avertisements 2

অনেক চেষ্টা করেও বাঁচানো গেল না বানরটিকে

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৯ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২৩ | আপডেট: ১০:৩৫ এএম, ৪ মে,শনিবার,২০২৪

Text

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শরীর ঝলসে যন্ত্রণাকাতর যে বানরটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছিল সেটি মারা গেছে। গতকাল শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কার্যালয়ের বানরটির মৃত্যু হয়।

বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা দীপান্বিতা ভট্টাচার্য বলেন, আমরা অনেক চেষ্টা করেও বানরটিকে বাঁচাতে পারলাম না। বানরটির শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত ছিল। যন্ত্রণায় কাতর ছিল। চিকিৎসাও চলছিল। প্রথম দিন বানরটি সীতাকুণ্ড থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার পরে একটু শারীরিক উন্নতি হলেও পর দিন থেকে ক্রমান্বয়ে অবনতির দিকে যাচ্ছিল। বানরটি খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিলে তাকে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) পাঠানো হয়। সেখানে তাকে স্যালাইন দেয়ার পাশাপাশি তরল জাতীয় খাওয়া খাওয়ানোর চেষ্টা করা হয়। তবে খাবার না খাওয়ায় তার শরীরের আরও অবনতি ঘটে। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বানরটির দেখভাল করার দায়িত্বে থাকা কর্মী গিয়ে দেখেন সেটি মারা গেছে। নিহত বানরের মৃতদেহটি বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কার্যালয়ের ভেতর পুঁতে ফেলা হয়েছে। বানরটিকে বাঁচানো ও চিকিৎসার কোনো কমতি ছিল না।

এর আগে সীতাকুণ্ডে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহত হওয়া বানরটি পরপর তিনদিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে চিকিৎসা নিতে আসে। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুরু উদ্দিন রাশেদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে ৪ সেপ্টেম্বর বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। প্রসঙ্গত, গত ২৮ আগস্ট সীতাকুণ্ড পৌরসদরে একটি খুঁটিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় বানরটি। এতে শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায় বানরটির।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2