avertisements 2

ধর্ষণের দায়ে জেল খাটার প্রতিশোধ নিতে খুন করা হয় রাহিকে

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৩ জানুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ১০:৩৫ পিএম, ১৭ মে,শুক্রবার,২০২৪

Text

ছবি সংগৃহীত 

চট্টগ্রামের রাউজানের নোয়াপাড়ায় সিকদার ঘাটার কাছে গত বছরের নভেম্বরে সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার সেই অজ্ঞাত তরুণীর লাশের পরিচয় মিলেছে। তার নাম আমেনা আক্তার রাহি (২২)। তিনি কক্সবাজার সদর উপজেলার কুতুবদিয়া পাড়ার নুর হোসেনের মেয়ে। গেল বছরের ২০ নভেম্বর পুলিশ অজ্ঞাত হিসাবে রাহির লাশ উদ্ধার করে। উদ্ধারের ৫১ দিন পর রাউজান থানা পুলিশ ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে। 

আদালতে দায়ের করা ধর্ষণ মামলা তুলে না নেওয়ায় ধর্ষক নুরুল ইসলাম রাহিকে খুন করে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ। পুলিশ হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিন জনকেই গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতাররা হলেন কক্সবাজারের কুতুবদিয়া পাড়ার আবদুস শুক্কুরের ছেলে নুরুল ইসলাম প্রকাশ বাদশা (২৪), নগরীর লালখান বাজার শহীদের গ্যারেজের ঠিকানায় বসবাসকারী ভোলা জেলার মনপুরা দক্ষিণ সাকোরচিয়া গ্রামের মৃত গোলাম হোসেনের ছেলে আকতার হোসেন (৩৫) ও রাউজানের উরকিরচর জিয়া বাজারে বক্কর কলোনিতে বসবাসকারী নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার দক্ষিণ আদর্শ গ্রামের জসিম মাঝি বাড়ির রাশেদ মিয়ার ছেলে মেহেরাজ প্রকাশ মিরাজ (২৩)। 

রাউজান থানার ওসি আবদুল্লাহ আল হারুন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, রাহির ধর্ষণ মামলার কারণে নুরুল ইসলাম জেল খেটেছিল। জেল থেকে বেরিয়ে জেল খাটা নিয়ে প্রচন্ড ক্ষুব্ধ ছিল নুরুল ইসলাম। রাহিকে হত্যার পরিকল্পনা করে সে। ওই ক্ষোভ থেকেই মূলত রাহিকে খুন করে বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে নুরুল। 

১০ জানুয়ারি রাতের বিভিন্ন সময় পৃথক অভিযান চালিয়ে ওই খুনে জড়িত তিন জনকে গ্রেফতার করেছি। তারা ১১ জানুয়ারি চট্টগ্রামের আদালতে খুনের সাথে জড়িত থাকার স্বীকার করে জবানবন্দিও দিয়েছে। আমরা আরও তথ্য উদঘাটনের জন্য তিন আসামিকে আদালতে রিমান্ড আবেদন করবো।

পুলিশ সূত্র জানায়, রাহি কক্সবাজারের স্থানীয় কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে চট্টগ্রামে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। 

ওসি বলেন, রাহি বিয়ের নামে প্রতারিত হয়েছিলেন। বিয়ের কথা বলে রাহিকে ধর্ষণ করেছিল তার নিজ গ্রামের আবদুস শুক্কুরের ছেলে নুরুল ইসলাম। রাহি গর্ভধারণ করলে চাপ প্রয়োগ করে গর্ভপাত ঘটানো হয়। এতে ক্ষুব্ধ শারমিন ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর ধর্ষকের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় এজাহার দায়ের করেছিলেন। নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনের ওই মামলায় নুরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে জামিনে এসে আগের ঘটনা ভুলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে রাহি ও তার পরিবারকে অনুরোধ করেছিল মামলাটি তুলে নিতে। এই প্রস্তাবে রাহির পরিবার রাজি হয়নি। পরিবার রাজি না হলে ধর্ষক নানা কৌশল অবলম্বন করে। বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে নুরুল। ১৮ নভেম্বর রাহিকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়ে রাহিকে হত্যা করা হয়। পরে রাউজানের মুহামুনি পাহাড়তলীতে পৌঁছে রাহির লাশ ফেলে চলে আসে নুরুল ও তার সহযোগীরা। 

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2