avertisements 2

প্রতিমন্ত্রীর ছেলের বৌভাতে ২৬৫ স্কুল ছুটি, টিআইবির উদ্বেগ

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১১ জানুয়ারী, বুধবার,২০২৩ | আপডেট: ০২:৪১ পিএম, ৬ মে,সোমবার,২০২৪

Text

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের ছেলের বৌভাতে কুড়িগ্রামের তিন উপজেলার ২৬৫ বিদ্যালয়ে ছুটি দিয়ে শিক্ষকদের যোগদানের ঘটনার উদ্বেগ জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। বাধ্যতামূলক জনপ্রতি ৫০০ টাকা চাঁদা তুলে সোনার আংটি, রেফ্রিজারেটর ও ওয়াশিং মেশিন উপহার দেওয়া এবং প্রতিমন্ত্রীর তা গ্রহণের ঘটনা ন্যক্কারজনক বলে উল্লেখ করেছে সংগঠনটি।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সংস্থাটি। টিআইবি বলছে, ‘প্রতিমন্ত্রীর দৃশ্যত নির্দেশনামূলক নিমন্ত্রণে এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের যোগসাজশে বিদ্যালয় বন্ধ রেখে বৌভাতে অংশ নেওয়ার এ ঘটনা দেশের শিক্ষাখাত দলীয়করণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ধ্বংস করার ভয়াবহ দৃষ্টান্ত।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে জানা গেছে, রোববার কুড়িগ্রামের চিলমারী, রৌমারী ও চর রাজিবপুর উপজেলার সব বিদ্যালয় ছুটি দিয়ে শিক্ষকরা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর ছেলের বৌভাতে অংশ নেন। বিষয়টি প্রতিমন্ত্রী, সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কর্মকর্তা, শিক্ষাব্যবস্থা, শিক্ষকতা পেশা ও শিক্ষার্থীর প্রতি নৈতিক দায়বদ্ধতার অরুচিকর লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।


টিআইবি নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘দেশের শিক্ষাব্যবস্থার দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় দলীয়করণ ও ক্ষমতার অপব্যবহার জিম্মি, এ অবস্থার চরম উদ্বেগজনক দৃষ্টান্ত কুড়িগ্রামের এ ঘটনা। প্রতিমন্ত্রী, সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কর্মকর্তা ও শিক্ষকরা কেউ এর দায় এড়াতে পারেন না।’

টিআইবি মনে করে, প্রধান শিক্ষকরা নিজেদের তিন দিন সংরক্ষিত ছুটির সুযোগ নিয়ে ব্যক্তিগত আমন্ত্রণে বিষয়টি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন। কিন্তু বিশেষ পরিস্থিতির জন্য সংরক্ষিত এ ছুটি এ ধরনের অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবহারের সুযোগ আছে কি না সে বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট ব্যাখার প্রয়োজন রয়েছে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘এত বিদ্যালয় বন্ধ করে কারও ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া ও বাধ্যতামূলক জনপ্রতি ৫০০ টাকা চাঁদা সংগ্রহ করে উপহার দেওয়ার এ ঘটনা জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের সক্রিয় যোগসাজশ না থাকলে কোনো অবস্থায়ই ঘটতে পারতো না, তা খুব সহজেই বোধগম্য। প্রতিমন্ত্রী ও তার পরিবার এ উপহার গ্রহণ করে যে ন্যক্কারজনক মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন, তার ব্যাখা কী। পুরো ঘটনার জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা না হলে দেশের শিক্ষাব্যবস্থার ভবিষ্যৎই বা কী? সরকারের উচিত জনগণের বিশেষ করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জ্ঞাতার্থে তা ব্যাখাসহ প্রকাশ করা।’

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2