বাইকারদের ৯ মাস ২৪ দিনের অপেক্ষার অবসান সকালে
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৯ এপ্রিল,
বুধবার,২০২৩ | আপডেট: ১১:৪৩ এএম, ৬ মে,মঙ্গলবার,২০২৫

যান চলাচলের জন্য পদ্মা সেতু খুলে দেওয়ার পর মাত্র এক দিন চলেছিল মোটরসাইকেল। প্রথম দিনেই ঘটে দুর্ঘটনা। তার পর থেকে আজ পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে চলতে পারেনি মোটরসাইকেল। দীর্ঘ নিষেধাজ্ঞার পর আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে পদ্মা সেতুতে উঠতে পারবে মোটরসাইকেল।
তবে সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু শর্ত। সার্ভিস লেনের বাইরে মোটরসাইকেল চালানো যাবে না। নির্ধারিত টোল দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার গতিতে সেতু পারাপার হতে পারবে। মোটরসাইকেলের জন্য নির্ধারিত টোলবুথ ও নির্ধারিত লেন ব্যবহার করতে হবে।
এ ছাড়াও কোনো অবস্থাতেই নির্ধারিত লেন পরিবর্তন করা যাবে না। ওভারটেকও করা যাবে না। চালক ও আরোহীকে হেলমেটসহ প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাসামগ্রী ব্যবহার করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই সেতুর ওপর দাঁড়ানো বা ছবি তোলা যাবে না। চালকসহ সর্বোচ্চ দুজন মোটরসাইকেলে চড়তে পারবেন।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ বলছে, শর্তগুলো প্রতিপালন করে পদ্মা সেতু ব্যবহারের জন্য সবাইকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে। শৃঙ্খলা না মানলে মোটরসাইকেল চলাচলের এ সুযোগ বাতিল করা হবে। এদিকে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের সুযোগে খুশি দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। ঢাকা থেকে অনেকেই এবার মোটরসাইকেলে করে বাড়ি যাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, এবার ঈদ যাত্রায় ঢাকা থেকে প্রায় ১০ লাখ ট্রিপ হবে শুধু মোটরসাইকেল। মোটরসাইকেলে যাত্রা যেমন ভোগান্তিহীন হয় তেমনি ঝুঁকিও রয়েছে। তাই সবাই যেন নিয়ম মেনে নিরাপদে মোটরসাইকেল চালান।
গত বছরের ২৬ জুন সকালে পদ্মা সেতুতে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। সেতু ব্যবস্থাপনা সূত্র বলছে, প্রথম দিন দুপুর পর্যন্ত যেসব গাড়ি সেতু পার হয়েছে, তার মধ্যে ৬০ শতাংশ ছিল মোটরসাইকেল।
এদিকে ২০২১ সালে ঈদের সময় দূরপাল্লার যাত্রায় সড়ক, মহাসড়ক ও সেতুগুলোতে মোটরসাইকেলের ব্যাপকতা প্রথম লক্ষ করা যায়। তখন সেতুর টোল প্লাজাগুলোতে মোটরসাইকেলের দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়েছিল। তবে সেবার বাসে ছিল যাত্রী সংকট।