ্রহ করে এবং প্রতিফলনের মাধ্যমে সাহসী হয়।"

প্রকৃতি আওয়ামী লীগের পক্ষে আছে, তা বলা যায় না, যাবে না। কিন্তু ঈশ্বর শেখ হাসিনাকে দেখছেন। শুধুমাত্র সমাজের মানুষ হয়ে চলতেই থাকলে শেখ হাসিনাকেও রাজনৈতিক অপশক্তির কাছে হেরে যেতে হবে। তাকে ঈশ্বর সুযোগ দিয়ে পরখ করছেন। বাংলাদেশ শুধু নয়, এই বিশ্বের অধিকাংশ রাজনৈতিক বিপ্লবগুলো কৃত্রিম আয়োজনে বন্দোবস্ত ছিল। ইউরোপিয়ানরা বাংলাদেশকে নিয়ে ইদানিং আগ্রহী। এখানেও একটি কৃত্রিম বিপ্লব করতে চাইছে একটি শ্রেণি। সাধারণ মানুষ মনে করবে, জনশ্রেণির সম্পৃক্ততায় এই বিপ্লব করা তো ঠিকই আছে। আসলে ঠিক হবে না। বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষণ ও নেতৃত্বের প্রশ্নে দার্শনিক ও আধ্যাত্মিক সত্তা ঈশ্বরমিত্র শেখ হাসিনার জন্য ঈশ্বরকে আলাদা করে বলেছেন। চেনা পাখিটির প্রতীকী রক্ষণ সব কিছু সামলিয়ে রাখছেও।

ঈশ্বরমিত্র বলছেন, ‘নিকৃষ্ট রাজনীতিকদের অভিনয় শৈলী অবুঝ ও দুষ্টু জনশ্রেণির চোখ কে ভেজায় কিন্তু খোদ শাসক না কাঁদতে পারলে সেই জনগোষ্ঠির ভাগ্যের পরিবর্তন হয় না, হবে না। শাসনরীতির সকল তন্ত্রই অর্থহীন, যখন ব্যক্তিশাসন গণমুখী ইতিহাস রচনায় সিক্ত হয়।’

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2