avertisements 2

৪.১০ মাত্রার ভূমিকম্পে টেকনাফে ভবনে ফাটল, আতঙ্কে বাসিন্দারা

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৬ ফেব্রুয়ারী,রবিবার,২০২৩ | আপডেট: ০১:৪১ এএম, ১২ মার্চ,মঙ্গলবার,২০২৪

Text

ছবি: সংগৃহীত

ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে পর্যটন শহর কক্সবাজার। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টা ৩৯ মিনিটে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

এদিকে ভূমিকম্পের ফলে কক্সবাজারের টেকনাফের বিভিন্ন স্থানে সরকারি কার্যালয়ে ফাটল দেখা দিয়েছে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। 

টেকনাফ উপজেলা মৎস্য কেন্দ্রের কার্যালয়ে ফাটলের বেশকিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এছাড়া আরও কয়েকটি বাড়ি ঘরে ফাটলের খবর জানা গেছে।


আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, ‘মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ২০ দশমিক ৯০ অক্ষাংশ এবং ৯২ দশমিক ৩৩ দ্রাঘিমাংশে ভূ-কম্পনটির উৎপত্তি হয়েছে।’

তিনি আরও জানান, ‘ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৩৭৭ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত। এর ফলে ৪ দশমিক ৮ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়েছে কক্সবাজারে।’

টেকনাফ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘বিকেলে ভূ-কম্পন অনুভূত হওয়ায় তাড়াতাড়ি অফিস থেকে বের হয়ে যাই। পরে এসে দেখি অফিসের কয়েকটি জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে।’

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের টেকনাফ স্টেশনের কর্মকর্তা মুকুল কুমার নাথ জানান, ‘টেকনাফে বিভিন্ন জায়গায় ভূমিকম্পের ঝাঁকুনির খবর এসেছে। আমাদের কাছে ক্ষয়ক্ষতির খবর এখনও আসেনি। আমরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিচ্ছি।’ 

টেকনাফ পৌর এলাকার বাসিন্দা আলম বলেন, ‘গত ৬-৭ বছরে কয়েকটি ছোট ভূমিকম্প হয়েছিল। কিন্তু আজকের মতো বড় ধরনের ঝাঁকুনি অনুভূত হয়নি। তবে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি না হলেও আমার বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে।’ 

স্থানীয় বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘আমার জীবনে এত বড় ভূমিকম্প কখনও দেখিনি। কিন্তু এখানে অনেকে অপরিকল্পিতভাবে ভবন নির্মাণ করছে। ফলে ভূমিকম্পের ফলে ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি বেশি রয়েছে এখানে।’ 

অন্যদিকে ভূমিকম্পের ফলে কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দারা ভয়ে ছিলেন বলে জানিয়েছেন আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যানিটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ জুবায়ের। তিনি বলেন, ‘বিকেলে হঠাৎ ভূমিকম্পের ঝাঁকুনিতে এখানকার লোকজন অনেকে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।’ 

এদিকে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সৈকত শহর কক্সবাজারে পর্যটকের জনস্রোত নামে। আনন্দ আর হৈ-হুল্লোড়ে সাগর তীরে মেতে উঠে পর্যটকরা। কিন্তু ছুটির দিনের বিকেলে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে শহরটি।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2