
জালাল উদ্দিন আহমেদ
দ্বিচারিতা-২
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২২ অক্টোবর, বুধবার,২০২৫ | আপডেট: ০৯:৫০ পিএম, ২২ অক্টোবর, বুধবার,২০২৫

ইদানীং এই শব্দটির বহুল ব্যবহারে এর ব্যাপকতা এতই বেড়েছে যে এই শব্দটাকে নিয়ে এখন আর কাউকে খুব বেশী উচ্চবাচ্য করতে দেখা যায় না। রাজনীতি বলুন, রাষ্ট্রনীতি বলুন সর্বক্ষেত্রেই এই চার আক্ষরিক শব্দটি আজ যেন ডালভাত হয়ে গেছে। অবশ্য ব্যক্তি জীবন থেকেই এর সূত্রপাত। ব্যক্তি থেকে সমাজ এবং সেখান থেকে রাষ্ট্র ও রাজনীতি সর্বক্ষেত্রে এই দ্বিচারিতার জয় জয়কার। কোন্দিকে তাকাবো! সর্বভূমে সর্বক্ষেত্রে সর্বভুকের মত এই শব্দটি যথেচ্ছভাবে ব্যবহার হচ্ছে। ফলে মানবিক ও সামাজিক ক্ষয়িষ্ণুতা থেকে তা ছড়িয়ে পড়ছে রাজনীতি ও রাষ্ট্রাচারে। অবশ্য সাম্প্রতিক সময়ে আন্তঃরাষ্ট্রীয় দ্বিচারিতার বহুল ব্যবহারে আজ বিশ্বব্যাপী সহিংসতা ও অমানবিক কার্যধারার মহাযজ্ঞ চলছে। ‘চোরকে বলে চুরি করো আর গেরস্থকে বলে সাবধানে থেকো’র সেই আয়োজনের নাট্যমঞ্চ আজ বিশ্বময় একটি প্রচলিত অধ্যায়। এবং অমোচনীয় অধ্যায়ই বলা যায়। এই অধ্যায়টি না থাকলে আজকাল কোন উপন্যাসেই তা পুর্ণতা পায়না। যুগ পরম্পরায় লক্ষ্য করলে রাজা মহারাজাদের রাজ দরবার থেকে হেরেমের অন্তঃপুরেও এই দ্বিচারনের অহরহ উপমা খুঁজে পাওয়া যায়। এমনকি রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে যুদ্ধ বিগ্রহ ও তার পরিণতির দৃশ্যপটেও এই দ্বিচারিতার প্রকটতা প্রকাশ্য হয়।
বাংলাদেশ একটি ছোট্ট ভূখন্ডের দেশ। তবে এর উপচে পড়া জন বিস্ফোরনে দেশটি জন্মলগ্ন থেকেই ন্যুব্জ। তারপরেও জন আধিক্যের সুবিধাভোগে একটি বিশাল কর্মীবাহিনী বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থেকে তারা দেশটাকে মাথা উঁচু করে দাঁড় করিয়ে রাখতে প্রানান্ত করে যাচ্ছেন। কথাগুলি যদিও এই আলোচনায় অপ্রয়োজনীয় তবুও বলতে দ্বিধা নেই যে এই ছোট্ট ভূখন্ডের আঠার কোটির মাথাভারী দেশে যদি তার মাটি ও মানুষের সঙ্গে জড়িত রাজনীতি ও রাষ্ট্রনীতি সঠিক পথে চলতে পারতো, রাজনীতি তার দ্বিচারিতার পথ ছেড়ে নেতৃত্বের দৃঢ়চেতায় দেশের জনগনকে দেশপ্রেমের প্যারামিটারে একবিন্দুতে স্থির রাখতে পারতো তাহলে আমাদের মত এত সুখী সমৃদ্ধ দেশ আর পৃথিবীতে দ্বিতীয়টা থাকতো কিনা সন্দেহ আছে। সেক্ষেত্রে জটিল সমীকরনে মাথাভারি নিজের দেশকে উহ্য রেখেই দুনিয়াব্যাপী ঘটে যাওয়া দ্বিচারিতার সামগ্রিকতা নিয়েই না হয় ভাবনার ঝাঁপিটা খুলে