তিব্বতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতেরে সংখ্যা বেড়ে ৫৩
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৭ জানুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২৫ | আপডেট: ০২:১৪ পিএম, ২৬ আগস্ট,মঙ্গলবার,২০২৫

ছবি: সংগৃহীত
চীনের তিব্বতে আজ মঙ্গলবার সকালে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ৫৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। চীনের সংবাদমাধ্যম সিনহুয়াকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিব্বতে নেপাল সীমান্তের কাছে ৭ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ৫৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ৬০ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে।
ভূমিকম্পের ফলে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল বিশেষ করে বিহার, আসাম ও পশ্চিমবঙ্গেও ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানেও ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল তিব্বতের রাজধানী লাসা থেকে প্রায় ৫০ মাইল পশ্চিমে। ওই এলাকার নিকটবর্তী ড্যামাকসং কাউন্টির গেদার শহরে হতাহতের ঘটনাগুলো ঘটেছে। ভূমিকেম্পর পর সকাল ১০টা নাগাদ একাধিক আফটার শক রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে তীব্র আফটার শকের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৪।
চীন জানিয়েছে রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৮। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার নিচে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১।
চীনের বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার বরাত দিয়ে এএফপি জানায়, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল চীনের জিজাং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে (তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল)। ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র ছিল তিব্বতের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সিগাজের কাছে।
প্রসঙ্গত, নেপাল ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে অবস্থিত, যেখানে ভারতীয় ও ইউরেশীয় টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষে হিমালয় পর্বতমালা গঠিত হয়েছে। এ কারণে এই অঞ্চলে প্রায়ই ভূমিকম্প ঘটে।
এর আগে ২০১৫ সালে নেপালে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার এক শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রায় ৯ হাজার মানুষ প্রাণ হারান এবং ২২ হাজারের বেশি মানুষ আহত হন। ওই ভূমিকম্পে অর্ধ-লক্ষাধিক বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।