avertisements 2

কলার থেকে কলার খোসা কেন বেশি উপকারী?

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৫ মে, বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০১:১৫ পিএম, ২৬ এপ্রিল,শুক্রবার,২০২৪

Text

সুস্থ থাকতে ফলের গুরুত্ব যে কতটা বেশি সেটা আমরা কমবেশি সবাই জানি। ওজন কমানো থেকে শক্তি বাড়ানো সবকিছুতেই ডায়েচ চার্টে সবার ওপরে থাকে ফল। তবে ফলের থেকে ফলের খোসা বেশি উপকারী এমনটাই এখন দাবি করছেন ডায়টেশিয়ানরা।

সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের একটি প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

জনপ্রিয় একটি ফলের মধ্যে অন্যতম হলো কলা। আর এই কলার থেকেও নাকি বেশি উপকারী কলার খোসা। কলার মধ্যে থাকা ভিটামিন বি-৬, বি-১২, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম যেমন হজমে সাহায্য করে তেমনই কলায় থাকা প্রচুর পরিমাণ ফাইবার পেট পরিষ্কার রাখে।

কলা যেমন আমরা এমনি খেতে অভ্যস্ত, তেমনি কর্নফ্লেক্সের সঙ্গে, কলার পুডিং, মাফিন, কেক এমনকি, কলার বড়াও বেশ উপাদেয়। তবে কলা যেভাবেই খাই না কেন খোসাটি কিন্তু যায় সেই ডাস্টবিনে।

এদিকে এই কলার খোসাতেই থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, যা শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাই শুধু বাড়িয়ে তোলে না বরং যে কোনো সংক্রমণ রোধেও অত্যন্ত উপকারী। খোসার মধ্যে থাকা লুটিন নামক পদার্থ দৃষ্টিশক্তি বাড়াতেও উপকারী।

এ ছাড়াও কলার খোসায় থাকা প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে। শরীরে রক্তচাপের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে কলার খোসা।

সবুজ না হলুদ, কোন খোসা বেশি উপকারী?

জাপানের এক গবেষণায় দেখা গেছে সবুজ খোসার থেকে বেশি উপকারী হলুদ খোসা। এই খোসা রক্তে শ্বেতকণিকার পরিমাণ ঠিক রেখে ক্যানসার মোকাবিলা করতে পারে। সবুজ খোসার ক্ষেত্রে ১০ মিনিট খোসা সেদ্ধ করে খেলে উপকার পাওয়া যাবে।

অন্যদিকে সবুজ খোসার মধ্যে থাকা অ্যামাইনো অ্যাসিড ট্রিপ্টোফ্যানের কারণে রাতে ভালো ঘুম হয়। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে সবুজ খোসার মধ্যে থাকা সিরোটোনিন অবসাদের মোকাবিলা করতেও সক্ষম। আবার ডোপামিনের সাহায্যে কিডনিতে রক্ত চলাচল ভালো হয়।

কীভাবে খাবেন কলার খোসা?

অনেক রকমভাবে কলার খোসা খাওয়া যায়। এশিয়া ও ক্যারিবিয়ান দ্বীপগুলিতে কলার শাঁস ও খোসা প্রায় এক সঙ্গেই খাওয়া হয়। এ ছাড়াও বানানা পিল টি বা বানানা পিল স্মুদি উইথ আইসক্রিমও স্বাস্থ্য সচেতনদের কাছে বেশি জনপ্রিয়। কেউ কাঁচা খোসা খেতে পছন্দ করেন, কেউ বা সেদ্ধ করে খেতে পছন্দ করেন।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2