দেখি। তবে এর ব্যপকতা এত যে সামান্য এক দুই এপিসোডে এর চিত্রায়ন করা যাবে না। তাছাড়া সর্বগ্রাসী আদিপত্যবাদী আচরন ও ব্যক্তি স্বেচ্ছাচারিতার মাশুলে হক কথা উচ্চারনেও অনেক সময় শঙ্কিত থাকতে হয়। বিশ্বায়নের এই যুগে পাশের বাড়িতে আগুন লাগলে তার আঁচ নিজের বাড়িতেও অনুভূত হয়। সেক্ষেত্রে তার প্রতিক্রিয়াও চোখে পড়ে। এই যেমন ধরুন আমাদের চব্বিশের জুলাই বিপ্লব এবং তার পূর্বে শ্রীলংকায় সংঘটিত গণঅভ্যুত্থান এবং তৎপরবর্তী নেপালের গনেশ উলটানো, সবকিছু এক সুতোয় গাঁথা নয় কি? শোনা যায় সুপার পাওয়ার হওয়ার খায়েসে নির্ঘুম ভারতের মৌলবাদী শাসক সরকারেও ইদানীং ঘুনে ধরা শাসন ও রাজনীতির তঞ্চকতায় দেশটি এখন জর্জরিত। অর্থাৎ দক্ষিণ এশিয়ার পুরো রাজনীতি ও সরকার ব্যবস্থা যে কাঙ্খিত “জনগণের সরকার” এর বদলে প্রবল পরাক্রমশালী “সরকারের জনগনে” পরিণত হয়ে রাজদন্ডের চেহেরায় নিজেদেরকে উপস্থাপন করে নিয়েছে তা বুঝার জন্য বিশেষজ্ঞ হয়ে বলা লাগেনা।
দুটি বিশ্বযুদ্ধ হয়ে গেল। যুদ্ধ পরবর্তীতে রাজনীতি সমাজনীতি ও রাষ্ট্র পরিচালনায় যে মৌলিক পরিবর্তনগুলো লক্ষ্য করা যায় সেসব অনেকটা পাটিগণিতের সুদকষা অংকের মতই মনে হয়। যুদ্ধ পরবর্তী সময়েই বোধ হয় মহাজনী পশ্চিমা ধনবাদী রাষ্ট্র সমুহ তাদের সামরিক ও অর্থনৈতিক জালের ফাঁক ফোঁকরগুলি ভালভাবে রিপু করার সময় পেয়েছিল, ফলে সুদকষা অংকের হিসেবগুলো নিজেদের মত কষে নিয়েছিল তারা। জাতিগত চিন্তার উর্ধে উঠে হলেও সেখানে কিছুটা ধর্মীয় নাড়ির টানও ছিল বোধ হয়। মেধা ও শ্রমের মূল্য চুকানোর অন্তরালে তাদের আপন গোত্রীয় ধর্মভেদের এক পথভ্রষ্ট জাতিস্বত্বাকে আগলে রাখার কৌশলে তারা যে অপকৌশল সৃষ্টি করে এই ইহ জগতে অনাচার ও সহিংসতার সূত্রপাত ঘটালেন তার জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরিতে আজ গোটা পৃথিবী জ্বলছে। দুই মহা সমরে না হলেও ৯ কোটির অধিক সামরিক ও বেসামরিক মানব সন্তানের প্রান গেল। লক্ষ নিযুত কোটির সম্পদ বিনষ্ট হোল। কিন্তু মানুষ শান্ত হোল না। যেন বেঁচে থাকার নতুন লাইসেন্স পেয়ে তারা আরো বেপরোয়া হোল। লীগ অব নেশন্স বা সংযুক্ত রাষ্ট্র পুঞ্জীয় ক্লাব জাতিসংঘ সৃষ্টি হোল, তবে এইসব দোকান খুলে তাবড় দুনিয়ার মোড়লীপনার একটা প্লাটফরম তারা পেয়ে গেল।
