avertisements 2

২ বছর ক্লাস করে এইচএসসির দিন জানলেন তারা কলেজের শিক্ষার্থী না

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৮ আগস্ট,শুক্রবার,২০২৩ | আপডেট: ০৩:৫৫ এএম, ২৬ আগস্ট,মঙ্গলবার,২০২৫

Text

এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে না পেরে সরকারি শাহ সুলতান কলেজ প্রাঙ্গণে আসেন ভুক্তভোগী কয়েকজন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক। ছবি: সংগৃহীত

দুই বছর আগে অনলাইনে আবেদন করে ভর্তির সুযোগ না পাওয়া ২৫ জন শিক্ষার্থীকে অফলাইনে (সরাসরি) ভর্তি করার কথা বলে টাকা নেন কলেজের দুই কর্মচারী। পেয়েছেন রোল নম্বর, ক্লাস করেছেন, নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন, সেশন ফি দিয়েছেন, এইচএসসির ফরম পূরণের ফি দিয়েছেন। অথচ আজ বৃহস্পতিবার অংশ নিতে পারেননি এইচএসসি পরীক্ষায়।

অনলাইনে আবেদন করে ভর্তির সুযোগ না পাওয়া ২৫ জন শিক্ষার্থীকে অফলাইনে (সরাসরি) ভর্তি করার কথা বলে টাকা নেন কলেজের দুই কর্মচারী। এজন্য তাদের কলেজ প্যাডে দেওয়া হয় ভর্তির রসিদও। এরপর থেকে নিয়মিত ক্লাস, কলেজের পরীক্ষা সবকিছুতেই অংশগ্রহণ করেছেন ওই শিক্ষার্থীরা। কিন্তু উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার (এইচএসসি) দিনে তারা জানতে পারেন তারা পরীক্ষা দিতে পারবেন না।

এতদিন তাদের ক্লাস, পরীক্ষা সবই ছিল প্রতারণার অংশ। এ কারণে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি তারা। ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়া সরকারি শাহ সুলতান কলেজে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের মধ্যে রাশেদুল হক, উম্মে হাবীবা, মিলন হাসান ও শারমিন আক্তার জানান, বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে অফলাইনে ভর্তি করানোর প্রলোভন দেখিয়ে টাকা নেন কলেজের দুই কর্মচারী হারুন মিয়া ও আব্দুল হান্নান।
ভর্তির টাকা জমা নিতে কলেজ প্যাডে তাদের দেওয়া হয় ভর্তির রসিদও। এই দুই বছরে কলেজের নিয়মিত ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ নেন তারা। পরে এইচএসসির ফরম পূরণসহ বিভিন্ন ফির নামে তাদের কাছ থেকে আদায় করা হয় অন্তত ৫০ হাজার টাকা করে। কিন্তু পরীক্ষার আগে আর প্রবেশপত্র পায়নি ওই ২৫ জন পরীক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর আগে তারা জানতে পারেন ভর্তি প্রক্রিয়াটাই ছিল ভুয়া।

ঘটনাটি জানাজানি হলে অভিযুক্ত কর্মচারী হারুন মুঠোফোন বন্ধ করে পালিয়ে যান। আরেক অভিযুক্ত কলেজ কর্মচারী আব্দুল হান্নান বলেন, 'শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য যাবতীয় কার্যক্রম করেছে হারুন। আমি তাকে সহযোগিতা করেছি মাত্র। এর বাইরে আমার আর কোনো সম্পর্ক নেই।
'
সরকারি শাহ সুলতান কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর রেজাউন নবী বলেন, 'আমরা বেশকিছু শিক্ষার্থীর প্রতারণার খবর শুনেছি। শেষ মুহূর্তে বিষয়টি জানার ফলে শিক্ষার্থীদের জন্য কিছুই করা সম্ভব হয়নি। তবে তাদের অভিযোগের বিষয়টি আমলে নেওয়া হয়েছে।' জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2