avertisements 2

অল্প সময়ে কোটিপতি হওয়ার পরিকল্পনায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে খুন! 

আদালতে একজনের স্বীকারোক্তি

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৮ সেপ্টেম্বর,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০২:৩০ এএম, ৪ মে,শনিবার,২০২৪

Text

আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন রাজমিস্ত্রী আইয়ুব আলী

অবশেষে পটিয়ায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী বিমান ধর খুনের প্রাথমিক রহস্য উৎঘাটন হয়েছে। পটিয়া থানা পুলিশের খাঁচায় বন্দি রাজমিস্ত্রী আইয়ুব আলীর দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে খুনের রহস্য বেরিয়ে এসেছে। শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর হাকিম নাজমুন নাহারের আদালতে স্বীকারোক্তিমমূলক জবানবন্দি দেন রাজমিস্ত্রী আয়ুব আলী।  

এর আগে গত শুক্রবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আইয়ুব আলীকে (১৯) তার মামার বাড়ি ফটিকছড়ি উপজেলার পাইন্দং থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

তিনি জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নুরুল আজগরের পুত্র।
জবানবন্দিতে আইয়ুব আলী জানান, তারই প্রতিবেশী রিকশাচালক জিল্লুর রহমান গত ৩ সেপ্টেম্বর তাকে অতি অল্প সময়ে কোটিপতি হয়ে স্বাছন্দ্যে জীবনযাপনের স্বপ্ন দেখান। এজন্য তারা উপজেলার জঙ্গলখাইন এলাকার বিটা সেন্টার এলাকায় গিয়ে পরিকল্পনা করেন,  ধনী হতে একটি অপরাধ সংগঠিত করতে হবে। তারা টার্গেট করেন স্বর্ণ ব্যবসায়ী বিমান ধরকে। তারা জানতেন যে, চট্টগ্রাম নগরে বিমান ধরের সাতটি স্বর্ণের দোকান রয়েছে। প্রতিদিন রাতে বিমান ধর দোকান বন্ধ করে নগদ টাকা ও স্বর্ণের বার নিয়ে বাড়িতে ফেরেন-  এমন ধারণা থেকে তাকে আটকানোর পরিকল্পনা নেন দুজন। এরই ধারাবাহিকতায় ৪ ও ৫ সেপ্টম্বর দু'দিন রাতে লড়িহরা নির্জন এলাকায় তারা দুজন পাহাড়া দিয়ে আসছিলেন। ওই সময় রাস্তায় লোকজন থাকায় তাকে আটকানো সম্ভব হয়নি। ৬ সেপ্টেম্বর রাত ১১টায় বিমান ধর মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফেরার পথে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা রিকশাচালক জিল্লুর রিকশা দিয়ে বিমান ধরের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করেন। এসময় তাদের মাঝে কথাকাটাকাটি হয়। হত্যাকারীরা তার নগদ টাকা ও স্বর্ণের বার খোঁজাখুজি করতে চাইলে বিমান ধর বাধা দেন। একপর্যায়ে জিল্লুর তার হাতে থাকা হাসুয়া (দা) দিয়ে আক্রমণের চেষ্টা করেন। তাতে অপারগ হলে আইয়ুব আলীর হাতে দা দিয়ে তার গলায় আঘাত করার জন্য বলেন জিল্লুর। আইয়ুব আলী বিমান ধরের গলায় দা বসিয়ে দিলে ঘটনাস্থলে উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে আক্রান্তের চিৎকারে আশপাশের লোকজন আসতে দেখে আইয়ুব আলী বিমান ধরের গলা কেটে করে পার্শ্ববর্তী জমির ওপর রেখে দেন। রিকশাচালক জিল্লুর রিকশা নিয়ে পালিয়ে যান।  

গোপন সূত্রের ভিত্তিতে পটিয়া থানার ওসি তদন্ত রাশেদুল ইসলাম ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই সঞ্জয় ঘোষ গত ১৫ সেপ্টেম্বর রিকশা চালক জিল্লুর রহমান ও গৈড়লা এলাকার বাপ্পু ধরকে গ্রেপ্তার করে। তাদের গ্রেপ্তারের পর ঘটনার জট খুলতে শুরু করে। পুলিশ শুক্রবার আইয়ুব আলীকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকারীরা পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডের বিবরণ দিলে তাদের জবানবন্দি আদালতে রেকর্ড করা হয়।  

পটিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিক রহমান জানান, এ হত্যাকাণ্ডের মোটিভ উদ্ধারে পুলিশবাহিনীর সদস্যরা নিরলস কাজ করেছেন। এ ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিমান ধরের হত্যাকাণ্ডে জড়িতদেরকে আইনের হাতে সোপর্দ করব। তবে তিনি এ আসামিদের গ্রেপ্তারের পেছনের রহস্য তুলে না ধরলেও তাদের নিজস্ব সোর্সের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের মোটিভ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2