দুবাইয়ে ১৬ শ্রমিকের কোটিপতি জীবন
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৫ মে,রবিবার,২০২৪ | আপডেট: ০৪:১০ এএম, ১৯ মে,রবিবার,২০২৪
বিলাসবহুল গাড়িতে ঘোরেন বাংলাদেশিসহ ১৬ প্রবাসী নির্মাণশ্রমিক। দামি স্যুট-কোট, জুতা ও চশমা পরে প্রমোদতরিতে উঠছেন তাঁরা। ছবি: সংগৃহীত
এক দিনের জন্য কোটিপতির মতো জীবন যাপন করার সুযোগ পেলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহরের বাংলাদেশিসহ ১৬ প্রবাসী নির্মাণশ্রমিক। শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষায় গত বুধবার বিশ্বব্যাপী পালিত মে দিবস উপলক্ষে এ সুযোগ পান তাঁরা।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ১৬ প্রবাসী নির্মাণশ্রমিক তাঁদের কাজের পোশাক জাম্পস্যুটের বদলে ওই দিন পরেন দামি স্যুট-কোট, জুতা ও চশমা। চড়েন বিশ্বের সবচেয়ে দামি গাড়িগুলোতে। ফেরারি, ল্যাম্বরগিনি, বেন্টলি, ফোর্ড মুস্তাং এবং ক্যাডিলাকের মতো বিলাসবহুল গাড়িতে বসে তাঁরা চষে বেড়ান দুবাইয়ের রাজপথ।
ওই শ্রমিকদের প্রথম গন্তব্য ছিল দুবাই মারিনা। সেখানে একটি বিলাসবহুল প্রমোদতরিতে পার্টি করেন তাঁরা। এ ছাড়া নিজেরা মিলে একটি কেক কাটেন। ওই দিন তাঁরা ঘুমান পাঁচ তারকা মানের হোটেলে। আর সবচেয়ে দামি রেস্টুরেন্ট থেকে আনা খাবার খেতে দেওয়া হয় তাঁদের।
ভালো কাজের প্রণোদনা হিসেবে এই সুযোগ পাওয়া শ্রমিকদের মধ্যে ছিলেন কয়েকজন বাংলাদেশিও। তাঁদের একজন জাহিদ। কোটিপতির মতো এক দিন জীবন যাপনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এভাবে জীবন উপভোগ করার সুযোগ বা স্বপ্ন আমরা একেবারেই দেখি না। এসব উপভোগ করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত।’
রামদয়াল নামের এক ভারতীয় প্রবাসী বলেন, ‘আমি কখনোই কল্পনা করিনি, পাঁচ তারকা হোটেলের অতিথি হব। এ যেন অসাধারণ অনুভূতি; যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। আমরা কাজে যাওয়ার সময় শত শত দামি গাড়ি দেখি। আজ আমার খুবই ভালো লাগছে, এ রকম একটি গাড়িতে চড়ার সুযোগ পেয়েছি।’
প্রবাসী নির্মাণশ্রমিকদের জন্য ‘এক দিনের কোটিপতি’ হওয়ার সুযোগটি দেয় ‘ওয়ার্ল্ড স্টার হোল্ডিং’ নামের একটি নির্মাণপ্রতিষ্ঠান। এই প্রবাসী শ্রমিকেরা প্রতিষ্ঠানটিতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। বছরজুড়ে সবচেয়ে ভালো করেছেন যাঁরা, তাঁদের জন্য উপহার হিসেবে এই সুযোগ দিয়ে সম্মানিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এ বিষয়ে ওয়ার্ল্ড স্টার হোল্ডিংসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসিনা নিশাদ বলেন, ‘তাঁদের (প্রবাসী নির্মাণশ্রমিক) কঠোর পরিশ্রম এবং ত্যাগের স্বীকৃতি হিসেবে প্রতিবছর বিভিন্ন উপহার দেওয়ার রেওয়াজ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটিতে। এর ফলে তাঁরা স্বস্তির পাশাপাশি সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের সুযোগ পান।’
হাসিনা আরও জানান, চলতি বছর থেকে এই নির্মাণশ্রমিকদের সন্তানদের পড়াশোনা নিশ্চিতের ওপরও গুরুত্ব দেবে প্রতিষ্ঠানটি।