অর্পণ-দর্পণ স্মৃতি ফাউন্ডেশন উদ্ভাবিত
‘শুদ্ধাচার অনুশীলনে চল্লিশের চর্চা’ বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৭ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৫ | আপডেট: ০৪:০৮ এএম, ২৭ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৫
আজ মিরপুরস্থ ইউসেপ বাংলাদশের প্রধান কার্যালয়ের চেইনী হল রুমে সকাল ১০.৩০ ঘটিকায় অর্পণ-দর্পণ স্মৃতি ফাউন্ডেশন উদ্ভাবিত ‘শুদ্ধাচার অনুশীলনে চল্লিশের চর্চা’ বিষয়ক একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রস্তাবিত ৪০ দিনব্যাপী শুদ্ধাচার অনুশীলনে চল্লিশের চর্চায় একজন শিক্ষার্থী মিথ্যাকথা বলা থেকে বিরত থেকে বিভিন্ন ধরণের ভালো কাজে অংশগ্রহন করে থাকে। অনুষ্ঠানে অর্পণ-দর্পণ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী ও এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর সাবেক মহাপরিচালক মোঃ রাশেদুল ইসলাম উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধে উল্লেখ করেন যে, জুলাই বিপ্লবে ছাত্রজনতার সফল গণঅভ্যুত্থানের পর এ দেশের একটি শ্রেণির মানুষের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে চলে আসা ঘুষ, দুর্নীতি ও বিভিন্ন প্রকার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড কমে আসবে ধারণা করা হলেও, বর্তমান বাস্তব অবস্থা ধীরে ধীরে পূর্বরূপ ধারণ করেছে বলে প্রচার মাধ্যমে প্রকাশ। কোনও কোনও ক্ষেত্রে এসব অপরাধের মাত্রা ও ব্যাপকতা পূর্বের তুলনায় অনেক বেড়েছে বলেও জানা যায়। বাংলাদেশে সংঘটিত প্রায় সকল প্রকার অপরাধের উৎসমূলে সমাজে মানুষের মধ্যে প্রচলিত ক) অবাধ মিথ্যাচার, খ) দেশপ্রেমের অভাব এবং গ) ধর্ম ও নীতিনৈতিকতাবোধ কাজ না করা উল্লেখযোগ্য কারণ বলে তিনি উল্লেখ করেন। অর্পণ-দর্পণ স্মৃতি ফাউন্ডেশন উদ্ভাবিত ‘শুদ্ধাচার অনুশীলনে চল্লিশের চর্চা’র বাস্তবায়নকৌশল এমনভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে যেন, দুর্নীতি ও অপরাধ প্রবণতার উৎসমূলের উল্লিখিত তিনটি বদগুণ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মনে দানা বাঁধতে না পারে। দেশের সকল প্রকার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা পর্যায়ে প্রস্তাবিত ‘শুদ্ধাচার অনুশীলনে চল্লিশের চর্চা’ কর্মসূচি আকারে বাস্তবায়ন করা হলে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশে জনগণের বহুল প্রত্যাশিত অপরাধমুক্ত ও বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তোলা সরকারের পক্ষে সহজতর হতে পারে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, অর্পণ- দর্পণ স্মৃতি ফাউন্ডেশন পরিচালিত এ কর্মসূচি বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ ক্যাপিটাল স্কুল এন্ড কলেজ, লালমনিরহাট জেলার ফাকল পুলিশ লাইন স্কুল এন্ড কলেজ, লালমনিরহাট কালেক্টরেট কলেজিয়েট স্কুল এবং একই জেলার চর ফলিমারি স্মৃতি রায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলমান রয়েছে। সভায় ইউসেপ পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একই কর্মসূচি চালুকরণের প্রস্তাব করা হয় । মতবিনিময় সভায় বক্তাগন বিষয়টি সময় উপযোগী ও জনগুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন । মতবিনিময় সভার প্রধান অতিথি এবং ইউসেপ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক মুখ্যসচিব ড. মোঃ আবদুল করিম ইউসেপ অর্থায়নে পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে উল্লেখ করেন । সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্পণ- দর্পণ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শারমিনা পারভিন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম এম্ব্যসেডর ও বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সাবেক সম্মানিত সদস্য সালাহ উদ দীন আহমেদ।
অর্পণ-দর্পণ স্মৃতি ফাউন্ডেশন একটি অরাজনৈতিক ও অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবামুলক প্রতিষ্ঠান। সোসাইটিজ এ্যাক্ট, ১৮৬০ এবং বৈদেশিক অনুদান (স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম) রেগুলেশন এ্যাক্ট, ২০১৬ এর আওতায় প্রতিষ্ঠানটি নিবন্ধনকৃত। ‘নিজে সৎকাজ করি এবং অন্যকে সৎকাজে উদ্বুদ্ধ করি’-এই ব্রত নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কাজ করে আসছে। প্রস্তাবিত বিষয়টি অর্পণ-দর্পণ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের “অন্যকে সৎকাজে উদ্বুদ্ধকরণ” -এর লক্ষ্যে গৃহীত কর্মসূচির একটি অংশ।





