avertisements 2

ঢাকায় মধ্যরাতে ছিনতাইয়ের চেষ্টা, গ্রেপ্তার র‍্যাব সদস্যসহ ৩

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২২ জানুয়ারী,রবিবার,২০২৩ | আপডেট: ০২:১১ এএম, ২৯ এপ্রিল,সোমবার,২০২৪

Text

পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার তিনজনের একজন জয়।

মধ্যরাতে প্রাইভেটকারটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বনানী হয়ে ছুটছিল মানিকগঞ্জের দিকে। মহাখালী ফ্লাইওভারে আসামাত্র গাড়িটি থামিয়ে র‍্যাব পরিচয়ে ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে দুস্কৃতিকারীরা। এ ঘটনায় র‍্যাব সদস্যসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন-আরিয়ান আহমেদ জয় (২৩), ফরহাদ হোসেন (২২) ও র‍্যাব সদস্য আল মোমেন (২৬)। ফরহাদ রেন্ট-এ কারের চালক। 

বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরে আযম মিয়া সমকালকে বলেন, র‍্যাব সদস্য আল মোমেন র‍্যাব-১ এ কর্মরত। সামরিক আদালতে তার বিচার হবে এ কারণে গ্রেপ্তারের পর তাকে র‍্যাব নিয়ে গেছে। গ্রেপ্তার অপর দুজনকে আজ আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।

ছিনতাইয়ের চেষ্টার ঘটনায় গতকাল শনিবার বনানী থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী শহীদুল ইসলাম। তার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর থানা এলাকায়। তিনি ১৪ বছর সৌদি প্রবাসী ছিলেন। পাঁচ মাস আগে দেশে ফিরে মানিকগঞ্জে ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা শুরু করেছেন।

তিনি সমকালকে জানান, তার বন্ধু তারিক সৌদি থেকে শুক্রবার রাত ১১টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন। মানিকগঞ্জ থেকে একটি প্রাইভেটকার ভাড়া করে ভাগ্নে মো. মিরাজকে নিয়ে তিনি বন্ধুর সঙ্গে বিমানবন্দরে দেখা করতে আসেন। গাড়িটির চালক ছিলেন আসামি ফরহাদ হোসেন। দেখা করার পর গভীর রাতে ওই প্রাইভেটকারে তারা মানিকগঞ্জের বাড়িতে ফিরছিলেন। সোয়া ২টার দিকে তাদের বহন করা প্রাইভেটকারটি মহাখালী ফ্লাইওভারে উঠার সময় অপর একটি প্রাইভেটকার বাম দিকে পাশ কাটিয়ে তাদের গাড়িটি গতিরোধ করে। এ সময় ৩-৪ জন ওই গাড়ি থেকে নেমে চালক ফরহাদকে তাদের প্রাইভেটকারে ওঠায়। পরে ফরহাদকে নিয়ে চলে যায় গাড়িটি। এরপর র‍্যাব পরিচয়ে তাদের কাছে ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেন তিনজন। তাদের মধ্যে একজনের গায়ে র‍্যাব লেখা জ্যাকেট ছিল। মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করার হুমকি দেওয়া হয় শহীদুলকে। তাদেরকে গাড়ি থেকে বের হতে দিচ্ছিলেন না তারা।

তিনি আরও বলেন, এ সময় তাদের চিৎকারে লোকজন জড়ো হয়। এক পর্যায়ে শহীদুল ও তার ভাগ্নের পাশে বসেন দুজন এবং অপর একজন ওই প্রাইভেটকারের চালকের আসনে বসে তাদের নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ফ্লাইওভার দিয়ে বাসায় ফেরার সময় সাকিব নামে এক পুলিশ সদস্যও তাদের চিৎকারে এগিয়ে যান। তিনি র‍্যাব দাবি করা ব্যক্তিদের কাছে পরিচয়পত্র দেখতে চান। এ সময় র‍্যাবের জ্যাকেট গায়ে থাকা ব্যক্তি তার আইডিকার্ড দেখান। কার্ডের মেয়াদ ছিল না। পুলিশ সদস্যকেও গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু উপস্থিত লোকজনের বাধার মুখে দুইজন দৌড়িয়ে পালিয়ে যান। আরিয়ান আহমেদ জয়কে আটক করে ফেলে জনতা। এরই মধ্যে এক পথচারী জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করেন। তখন বনানী থানা পুলিশ আসে ঘটনাস্থলে। পরে আরিয়ানের দেওয়া তথ্যে পালিয়ে যাওয়া র‍্যাব সদস্য আল মোমেন ও চালক ফরহাদকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, দুস্কৃতিকারীদের প্রাইভেটকারটি ভাড়া করা। তাদের কাছ থেকে একটি খেলনা পিস্তল, একটি হ্যান্ডকাপ ও একটি র‍্যাব লেখা কালো জ্যাকেট জব্দ করা হয়। একইসঙ্গে বাদীর বহন করা প্রাইভেটকারটিও জব্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আরিয়ানের বাড়ি দিনাজপুরে। তিনি গাজীপুরের টঙ্গীতে একটি গার্মেন্টেসে চাকরি করেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন। অপর আসামি ফরহাদের বাড়ি মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2