avertisements 2

ওসির স্ত্রীর এনআইডি দুইটি, করেছেন আরো একটির আবেদন!

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৬ জুন,শুক্রবার,২০২৩ | আপডেট: ০৩:২৯ এএম, ৪ মে,শনিবার,২০২৪

Text

অবৈধভাবে ১৮ কোটি টাকার মালিক হওয়ায় পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থানার সাবেক ওসি সৈয়দ আব্দুল্লাহ, স্ত্রী ফারহানা আক্তার ও শাশুড়ি কারিমা খাতুনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কার্যালয়ের অনুসন্ধানী কর্মকর্তা (সহকারী পরিচালক) মোস্তাফিজ বাদী হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার এই মামলা করেন। সৈয়দ আব্দুল্লাহ বর্তমানে ফেনী পুলিশ সুপার কার্যালয়ের ক্রাইম শাখায় পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত আছেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে বলা হয়, সৈয়দ আব্দুল্লাহ প্রতারণার উদ্দেশ্যে তাঁর স্ত্রী ফারহানা আক্তারের নামে দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরি করেন, যার নম্বর ৬৮৬১৩০১৮৩৩ ও ৮৭০৮২০৩৮৬৭।

আরেকটি এনআইডির জন্য আবেদন করেছেন, যা প্রক্রিয়াধীন (ফরম নম্বর ১১৪৫৩৯০৬০)। বর্তমানে থাকা দুটি এনআইডিতে ফারহানার জন্ম তারিখ যথাক্রমে ০১/০৪/১৯৭৮ ও ১০/০৪/১৯৮২ উল্লেখ রয়েছে।  নতুন যে এনআইডি কার্ডের জন্য আবেদন করা হয়েছে তার ফরমে জন্ম তারিখ  উল্লেখ করা হয়েছে ০১/০৪/১৯৮০। বর্তমানে থাকা দুটি এনআইডির বিপরীতে ফারহানা আক্তারের কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) যথাক্রমে ৪৬৯৩৯৪২৮১৮১২ ও ৫৮২৪১২৬৫৭৪৫৫।

মামলায় বলা হয়, অনুসন্ধানকালে নথিপত্র পর্যালোচনায় আসামি সৈয়দ আব্দুল্লাহ ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আমানত হিসেবে এক কোটি ৭৬ লাখ ৯৫ হাজার ৮৫৪ টাকা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকে দুটি এনআইডি কার্ড ব্যবহার করে এক কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র এবং ৩১ লাখ টাকায় গাড়ি কেনা হয়েছে। মোট তিন কোটি সাত লাখ ৯৫ হাজার ৮৫৪ টাকার অস্থাবর সম্পদ কিনেছেন তাঁরা। এ ছাড়া সৈয়দ আব্দুল্লাহর নিজ নামে দুটি প্লট, স্ত্রী ফারহানা আক্তারের নামে দুটি আবাসিক ফ্ল্যাট, একটি বাণিজ্যিক জায়গা রয়েছে।

স্ত্রী ফারহানা আক্তারের ব্যাংক হিসাব থেকে অর্থ পরিশোধ করে শাশুড়ি কারিমা খাতুনের নামে একটি আবাসিক ফ্ল্যাটসহ মোট ১৫ কোটি সাত লাখ ৬৪ হাজার ৪৩২ টাকার বেশি মূল্যের স্থাবর সম্পদ কিনেছেন। সব মিলিয়ে আসামিদের নামে ১৮ কোটি ১৫ লাখ ৬০ হাজার ২৮৬ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া গেছে। পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত থাকা অবস্থায় সৈয়দ আব্দুল্লাহর পদমর্যাদার বিপরীতে এই টাকা জ্ঞাত আয়ের উৎসর সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ।

এ ছাড়া অর্থপাচারের উদ্দেশ্যে স্ত্রী ফারহানা আক্তারের সঙ্গে যোগসাজশে একাধিক এনআইডি ব্যবহার করে স্ত্রীর নামে বিভিন্ন ব্যাংকে হিসাব খুলে ২৬ কোটি ৫০ লাখ টাকার বেশি সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন সৈয়দ আব্দুল্লাহ। পিরোজপুর জেলা দুদকের সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক শেখ গোলাম মাওলা বলেন, পুলিশ কর্মকর্তা সৈয়দ আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে এ মামলা করা হয়েছে। ফেনীতে কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক সৈয়দ আব্দুল্লাহর বাড়ি নড়াইল জেলায়। মামলার বিষয়ে জানতে তাঁকে ফোন করা হলে তিনি তা ধরেননি।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2