আত্মহত্যা নয়, সাদিয়াকে হত্যা করেছে তার স্বামী
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৯ মার্চ,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:৩০ এএম, ১ মে,বৃহস্পতিবার,২০২৫

বরিশালে গৃহবধূ সাদিয়া আক্তার সাথী আত্মহত্যা করেননি। তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন নিহতের পরিবার।
মঙ্গলবার (৮ মার্চ) বিকেলে বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূরে আলম বেপারী এ অভিযোগ বিষয়ে নিশ্চিত করেন পরিবারের হয়ে।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সাদিয়া সাথীকে তার স্বামী বরিশাল জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কনস্টেবল মাইনুল ইসলাম হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রেখে স্বজনদের সংবাদ দিয়েছেন। সোমবার (৭ মার্চ) মরদেহ উদ্ধারের পর থেকেই অভিযুক্ত মাইনুল পলাতক।
এদিকে এ ঘটনায় মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন নিহতের বাবা সিরাজুল ইসলাম।
নিহত সাথীর বড় বোনের স্বামী বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূরে আলম বেপারী জানান, সাথীর আত্মহত্যার কোনো কারণ নেই। কিছুদিন পূর্বে ব্যাংকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ১৩ লাখ টাকা নেয়। কিন্তু পরীক্ষা দেওয়ার পরে চাকরি না হওয়ায় টাকা ফেরত চায় সাথী। প্রথমাবস্থায় ৮ লাখ টাকা ফেরত দিলেও বাকি ৫ লাখ টাকা ফেরত দেননি। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। হত্যাকাণ্ডের আগের দিন অর্থাৎ রোববার (৬ মার্চ) মাইনুল বাসায় এসেছিল।
সাদিয়ার মেয়ে সাইমুন আমাদের জানান, মাইনুল এসে ঝগড়া করে এবং সাদিয়াকে মারধর করে। তা ছাড়া মাইনুলই আমাদের সবাইকে কল করে জানায় সাদিয়া আত্মহত্যা করেছে। এমনকি আমার স্ত্রীকে নিয়ে আসার জন্য এক রিকশায় উঠেও মাঝপথে নেমে গিয়ে লাপাত্তা হয়ে গেছে। প্রশ্ন হলো, মাইনুল যদি ওই সময়ে অফিসে থাকে তাহলে সে কীভাবে জানল সাদিয়া বাসায় আত্মহত্যা করেছে? আমরা চাই ঘটনার সঠিক তদন্ত করা হোক।
তিনি আরও বলেন, মরদেহ উদ্ধারের সময় কোতোয়ালি থানা পুলিশের এসআই রেজা সাদিয়ার লেখা একটি ডায়েরি, মোবাইল ফোন নিয়ে গেছেন। সেগুলোতে কি লেখা আছে তা আমরা দেখতে চেয়েছি। কিন্তু তারা আমাদের কিছুই দেখায়নি।
নিহতের বাবা সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু থানার ওসি মামলা নেবেন কি নেবেন না তার সিদ্ধান্ত দেননি। বলেছে পরে জানাবে।