avertisements 2

চাকরি না পাওয়ার ক্ষোভে সব সার্টিফিকেট ছিঁড়ে ফেললেন যুবক

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২০ সেপ্টেম্বর,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:২১ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারী,শুক্রবার,২০২৪

Text

অনেক ঘোরাঘুরি ও চেষ্টার পরও চাকরি না পেয়ে শিক্ষা জীবনের সব সার্টিফিকেট ছিঁড়ে ফেলেছেন এক যুবক। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ফেসবুক লাইভে নিজের শিক্ষা জীবনে অর্জিত সব একাডেমিক সার্টিফিকেটগুলো ছিঁড়ে ফেলেন বাদশা মিয়া (৩১) নামের ওই যুবক।
বাদশা মিয়া নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সুন্দর খাতা গ্রামের বাসিন্দা মহুবার রহমানের ছেলে।

জানা যায়, অভাবের সংসারে ছয় ভাই–বোনের মধ্যে সবার বড় বাদশা। ২০১৪ সালে নীলফামারী সরকারি কলেজ থেকে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক সম্পন্ন করেন। তবে অর্থের অভাবে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করতে পারেননি। বাদশা ২০০৭ সালে জিপিএ ৩.৯২ পেয়ে বিজ্ঞান বিভাগে দাখিল, ২০০৯ সালে জিপিএ ৪.০৮ পেয়ে বিজ্ঞান বিভাগে আলিম এবং ২০১৪ সালে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ ৪.০০ এর মধ্যে ২.৬৬ জিপিএ নিয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন। 

সামাজিক মাধ্যমে সার্টিফিকেট ছেঁড়ার ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে বাদশা বলেন, ‘আসলে আমার ভাগ্যটাই খারাপ! কত মানুষ ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়ে করে খাচ্ছে। আর আমি এত সার্টিফিকেট নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরেও একটা সরকারি বা বেসরকারি চাকরি জোটাতে পারিনি। সার্টিফিকেট অনুযায়ী চাকরির বয়স শেষ, এখন এগুলো রেখে লাভ কি? বয়স থাকতেই তো চাকরি জোটাতে পারিনি।’ 


হতাশাগ্রস্থ ওই যুবক আরও বলেন, ‘আমার বাবা খেয়ে না খেয়ে আমাকে লেখাপড়া শিখিয়েছেন। বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা–মা ও ছোট ভাই–বোনদের মুখের দিকে তাকাতে পারি না। বর্তমান সমাজে সবচেয়ে অসহায় মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষিত ছেলেরা। এরা না পারে চাকরি জোটাতে, আবার অর্থের অভাবে ব্যবসা বাণিজ্যও করতে।’

এদিকে বাদশার বাবা মহুবার রহমান জানান, বয়সসীমা শেষ হওয়ায় বেশ কিছুদিন থেকে হতাশায় ভুগছিল বাদশা। কাউকে না জানিয়ে ও সার্টিফিকেটগুলো ছিঁড়ে ফেলেছে।

অবশ্য ওই ভিডিওর কমেন্টে সবাই বাদশার প্রতি সহমর্মিতা জানিয়েছেন। কেউ কেউ তাকে একটা চাকরি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন বিত্তবান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিকদের।

 

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2