avertisements 2

ওমান থেকে আসা কফিন খুলে স্বজনেরা দেখেন মরদেহটি আরেকজনের

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২০ এপ্রিল,বৃহস্পতিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৫:৩০ এএম, ৪ মে,শনিবার,২০২৪

Text

নিজের ও পরিবারের ভাগ্য পরিবর্তন করতে ওমানে যান রাকিবুল হাসান শেখ (৩০)। সেখানে চাকরি করতেন তিনি। কিন্তু ভাগ্য তার সহায় হয়নি। গত ৬ এপ্রিল ওমানে এক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন রকিবুল। রাকিবুলের নাম ও পাসপোর্ট নম্বর লেখা কফিন বিমানবন্দর থেকে গ্রহণ করেন পরিবারের সদস্যরা। কফিন বাড়িতে নেওয়ার পর জানাজার আগে খুলে তারা দেখেন, মরদেহ রাকিবুলের নয়, অন্য এক ব্যক্তির। 

আজ বুধবার সকালে পিরোজপুর সদর উপজেলার চালনা নামাজপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রাকিবুল ওই এলাকার আবদুল মালেক শেখের ছেলে। জানা যায়, দুটি মরদেহের কফিন একসঙ্গে আসায় কফিনে লেখা নাম পাল্টে যাওয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে। পিরোজপুরের রকিবুলের মরদেহ কুমিল্লায় চলে গেছে ও কুমিল্লার মো. জুয়েল নামে একজনের মরদেহ পিরোজপুরে চলে এসেছে। ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার পরে সেখানকার কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের দূতাবাসের মাধ্যমে দুটি মরদেহ বাংলাদেশে পাঠায়। মরদেহের কফিনে পিরোজপুরের রবিকুল হাসানের নাম ও তার পাসপোর্ট নম্বর লেখা ছিল। অন্য কফিনে কুমিল্লা জেলার মেঘনা উপজেলার মো. জুয়েল নামে অন্য একজনের নাম ও পাসপোর্ট নম্বর লেখা ছিল। মো. জুয়েলও সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান রকিবুলের সঙ্গেই।

মঙ্গলবার রাতে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি ফ্লাইটে রাকিবুল ও জুয়েলের মরদেহ বাংলাদেশে আসে। এদিন রাতে বিমানবন্দর থেকে রাকিবুলের মরদেহের কফিন গ্রহণ করেন তার ভাই ইমরুল হাসান ও জুয়েলের মরদেহ গ্রহণ করেন তার স্বজনরা। এসময় বিমানবন্দরে জুয়েলের এক স্বজনের সঙ্গে রকিবুলের ভাই ইমরুলের পরিচয় হয়। তখন জুয়েলের এক স্বজনের মোবাইল নম্বর নিয়ে নেন ইমরুল।

বুধবার সকালে রাকিবুলের মরদেহ নিয়ে পিরোজপুরের বাড়িতে পৌঁছান ইমরুল। সকাল ৯টার দিকে জানাজার আগে কফিন খুলে দেখেন কফিনে থাকা মরদেহটি রকিবুলের নয়। রাকিবুল মরদেহের বদলে অন্য এক ব্যক্তির মরদেহ এসেছে। এসময় রকিবুলের ভাই ইমরুল হাসান কুমিল্লার জুয়েলের স্বজনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেন। মৃত জুয়েলের স্বজন জানান, কফিনে তারাও জুয়েলের মরদেহের বদলে অন্য মরদেহ পেয়েছেন। এরপর দুই পরিবারের সদস্যরা মরদেহ নিয়ে রওনা দেন। 

বুধবার দুপুর ২টার দিকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা এলাকায় মরদেহ দুটি বদল করেন তারা। পরে রকিবুলের মরদেহ নিয়ে পিরোজপুরে ফিরে আসেন তার স্বজনরা।

নিহত রকিবুলের ভাই ইমরুল হাসান জানান, মরদেহের কফিনে নাম ও পাসপোর্ট নম্বরের স্টিকার বদল হয়ে যাওয়াতেই এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে নিহত জুয়েলের স্বজনের ফোন নম্বর নিয়ে নেওয়ায় সহজেই সমস্যার সমাধান হয়েছে। তিনি আরও জানান, বুধবার সন্ধ্যার আগে রকিবুলের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে এবং পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2