avertisements 2

‘আমি আর খেলতে যাইবো না, তুমি মইরা যাইও না মা’

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৫ সেপ্টেম্বর,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৪৩ পিএম, ১০ মে,শুক্রবার,২০২৪

Text

ইনসেটে নিহত নাসরিন আক্তার

নিষেধ না শুনে ছেলে খেলতে যাওয়ায় অভিমানে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন মা নাসরিন আক্তার (৩২)। এমনকি ছেলের সামনেই ঝুলে পড়েন তিনি। ছেলের আকুতি কানেই নেননি।
শনিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিজের (১২) সামনে রাগ করে ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস নেন মা নাসরিন।  এসময় ১২ বছর বয়সী ছেলে জানালা দিয়ে মাকে বলছিলেন, ‘মা আমি আর কখনো খেলতে যাব না, তাও তুমি মইরা যাইও না।’ 

পরে পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

মৃত নাসরিনের শ্বশুরবাড়ি ঢাকার বিক্রমপুর এবং তার বাবার বাড়ি শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার ভায়াডাঙ্গা গ্রামে।

জানা গেছে, নাসরিনের স্বামী বাবু ঢাকা-শেরপুর সড়কে চলাচলকারী শেরপুর চেম্বার অব কমার্সের বাসে সুপারভাইজারের চাকুরি করতেন। ২০২০ সালে এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। স্বামী মারা যাওয়ার পর নাসরিন গর্দানারায়ণপুরে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিলেন। 

নিহত নাসরিনের বড় ছেলে নাফিজ জানায়, আমি বাইরে খেলতে গেলে মা প্রতিদিন বকাবকি করতেন। আজও আমি খেলতে যাই। মা আমাকে বকাবকি করেন। পরে মা আমার সঙ্গে রাগ কইরা ঘরের দরজা বন্ধ করে। আর বলতে থাকে আমি ফাঁসি দিয়ে মইরা যামু। তখন আমি দরজা ধাক্কাইয়ে মার কাছে মাফ চাই। আর কোনো দিন আমি বাইরে যামু না, খেলবার যামু না। তারপরও মা দরজা খুলে নাই। পরে আমি জানালার পাশে যাই। এ সময় দেখি মা তার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝোলার চেষ্টা করতাছে। আমি চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন আইসা স্টিলের দরজা ভাঙ্গার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। 

পরে স্থানীয় লোকজন শেরপুর সদর থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

শেরপুর সদর থানার ওসি বসির আহমেদ বাদল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে দরজা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2