ফেরি করে গাঁজা বিক্রি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ৩ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২০ | আপডেট: ০২:৫৪ এএম, ১ আগস্ট,শুক্রবার,২০২৫

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামনেই কাওরান বাজার সংলগ্ন রেললাইন ও আশেপাশের সড়কে দিনভর চলে ফেরি করে গাঁজা বিক্রি। এর সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন বয়সের শতাধিক নারী-পুরুষ। যার মধ্যে বেশির ভাগই কিশোর-কিশোরী-তরুণ। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তথ্যে জানা যায়, অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় গত কয়েক মাসে সর্বাধিক সংখ্যক গাঁজার চালান আটক হয়েছে। তবে সীমান্ত এলাকা থেকে গাঁজার চালান বহনের ধরণ পালটেছে। সর্বশেষ গত এক সপ্তাহে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ৯৮ কেজি গাঁজাসহ পাঁচ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে।
জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সংগৃহীত গাঁজা জমা করা হয় রাজধানীর আশপাশ এলাকায়। পরে তাদের কথিত ‘মোকাম’ থেকে গাঁজার চালান সরবরাহ করা হয় নগরীর বিভিন্ন এলাকায়। তবে এখনও গাঁজার বড় বাজার কাওরান বাজার এলাকা। সম্প্রতি বড় চালান নিয়ে গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীরা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, গত বছর শেষের দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের যৌথ অভিযানে উচ্ছেদ করা হয় রাজধানীর অন্যতম মাদকের আখড়া হিসেবে পরিচিত কাওরান বাজার রেললাইন বস্তি। একই সঙ্গে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কঠোর মনিটরিংয়ের ফলে এলাকায় মাদক বিক্রির প্রবণতা কমেছিল। কিন্তু অভিযানের কয়েক মাস যেতে না যেতেই আবার শুরু হয় মাদক ব্যবসায়ীদের কারবার। এখন প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তেজগাঁও রেল ক্রসিং সড়ক সংলগ্ন ফুটপাতে বিক্রি হয় গাঁজার পুরিয়া। এতে নেই কোনো ধরনের রাখঢাক। পাশাপাশি সন্ধ্যার পর কাওরান বাজারের অলিগলিতে বসে গাঁজার জমজমাট আসর।
অপরদিকে ওয়াসা ভবনসহ প্রধান সড়কে বেশ কয়েক জন তরুণী-কিশোরী গাঁজা ছাড়াও প্রকাশ্যেই বিক্রি করে ইয়াবা। এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হারুন উর রশিদ বলেন, ‘বিষয়টি আমার নজরে ছিল না। আমি এখনই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছি।’
অপরদিকে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ঢাকা মেট্রো (উত্তর) উপ-পরিচালক মুকুল জৌতি চাকমা বলেন, ‘আমারও বিষয়টি জানা ছিল না।’ তিনি বলেন, দু-একদিনের মধ্যে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযান শুরু করব।’ একই কথা জানিয়েছেন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান। তিনি বলেন, ‘আগামীকাল (আজ) থেকে আমরা মাদকের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করব। এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নেওয়া হবে।’
এদিকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ওয়ারী বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ খলিলুর রহমান বলেন, গাঁজাসহ গ্রেফতারকৃতরা জানিয়েছে, এখন গাঁজার চালান আসে ভারত থেকে। বাংলাদেশে প্রবেশ করে কুমিল্লার বিভিন্ন সীমান্ত থেকে। সেখান থেকে আসে কখনো মাছের ট্রাকে ও সবজির পিকআপে করে। আবার কখনো আনা হয় গ্যাস সিলিন্ডারে করে।
আরও পড়ুন
এই বিভাগের আরো খবর

সাজেকে পাহাড় ধসে সড়ক বন্ধ, আটকে আছে ৪ শতাধিক পর্যটক

‘গুলি করি মরে একটা, বাকিডি যায় না স্যার’-সেই পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত

বিমান দু্র্ঘটনায় মাইলস্টোন স্কুলের ছাত্র ওহিকে পাওয়া গেলেও মা নিখোঁজ

আলহামদুলিল্লাহ, এখন অনেকটাই সুস্থ আছি: জামায়াত আমির
