avertisements 2

ফরিদপুরে এক যুগ আগে মৃত বিএনপি নেতাকে ধরতে বাড়িতে পুলিশ

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১০ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:৩৩ এএম, ৭ মে, বুধবার,২০২৫

Text

ফরিদপুরে মৃত বিএনপি নেতা বাচ্চু মিয়াকে ধরতে বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ 

আগামী ১২ নভেম্বর ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণ সমাবেশের আগে দলটির নেতা-কর্মীদের বাড়িতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।  অভিযানের ধারাবাহিকতায় ১২ বছর আগে প্রয়াত এক বিএনপি নেতাকে ধরতে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। বাচ্চু মিয়া আলী নামে ওই বিএনপি নেতা দলটির ফরিদপুর শহর শাখার সভাপতি ছিলেন। ফরিদপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনারও ছিলেন তিনি। 

বিএনপির এই নেতা মারা গেছেন এক যুগ আগে। অথচ তাকে গ্রেপ্তারের জন্য মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে শহরের পশ্চিম খাবাসপুর মহল্লা এলাকার মিয়াপাড়া সড়কের ১১৩ নম্বর বাড়িতে।

১২ নভেম্বর ফরিদপুর বিভাগীয় গণসমাবেশের আগে বুধবার দুপুরে ফরিদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি। নেতাকর্মীদের পুলিশি হয়রানি করা হচ্ছে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ তোলা হয়। বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ, পুলিশ সরকারের হয়ে বিএনপির সমাবেশকে ব্যাহত করার জন্য এ হয়রানি চালাচ্ছে।

২০১০ সালের ২৮ আগস্ট মারা যান বাচ্চু মিয়া আলী। তাকে মিয়াপাড়া কবরস্থানে দাফন করা হয়। মৃত্যুকালে স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রেখে যান বাচ্চু মিয়া। দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। 

মঙ্গলবার রাতে ওই বাড়িতে বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী মৌসুমী আলী, ছেলে মাহির আরাফাত আলী (১৬) ও মেয়ে আন্তরা মালিয়া (২৫) ছিলেন। তারা কেউই রাজনীতি করেন না। মাহির একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। আর আন্তরা স্থানীয় একটি কিন্ডাগার্টেন স্কুলে শিক্ষকতা করেন।

বুধবার সকালে বাচ্চু মিয়া আলীর স্ত্রী মৌসুমী আলী থানায় গিয়ে এক যুগ আগে মারা যাওয়া স্বামীর মৃত্যুসনদ জমা দেন।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বাচ্চু মিয়া আলীর স্ত্রী মৌসুমী আলী বলেন, পুলিশের দুই সদস্য বাড়ির সামনে এসে দরজায় ধাক্কা দিয়ে ডাকাডাকি করতে থাকেন। 

তারা বলেন, ‘‘আমরা ঢাকা থেকে এসেছি। দরজা খুলুন, বাচ্চু মিয়া আলীকে ডাকেন। আমরা ওনাকে নিতে এসেছি।'' 

জবাবে মৌসুমী আলী বলেন, ‘‘তাকে (বাচ্চু মিয়া) নিতে হলে কবরস্থান থেকে নিয়ে যেতে হবে। তিনি বেঁচে নেই।''

তখন পুলিশ সদস্যরা বলেন, ‘‘দরজা না খুললে কীভাবে খুলতে হয় তা আমরা জানি।'' তখন মৌসুমী আলী বলেন, ‘‘রাতে দরজা খোলা যাবে না। আপনারা অপেক্ষা করেন, সকালে দরজা খুলব।''

এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বলেন, পুলিশ ওয়ারেন্ট তামিল করতে ওই বাড়িতে গিয়েছিল। তিনি দাবি করেন, বাচ্চু মিয়া নয়, তার ছেলের নামে ওয়ারেন্ট ছিল।

বাচ্চু মিয়ার ছেলে অপ্রাপ্তবয়স্ক জানালে ওসি বলেন, ‘‘তবে আদালত থেকে পাওয়া ওয়ারেন্টেও তথ্যগত ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা ওয়ারেন্টটি যাচাই করে দেখছি।''

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2