avertisements 2

নবনির্মিত পাকা সড়ক ৬ মাসেই ধসে পড়েছে

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১০ ফেব্রুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ১১:১৮ এএম, ৮ মে, বুধবার,২০২৪

Text

বরিশালের বাকেরগঞ্জে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সড়ক মাত্র ৬ মাসেই খালে ধসে পড়েছে। এতে সেখানকার মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বাজার ও মসজিদ ঝুঁকির মুখে রয়েছে। উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউপির শ্যামপুর-বিরঙ্গল ১ কিলোমিটারের এ পাকা সড়কটি এখন গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে। বাকেরগঞ্জের এমন হাফ ডজন পাকা সড়ক নামমাত্র সংস্কার করায় এখন বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে।

ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনিয়মে কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ টেকসই না হওয়ার অভিযোগ করেছেন জনপ্রতিনিধিরা। সাধারণ মানুষের মধ্যে এ ঘটনায় ক্ষোভ বিরাজ করছে। বাকেরগঞ্জের রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের অভিযোগ, শ্যামপুর-বিরঙ্গল সড়ক ১ কিলোমিটার পাকা সড়কটি নির্মাণ হয় ৮ মাস আগে। কিন্তু ৬ মাস আগেই সড়কের একাংশ পার্শবর্তী খালে দেবে গেছে। এ কারণে শ্যামপুর বাজার, জামে মসজিদ, শামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভাঙনের মুখে পড়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মেহেদী হাসান শামিম বলেন, খালের পাশে পাইলিং করে সড়কটি নির্মাণ করলে এমনটা হতো না। এখন যে কোনো সময় পার্শ্ববর্তী হাইস্কুল ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। এজন্য ঠিকাদারের অবহেলা দায়ী।

একইভাবে উপজেলার পাদ্রিশিবপুর ইউনিয়নের কানকি ব্রিজ হতে মালেক কলেজ পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার কার্পেটিং সড়ক দেড় বছরের মধ্যে ভেঙে গেছে। কোথাও পিস আবার কোথাও ঢালাই এর সড়কটি দিয়ে চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়া বোয়ালিয়া গরুর হাটের পেছন দিয়ে ২ কিলোমিটার সড়ক দুই বছরের শেষে করেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।

এদিকে বাকেরগঞ্জ পৌর এলাকার কয়েকটি সড়কেরও বেহাল দশা। পৌর এলাকার ডাকবাংলা থেকে উপজেলা নির্বাচন অফিস পর্যন্ত আধা কিলোমিটার রিপিয়ারিং করা হয়েছিল এক বছর আগে।

৫নং ওয়ার্ড সংলগ্ন রাস্তাটির মাঝে মাঝে গর্ত মেরামত করা হলেও তা বছর শেষে যেই সেই অবস্থায় পরিণত হয়েছে। যে কারণে উপজেলার হাসপাতালের কর্নার দিয়ে বৃষ্টি হলেই পানি উঠে যায়। পৌর এলাকার বাড়ি বাজারের ৫০০ মিটার সড়ক নাই বললেই চলে।

পৌর পাকার মাথা থেকে শ্যামপুর বাজারের ৩ কিলোমিটার সড়কের মেরামতের একাংশ খানাখন্দে ভরে গেছে। পরের অংশ মেয়াদ উত্তীর্নের দুই বছরেও পাকা না করার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।

পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমিরুজ্জামান রিপন এ তথ্য স্বীকার করে বলেন, সড়কগুলো মেরামত না করা হলে আগামী বর্ষায় ভয়াবহ পরিণত হবে। তবে এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ পৌরসভার প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম জানান, এ কাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে শিগগিরই কাজ শুরু করা হবে।

এ ব্যপারে বাকেরগঞ্জ উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী আবুল খায়ের মিয়া বলেন, তিনি পরিদর্শন করে দেখেছেন শ্যামপুর সড়কটির একাংশ ধসে গেছে। প্রায় ১ কোটি টাকায় নির্মিত সড়কটি আগামী বর্ষায় পরিস্থিতি নাজুক হতে পারে।

তিনি জানান, ঠিকাদারকে সড়কটি সংস্কার করে দেওয়ার জন্য জানানো হয়েছে। এটি পুনরায় মেরামত করতে হবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে। অন্য সড়কগুলোও বর্ষার আগে দ্রুত কাজ শেষ করার তাগিদ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান প্রকৌশলী আবুল খায়ের মিয়া।

সড়কটি নির্মানে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার নাসির মাঝি এ প্রসঙ্গে বলেন, সড়কটির পাশে খাল থাকায় ভেঙে পড়ছে এটা মেরামত করে দেওয়া হবে।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2