এই তারা কারা! এই তারা হচ্ছে ঐসব বিশ্ব মোড়লের কয়েকটি জাতিরাষ্ট্র যারা এতদিনের বিকাশমান দুনিয়ায় যুদ্ধবিগ্রহ আর বেনিয়াগিরি করে পাড়া প্রতিবেশীসহ পৃথিবীর প্রায় সকল দেশ সমূহকে ব্যতিব্যস্ত রেখেছিল। এখন যেহেতু জাতিসংঘের মত একটি বিশ্বমঞ্চ পাওয়া গেল, অতএব এই জুজুকে সামনে রেখে নিজেদের মত করে তারা দ্বিচারিতায় ভরা ‘দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন’ নামক প্রচলিত কাহাবতের উল্টোপথে নিজেদের দোকান সাজাতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো। যদিও দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর তাদের এই দোকানের দুটি মুখ ছিল। ফলে গোটা বিশ্ব সেসময় এক প্রচন্ড স্নায়ুচাপে দিনাতিপাত করেছে। কিন্তু ডানপন্থা বেনিয়া ও যুদ্ধবাজ মাত্ববরদের টানা পোড়ন আর চোখ রাঙানিতে শেষমেশ এই দ্বিমুখী দোকানের সমাজতান্ত্রিক মুখটি বন্ধ হয়ে গেল। অর্থাৎ জন আকাঙ্খার মূল্যায়নে না চলে মাসল মানি ও মেশিনের দাপটে বেনিয়া যুদ্ধবাজরা একাট্টা হয়ে নিজেদের দোকানের সমৃদ্ধি ঘটালো। তাদের মূল মটো হল ক্ষমতা আর অর্থ। এই দুটি শব্দের বাইরে তারা কিছু বুঝে না। মানবতা, সহমর্মিতা, নৈতিকতা আর মানবিক মূল্যবোধের যতই বাক্য উচ্চারন করুক না কেন, তাদের মূল উদ্দেশ্য হোল ক্ষমতা ও অর্থকে সুসংহত করার জন্য দুনিয়াজুড়ে নিজেদের আধিপত্যের জাল বিস্তার করে রাখা।
এ এক বিশাল আলোচনা। কেস স্টাডি ধরে ধরে করতে গেলে সে এক বিশাল ভলিয়্যুমের মহাগ্রন্থ তৈরী হবে। তাছাড়া যে স্বেচ্ছাচারিতা আর হুকুমনামার আদলে এই বিশ্ব ব্রম্ভান্ডের চাকা ঘুরছে তাতে করে বিশ্বশান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য তৃতীয় মহা সমরের সময় বোধ হয় ঘনিয়েই আসছে। দ্বিতীয় মহা সমরের পর যে দ্বিমুখী দোকান খুলে স্নায়ু যুদ্ধের সূত্রপাত করা হয়েছিল তা এখন নেই। ন্যাটো আর ওয়ারসের দামামা বন্ধ হয়েছে। মাঠে এখন খেলোয়াড় একজনই। অথচ এই দোকানটাও বন্ধ হয়ে যাওয়া উচত ছিল কিন্তু বেনিয়া মনোবৃত্তির সূদুর প্রসারী দ্বিচারিতার যুদ্ধবাজ ধনবাদী গোষ্ঠী তাদের যুদ্ধসাজের দোকানটি বন্ধ তো করলোই না বরঞ্চ তারা তাদের যুদ্ধ ও শক্তি প্রদর্শনের দোকানের প্রসার ঘটানোর জন্য উঠেপড়ে লেগে রইলো। সেই প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে তারা। আর মহাশয়ের গোঁফে তা লাগানোর পেয়েদারা অর্থাৎ ইউরোপীয় গ্রুপের কতিপয় চামচ আর বিচ্ছিন্ন দুনিয়ার কিছু প্যারাসাইটিক জাতিরাষ্ট্র এই মহাজাগতিক যজ্ঞে অনবরত ঘি ঢেলেই যাচ্ছে। তারা নিজেদের বিশ্বমোড়ল ভাবছেন। এর প্রমানও তারা নির্লজ্জভাবে দিয়ে যাচ্ছেন। অথচ আজকের বিশ্ব মোড়লের শিরোমনির ঘর ঠিক আছে তো? নিজের সীমারেখাতেই তিনি বা সেই জাতিরাষ্ট্র কি ঠিক আছে? চাকরীহীন ভূমিহীন গৃহহীন আশ্রয়হীন চিকিৎসাহীন সর্বোপরি বাস্তুচ্যুত মানুষের আহাজারিতে সে দেশের নগর বন্দর এমনকি প্রত্যন্ত এলাকাতেও আজ হাহাকার চলছে অথচ বিশ্ব মোড়লের হামবড়া ভাব নিয়ে চলতে গিয়ে এবং তার বিশ্বজয়ের যুদ্ধবাজির লটবহর পালতে গিয়ে দেশটা ফোকলা হয়ে গেছে - তার খবর কি কেউ রাখে?
