avertisements 2

নির্মাণের ২০ দিনেই উঠে যাচ্ছে ১৯ কোটি টাকার সড়কের পিচ

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০:২১ পিএম, ৯ অক্টোবর,শুক্রবার,২০২০ | আপডেট: ১১:২৩ পিএম, ৬ মার্চ, বুধবার,২০২৪

Text

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে একটি সড়ক নির্মাণের তিন দিনের মাথায় উঠে যায় প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তার পিচঢালাই। এ ঘটনায় প্রকাশ হলে পিচঢালাই উঠিয়ে ফেলেন ঠিকাদার।

এদিকে নির্মাণের ২০ দিনের মাথায় পিচ উঠে যাচ্ছে ১৯ কোটি টাকার রাস্তার বাকি অংশেও। বুধবার সকালে কালীগঞ্জ-ডাকবাংলো সড়কের সিংদহ আলাইপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের অংশে পিচ উঠে যায়। এ সময় স্থানীয়দের হাত দিয়ে কার্পেটিং তুলে ফেলতে দেখা যায়।

২২ কিলোমিটার রাস্তার মাত্র তিন কিলোমিটার শেষ হওয়ার পর বিভিন্ন স্থানে তা উঠে যেতে শুরু করে। গত ২০ দিনে অনেক স্থানে ফেটে গেছে। নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে রাস্তার কাজ করায় এমনটি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ও স্থানীয় জনগণ জানিয়েছেন।

যদিও ঠিকাদারের দাবি, বৃষ্টির মধ্যে অল্প কিছু অংশে রাস্তার কাজ করার কারণে এমন হয়েছে। তবে রাস্তা তৈরির তিন বছরের মধ্যে কোনো ক্ষতি হলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তা ঠিক করে দেবে বলে উল্লেখ করেছেন ঠিকাদার।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে গান্না হয়ে ডাকবাংলো পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার রাস্তা মজবুতিসহ ওয়্যারিংয়ের কাজ চলছে তিন বছর ধরে। ২০ দিন আগে কালীগঞ্জ নিমতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে পাকাকরণের জন্য কার্পেটিং বা পিচকরণের কাজ শুরু করে। চার থেকে পাঁচ দিনে তিন কিলোমিটার কাজ সম্পন্ন করে। এরপর বৃষ্টির জন্য কাজ বন্ধ রাখেন।

কিন্তু এরই মধ্যে সড়কের শ্রীরামপুর এলাকার প্রায় এক কিলোমিটার অংশে রাস্তার পিচঢালাই উঠে গেছে। কোথাও বড় বড় ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। এভাবে থাকলে কয়েক মাসের মধ্যে তা সম্পূর্ণ উঠে যাবে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। একইভাবে বুধবার থেকে একই রাস্তার আলাইপুর, সিংদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় রাস্তার কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টেন্ডারে রাস্তার কাজ পান খুলনার ‘মোজাহার এন্টারপ্রাইজ’ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। রাস্তার ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯ কোটি টাকা। কিন্তু হাতবদল হয়ে রাস্তার কাজটি করছেন ঝিনাইদহের ঠিকাদার মিজানুর রহমান মাসুম মিয়া। টেন্ডার শেষে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের কাজ শুরু হয় তিন বছর আগে। রাস্তা খোঁড়া এবং ইট-বালুর কাজ শেষ হয়েছে ছয় মাস আগেই। এরপর সম্প্রতি শুরু করেছেন কার্পেটিংয়ের কাজ।

কাজের পরিবর্তিত ঠিকাদার মিজানুর রহমান ওরফে মাসুম মিয়া রাস্তার কাজ নিয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

সড়কটির কাজ দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন জানান, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের কারণে এমনটি হয়েছে। তবে সিডিউল অনুযায়ী সড়কে কাজ সম্পন্নের তিন বছরের মধ্যে কোনো সমস্যা হলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেরামত করবেন। এরই মধ্যে রাস্তার সমস্যা হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন।

ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক সরোজকুমার নাথ জানান, বিষয়টি তিনি জেনেছেন। এ ব্যাপারে জেলা আইনশৃঙ্খলা সভায় আলোচনা হয়েছে। ইতোমধ্যে রাস্তার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি দিয়েছেন তিনি।

জেলা প্রশাসক আরও জানান, ঝিনাইদহে বেশ কয়েকটি রাস্তা নির্মাণের পর এমন সমস্যা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে এবং মন্ত্রণালয় থেকেও তদন্ত হবে।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2