পিচ ঢালাই সম্পন্ন, প্রধানমন্ত্রী বললেই চালু পদ্মা সেতু : প্রকল্প পরিচালক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১ মে,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:৪০ এএম, ১০ সেপ্টেম্বর,
বুধবার,২০২৫

প্রকল্প পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেছেন, মূল সেতুতে পিচ ঢালাইয়ের কাজ শুক্রবার শেষ হয়েছে। সেতুর ভায়াডাক্ট অংশে কার্পেটিং কাজ বাকি রয়েছে। আশা করছি, আগামী জুনের মধ্যে সেতুর সব কাজ শেষ হবে। তবে সেতু কবে উদ্বোধন করা হবে, তা সরকারের সিদ্ধান্ত। প্রধানমন্ত্রী যখন বলবেন, তখন থেকে সেতু চালু করা হবে। পদ্মা সেতু জুনে নাকি ডিসেম্বরে চালু হবে-এ বিভ্রান্তি এখনও কাটেনি। গত ৬ এপ্রিল সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০২২ সালের শেষ নাগাদ পদ্মা সেতু চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।’
পদ্মা সেতুতে কার্পেটিংয়ের (পিচ ঢালাই) কাজ শেষ হয়েছে। সেতুতে রেলিং ও রোড মার্কিং বাদে সব কাজ শেষ। চাইলে এখন গাড়ি চলাচল সম্ভব স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে। যদিও দেড় বছর ধরে সরকার বলে আসছে ২০২১ সালের জুনেই পদ্মা সেতু চালু হবে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, সেতুর উদ্বোধনের দিনক্ষণ নিয়ে।
তবে সেতু বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, আগামী ৩০ জুন সেতু উদ্বোধন করা হবে। এ তারিখ ধরে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সময় চাওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে সেতুর খসড়া টোল হার নির্ধারণ করেছে সেতু বিভাগ। অর্থ বিভাগ এতে সম্মতি দিয়েছে। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য গত বৃহস্পতিবার খসড়া টোলের তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছে সেতু বিভাগ।
এদিকে, বছরের শেষ নাগাদ সেতু চালু হবে, প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের সরকারিভাবে বলা হয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যু দ্ধের কারণে সেতুর মালপত্র আমদানি আটকে রয়েছে। তবে প্রকল্প সূত্র জানিয়েছে, যুদ্ধের কারণে কোনো মালপত্র আমদানি আটকে নেই। শুধু সেতুর অ্যালুমিনিয়াম গার্ড রেল ওভার প্যারাপিট (রেলিং) দেশে আসা বাকি রয়েছে। প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, যু দ্ধের কারণে মাসখানেক বিলম্ব হলেও ৭৫ শতাংশ রেলিং নিয়ে জাহাজ গত ২৬ মার্চ যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা করেছে।
সেতুর প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের বলেছেন, ৯ মে চট্টগ্রামে পৌঁছাবে। মে মাসের মধ্যে তা সেতুতে স্থাপনের কাজ শেষ হবে। বাকি ২৫ শতাংশ রেলিং ২২ এপ্রিল কার্গো বিমানে বাংলাদেশে এসেছে। সেগুলো সেতুর ভায়াডাক্ট অংশে লাগানো হয়েছে। সেতুতে ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন শেষে বাতি লাগানো হয়েছে। বৈদ্যুতিক সংযোগ দেওয়ার কাজ চলছে। সেতুতে রোড মার্কিংয়ের কাজ বাকি।
প্রকল্প সূত্র জানিয়েছে, ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুর দুই পাশে ১২ দশমিক ৩ কিলোমিটার রেলিং স্থাপন করা হবে তিন ফুট উঁচু দেয়ালের ওপর। সেতুর দুই প্রান্তে তিন দশমিক ১৫ কিলোমিটার ভায়াডাক্টে আরও ৬ দশমিক ৩ কিলোমিটার রেলিং স্থাপন করা হবে। রেল সংযোগের কাজ বাকি দুই প্রকল্পের চেয়ে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। সেতু প্রকল্পের আরেকটি সূত্রের ভাষ্য, সেতুতে একসঙ্গে ট্রেন ও গাড়ি চলাচল শুরু করতে আগামী ডিসেম্বরে পদ্মা সেতু চালু করা হতে পারে।
আরও পড়ুন
এই বিভাগের আরো খবর

‘হাসিনাকে নরেন্দ্র মোদি মেরে ফেললেও আশ্চর্য হব না’

সেনা কর্মকর্তাদের বিচার প্রক্রিয়া নিয়েই সরকারের সঙ্গে মতপার্থক্য: আইকেবি

ডিসি সারোয়ার আলমকে নিয়ে আইন উপদেষ্টার আবেগঘন পোস্ট

মহেশখালী-মাতারবাড়ীতে নতুন শহরের জন্ম হবে: প্রধান উপদেষ্টা
