avertisements 2

ইকবাল মাহমুদ চৌধুরী প্রতারণা

সার্টিফিকেট জালিয়াতি করে অঢেল সম্পদের মালিক

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২২ মার্চ,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ১২:৫৯ পিএম, ১০ মে,শুক্রবার,২০২৪

Text

ছবি সংগৃহীত 

ইকবাল মাহমুদ চৌধুরী। ২০০৭ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে অব্যাহতি পান। এরপর থেকেই শুরু হয় তার যত প্রতারণা। রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন নারী পুরুষকে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা চালিয়ে যায়।
শুধু তাই নয়, নিজেও জাল সার্টফিকেট দিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি শুরু করেন। রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা থেকে ০৪০১২০৬০৩১ আইডিধারী হিসেবে ২০০৫ সালে এমবিএ জাল সার্টিফিকেট তৈরিও করে হামদর্দসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরিও করেন তিনি। সম্প্রতি তিনি জাল সার্টিফিকেট চক্র গড়ে তুলেছেন। এভাবে সার্টিফিকেট জালিয়াতির সিন্ডিকেট, চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা এবং চাঁদাবাজির মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন ইকবাল।

লক্ষ্মীপুরের দত্তপাড়া থানা এলাকার বাসিন্দা আলেয়া বেগম। ভুক্তভোগী এই নারী ইকবালের কাছে প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন। তিনি জানান, প্রতারক ইকবাল চাকরি দেওয়ার নাম করে আমার কাছ থেকে অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু আজও কোনো চাকরি পাইনি। লক্ষীপুরে আমার মতো অনেকেই আছে যারা ইকবালের কাছে প্রতারিত হয়েছেন। সম্প্রতি ইকবালের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ করেছি।

ইকবাল মাহমুদের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের কংসনারায়ন গ্রামে। নিজ এলাকার অসংখ্য মানুষকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন তিনি। এবিষয়ে একই ইউনিয়নের ওমর ফারুক পাটোয়ারি জানান, লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন এলাকার অসংখ্য মানুষকে চাকরির কথা বলে টাকা নিয়েছেন ইকবাল।  

রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা কর্তুপক্ষ জানায়, তাদের ইউনিভার্সিটির ০৪০১২০৬০৩১ আইডিধারী হিসেবে ২০০৫ সালে এমবিএ উত্তীর্ণ হওয়ার একটি সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্ট তৈরি করে যা সম্পূর্ণ জাল। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়টির সিনিয়র সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এ.কে.এম.ফিরোজ উদ্দিন সরকার স্বাক্ষরিত জাল করেন এই ইকবাল। কর্তৃপক্ষ প্রতারণার জন্য ইকবালের বিরুদ্ধে কঠোর আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।  

সর্বশেষ সার্টিফিকেট জালিয়াতি করে হামদর্দ বাংলাদেশেও চাকরি জুটিয়েছিলেন ইকবাল মাহমুদ চৌধুরী। ২০২১ এর ডিসেম্বরে তার চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হলে একের পর এক ষড়যন্ত্রে শুরু করেন তিনি। বিভিন্ন পত্রপত্রিকা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অব্যাহতভাবে ইকবাল চালাতে থাকেন মিথ্যা ও বানোয়াট অপপ্রচার। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে রমনা মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি- নম্বর ১৬৯৫) দায়ের করেছে হামদর্দ বাংলাদেশ।

ভুক্তভোগীরা জানান, প্রতারণার মাধ্যমেই একাধিক বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় জমি কিনেছেন ইকবাল। এছাড়া কানাডায় কোটি কোটি টাকা পাচার করে নিজের মেয়ে- জামাতার নামে কিনেছেন বিলাসবহুল বাড়ি। বিলাশবহুল ৩টি গাড়িও রয়েছে তার।  

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2