আমরা প্রায়শই নিজেরদের মাথার উপর ঋনের বোঝা নিয়ে হাপিতেশ বা অতঙ্কগ্রস্ত হই। কিন্তু কেউ কি খেয়াল রেখেছেন ওই বিশ্ব মোড়লটির মাথাপিছু ঋনের বোঝা কোন পর্যায়ে গিয়ে জমেছে। বিশ্বব্যাংক বলুন আর আইএমএফ বলুন, তাদের কিন্তু এসব নিয়ে মাথাব্যাথা নেই। উনি তো বস! উনার আবার এসিআর কিসের? কিন্তু তৃতীয় বিশ্বের মালি বাঙালী সোমালী-রা কবে তাদের দেউলিয়াত্বের সীমানা ক্রস করবে এসব নিয়ে তাদের গবেষণার শেষ নেই। কে বা কারা ধর্ম মতের সংখা লঘুদের নিয়ে সামাজিক বিপর্যয় ঘটালো, কোন রাষ্ট্র কোনপথে চলবে, কে কার সাথে চলবে ইত্যাদি ধরনের হাজারো আঞ্চলিক ও বহুজাতিক সমস্যার সৃষ্টি করে তা আবার নিজেদের ফরমায়েসী প্রেস্ক্রিপশন বাতলে দেয়ার মহান কর্মটি করার জন্য তারা বিশ্বময় আজ মোড়লের আসনে বসেছে। একদিকে যুদ্ধের উস্কানী, অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষকে টিকে থাকার মহানুভবতায় বেঁচে থাকার অঢেল রসদ সরবরাহ কিংবা অস্ত্র দিয়ে যুদ্ধ টিকিয়ে রাখার মন্ত্র। এ এক জলন্ত আগ্নেয় লাভা। কতটা নির্লজ্জ হলে মানব সমাজে এসব ঘটে! পুচকে যুদ্ধবাজকে অস্ত্র দিয়ে দুর্ধষ্য বানানোর পাশাপাশি আক্রান্ত জাতিগোষ্ঠীকে খাদ্য ও রসদ সরবরাহের নামে প্রকাশ্যে এনে শিশু নারীদের বোমা মেরে নিশ্চিহ্ন করার এত বড় পাশবিক নৃশংসতাও আজ এই একবিংশের উঠানে চলমান। অথচ বিশ্ব নিশ্চুপ হয়ে যাচ্ছে শুধুমাত্র জাতিসংঘ নামক বিশ্বআখ্যাত ক্লাবের “নিরাপত্তা পরিষদ” নামক গিট্টুর এক অভারট্রামেই। স্রষ্টা কর্তৃক অভিশপ্ত হিংস্র পশু প্রজাতির জাতিগোষ্ঠীর দ্বারা আজ তার প্রতিবেশীরা অতঙ্কগ্রস্ত। অথচ শান্তির নোবেল পাওয়ার আশায় তারই ইশারায় যুদ্ধ বন্ধের নাটক মঞ্চস্থ করা হয়। শান্তির নোবেল খুঁজছেন অথচ গোটা পৃথবীকে অশান্ত করে রেখেছেন তিনি। এই দ্বিচারিতার শেষ কোথায়। দ্বিচারনের এই অন্তহীন যাত্রার ইতি বা ফুলস্টপ কোথায় তা শুধু অন্তর্যামীই জানেন!
(এই শিরোনামে বছর দেড়েক আগে একটি তাত্বিক আর্টিক্যাল লেখেছিলাম বলে মনে পড়ে। তাই “দ্বিচারিতা-২” নামে নিবন্ধটি উপস্থাপন করলাম। হয়তো আরো হতে পারে)।
লেখকের আরও লেখা

