নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা চলছে, অবস্থা স্থিতিশীল খালেদা জিয়ার
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৪ জুন,
বুধবার,২০২৩ | আপডেট: ০৭:৫৩ পিএম, ২৮ আগস্ট,বৃহস্পতিবার,২০২৫

মেডিক্যাল বোর্ডের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে। তার অবস্থা স্থিতিশীল। আজ বুধবার (১৪ জুন) দুপুরের দিকে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন এই তথ্য জানিয়েছেন। অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ম্যাডাম মেডিক্যাল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে আছেন।
বোর্ডের সদস্যরা সার্বক্ষণিকভাবে শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন। প্রয়োজনীয় যেসব চিকিৎসা দরকার হচ্ছে, তার ব্যবস্থা করছেন টাইম-টু-টাইম। তার শারীরিক অবস্থা এখন পর্যন্ত স্থিতিশীল আছে।’
চিকিৎসকদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, গতকাল রাতে অধ্যাপক সাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে মেডিক্যাল বোর্ডের সব সদস্য সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে দেখেন এবং তার বিভিন্ন পরীক্ষার রিপোর্টগুলো পর্যালোচনা করে ব্যবস্থাপত্র দিয়েছেন।
বুধবার বিকেলে আবারও বৈঠকে বসবে মেডিক্যাল বোর্ড। চিকিৎসকরা জানান, গতকাল রাতে মেডিক্যাল বোর্ডের সব সদস্য মিটিং করে বিএনপির চেয়ারপারসনের রিপোর্টগুলো পর্যালোচনা করেছেন। বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বর্তমানে যে চিকিৎসা চলছে সেটা চালাবে এবং কিছু নতুন ওষুধপত্র দিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি জটিলতা, লিভারের রোগ, হৃদরোগে ভুগছেন ৭৮ বছর বয়েসী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
গত সোমবার রাতে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজায় হঠাৎ অসুস্থ’ হয়ে পড়লে তাকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর দেড় মাস আগে গত ২৯ এপ্রিল নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন খালেদা জিয়া। পাঁচ দিন পর তিনি মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তে বাসায় ফেরেন।
২০২১ সালের এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে কয়েকবার নানা অসুস্থতা নিয়ে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল। গত বছর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ ও লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা নিয়ে কারাগারে গিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর পরিবারের আবেদনে ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করে খালেদার দণ্ড স্থগিত করেন ছয় মাসের জন্য।
ওই বছরের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়া মুক্তি পাওয়ার পর থেকে গুলশানে তার বাড়িতে রয়েছেন। প্রতি ছয় মাস পরপর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে পরিবারের আবেদনে।
আরও পড়ুন
এই বিভাগের আরো খবর

কলকাতায় সাবেক এমপি বাহার মেয়েসহ আটক, একরাত পর ছেড়ে দিল পুলিশ!

সংবিধানে পিআর পদ্ধতি সংবিধানে নেই, এর বাইরে যেতে পারি না: সিইসি

ছাগলকাণ্ডের মতিউরের দ্বিতীয় স্ত্রী ও মেয়েকে ফেরাতে ইন্টারপোলে আবেদন

শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে সরকার
