সাগর-রুনি হত্যা মামলায় ফারজানা রুপাকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১২ মার্চ,
বুধবার,২০২৫ | আপডেট: ০৬:২৯ এএম, ১৭ জুন,মঙ্গলবার,২০২৫

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্তের স্বার্থে কারাগারে থাকা একাত্তর টেলিভিশনের সাবেক প্রধান প্রতিবেদক ফারজানা রুপাকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) আদালতে শেরে বাংলা নগর থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার সূত্রে জানা যায়, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজিজুল হক সম্প্রতি ফারজানা রুপাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করেন। গত ৪ মার্চ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম আবেদন মঞ্জুর করেন। মামলায় প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৫ এপ্রিল দিন ধার্য করা হয়েছে।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ঘটনার সময়ে ফারজানা রুপা এটিএন বাংলার রিপোর্টার ছিলেন এবং রুনির সঙ্গে পারিবারিকভাবে ঘনিষ্ঠতা ছিল। হত্যাকাণ্ড নিয়ে তিনি টেলিভিশনে রিপোর্টও করেছিলেন। তদন্তকারী সংস্থার ধারণা, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মামলার রহস্য উদঘাটনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যেতে পারে।
এই মামলায় মোট আটজন আসামি রয়েছেন। তারা হলেন— তানভীর রহমান, বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল ও আবু সাঈদ। একাধিকবার রিমান্ডে নেওয়া হলেও কেউ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরে বাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
প্রথমে থানার এসআই তদন্ত শুরু করলেও পরে এটি ডিবি’র কাছে হস্তান্তর করা হয়। রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হওয়ায় হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল মামলার তদন্তভার র্যাবের হাতে দেওয়া হয়। দীর্ঘ সময়েও র্যাব প্রতিবেদন দিতে ব্যর্থ হয়।
গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট র্যাবের পরিবর্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গঠিত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্সকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়।