দ্বিচারিতা-২

তুমি না মরলে আমি মাহিরের হতে পারব না

পর্নোগ্রাফির সঙ্গে জড়িত আলোচিত বাংলাদেশি তারকা-যুগল গ্রেপ্তার

৪৩ বছর কারাভোগের পর নির্দোষ প্রমাণ, তবুও পাঠানো হচ্ছে নির্বাসনে!

দেশে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?

স্পন্সর ভিসা নিয়ে বড় সুখবর দিলো ইতালি সরকার

‘প্রেমঘটিত’ কারণে জবি শিক্ষার্থী খুন, নারী শিক্ষার্থী আটক

চট্টগ্রাম বন্দরে ১২০০ টন পণ্য নিয়ে জাহাজডুবি

ট্রাম্পকে খুশি রাখতে কূটনীতি ও প্রশংসায় পাকিস্তানের বাজিমাত

আলোচিত সেই ৫০০ ভরি স্বর্ণ চুরির রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ৪

মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি শেখ হাসিনা: দ্য টেলিগ্রাফ

শিপিং ব্যয় বাড়ার প্রভাব পড়বে ভোক্তাদের ওপর

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ

হামাস চুক্তির শর্ত না মানলে ফের অভিযান চালাবে ইসরায়েল: ট্রাম্প

যুক্তিতর্ক শেষ, শেখ হাসিনা ও কামালের মৃত্যুদণ্ডের আবেদন

দুনিয়ার সবচেয়ে আজব সেতু বাংলাদেশে!

গাছের সঙ্গে বাঁধা সাত শিশু কাওছারের জীবন!

কারাগারে পরিকল্পনা, তিন মাসেই কোটিপতি ২ যুবক

সিডনিতে দুই বাংলাদেশীর আকস্মিক মৃত্যু

সিডনিতে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত তরুনী খুন

অক্সফোর্ডের করোনার ভ্যাকসিন বিরোধীতায় অস্ট্রেলিয়ার ইমাম ও আর্চবিশপ

অস্ট্রেলিয়ার কারাগারেই আরেক বন্দিকে কোপালেন সেই বাংলাদেশি ছাত্রী সোমা

কিশোরীর সাথে যৌন সম্পর্কের চেষ্টাঃ সিডনিতে বাংলাদেশী ছাত্র গ্রেপ্তার

মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার সেরা ৪-এ বাংলাদেশি-অস্ট্রেলিয়ান কিশোয়ার

হুইপপুত্রের গোপন ব্যবসার বলি তরুণ ব্যাংকার

খোলা চুলে সিগারেট হাতে এবার নতুন বার্তা দিলেন পরীমণি

প্রণব মুখার্জি আর নেই

কুইন্সল্যান্ডে বারবিকিউ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককের আকস্মিক মৃত্যু

মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে পড়ে সিডনির দুই বাংলাদেশীর মৃত্যু
