avertisements 2

চট্টগ্রামে এক ছেলে হত্যার দায়ে আরেক ছেলের ফাঁসি চান মা

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৪:২৫ পিএম, ২৮ জানুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:৪৮ পিএম, ১১ মার্চ,সোমবার,২০২৪

Text

এক ছেলেকে হত্যার দায়ে আরেক ছেলের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন তাদের মা জিন্নাত আরা বেগম। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনের দিন ছোটভাই নিজাম উদ্দিন মুন্নাকে (৩০) নিজ হাতে খুন করেন বড়ভাই সালাউদ্দিন কামরুল।

বুধবার সকাল ৭টার দিকে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার পথে নগরীর পাহাড়তলী থানাধীন বার কোয়ার্টার ফজু মিয়া বাইলেন এলাকার ইউসুপ আলীর বাড়ির সামনে নিজাম উদ্দিন মুন্নাকে খুন করেন কামরুল।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার পথে ওই এলাকার ইউসুপ আলীর বাড়ির সামনে পথরোধ করে নিজামের। এরপর উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে নাড়িভুঁড়ি বের করে ও গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় তাকে। নিজাম উদ্দিন মুন্নার পিতার নাম গিয়াস উদ্দিন।

এদিকে এক ছেলেকে খুনের জন্য বড় ছেলের ফাঁসির দাবি জানান তাদের মা জিন্নাত আরা বেগম। তিনি বলেন, আমার ছোট ছেলে মুন্নাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে বড় ছেলে কামরুল। আমি আমার ছেলের ফাঁসি চাই। ও প্ল্যান করে খুন করেছে। নিহত মুন্নার মা বলেন, আমার বউমা বোবা, কথা বলতে পারে না। তার মাসুম দুই সন্তানের কী হবে?

তিনি বলেন, দুই ভাই দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছিলেন। পারিবারিক জায়গা নিয়েও বিরোধ ছিল। আমার ছোট ছেলের খুনের জন্য বড় ছেলে কামরুল দায়ী। আমি তার ফাঁসি চাই।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনের সুযোগে ছোটভাইকে নিজ হাতে খুন করে ‘পূর্বশত্রুতা হাসিল’ করেন বড়ভাই সালাউদ্দিন কামরুল। নির্বাচনে সহিংসতা হিসেবে চালিয়ে দিতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটান তিনি।

বুধবার সকালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১২নং সরাইপাড়া ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী সাবের আহমদের সমর্থক নিজাম উদ্দিন মুন্না (৩০) বড়ভাইয়ের হাতে খুন হন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সকাল ৭টার দিকে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার পথে বড় ভাই কামরুল দলবল নিয়ে নগরীর পাহাড়তলী থানাধীন বার কোয়ার্টার ফজু মিয়া বাইলেন এলাকার ইউসুপ আলীর বাড়ির সামনে পথরোধ করে নিজামের। এরপর উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে নাড়িভুঁড়ি বের করে ও গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় তাকে। নিজাম উদ্দিন মুন্নার পিতার নাম গিয়াস উদ্দিন।

পরিবারের দাবি, চসিক নির্বাচনে সহিংসতা হিসেবে চালিয়ে দিতে পূর্বপরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায় মুন্নার বড়ভাই সালাউদ্দিন কামরুল।

জানা গেছে, পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে বড়ভাই কামরুলের সঙ্গে বিরোধ ছিল মুন্নার। গত ছয় মাস আগে পৈতৃক জায়গা-জমির দলিল কৌশলে নিয়ে জব্দ করে রাখেন সালাউদ্দিন কামরুল। এ নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিভিন্ন সময় কথা কাটাকাটি হলেও কোনো সমাধান হয়নি। চসিক নির্বাচনের পর দলিল উদ্ধারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের হুশিয়ারি দিয়েছিলেন মুন্না। আর এই ভয়েই নির্বাচনের দিনই ছোটভাইকে শেষ করে দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন বড়ভাই কামরুল।

পাহাড়তলী থানার ওসি হাসান ইমাম বলেন, এটা নির্বাচনী সহিংসতা নয়। পারিবারিক কলহ থেকে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2