avertisements 2

ছেলের মেডিকেলে ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রিকশাচালক বাবা

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৮ মার্চ,শনিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৪:৫৭ পিএম, ২৮ এপ্রিল,রবিবার,২০২৪

Text

এবার বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন চান মিঞা। কিন্তু নুন আনতে পান্তা ফুরানো পরিবারের পক্ষে তার পড়াশোনার খরচ চলানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে টাকার অভাবে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন। দুশ্চিন্তায় আছে পরিবার।

চান মিঞার বাড়ি রাজশাহী নগরীর ধরমপুর এলাকায়। বাবা জাহিদুল ইসলাম রিকশা চালিয়ে যা পান তা দিয়ে চলে পরিবার। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার প্রতি খুবই আগ্রহী চান মিঞা। পিএসসি, জেএসসি, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে তিনি জিপিএ-৫ পেয়েছেন। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলাতেও দক্ষ। তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতায় স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে পেয়েছেন পদকও। এবারের মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় মেধাক্রমে ২০১৪ তম হয়েছেন।

চান মিঞা বলেন, আমাকে জানানো হয়েছে ২৭ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিলের মধ্যে ভর্তি হতে হবে। আমার ভর্তির প্রধান প্রতিবন্ধকতা হলো অর্থ। এছাড়া একটা মানব কঙ্কাল, বই, ও আমার বরিশালে থাকার জন্য অর্থ প্রয়োজন। ডাক্তার হতে আমরা এখন দরকার মানুষের সহায়তা।

তিনি আরও বলেন, আমার বাবা ও আমার স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হবো। এখন অর্থের অভাবে হয়তো আমার সেই ইচ্ছে পূরণের কাছাকাছি এসেও অনিশ্চিত। যদি কেউ আমাকে সহায়তা করলে পাঁচ বছর পড়াশোনা শেষ করে মানুষের সেবা করবো।

তার বাবা জাহিদুল বলেন, আমার মাথার শিরার সমস্যা আছে। রোদে বের হতে পারি না। তবু পেটের দায়ে রিকশা চালাই। সামান্য আয়ে কষ্টে চলে সংসার। ছেলে মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। ভীষণ খুশি হলেও ছেলেকে মেডিকেলে ভর্তি করানো নিয়ে দুশ্চিন্তার অন্ত নেই।

তিনি আরও বলেন, ভর্তির জন্য লাগবে ২৫ হাজার টাকা। ভর্তির পর বইসহ আনুষঙ্গিক খরচ চালাতে প্রয়োজন আরও ১ লাখ টাকা। অথচ এখনো জোগাড় হয়নি কিছুই। ফলে চান মিঞাকে চিকিৎসক বানানোর স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে মনে হচ্ছে।

এ বিষয়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আশরাফুল হাসান (বাচ্চু)  বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনার কাছ থেকে শুনলাম। তারা যদি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তবে সাধ্যমত সহায়তার চেষ্টা করবো।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2