ঘোষণা দিয়ে ফিলিস্তিনিদের গণগ্রেপ্তার শুরু করল ইসরায়েল
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৬ মে,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:৩৫ এএম, ২৬ আগস্ট,মঙ্গলবার,২০২৫

পশ্চিম তীরে গাজা উপত্যকায় সংঘাতের সময় ইসরায়েল অধ্যুষিত এলাকায় বসবাসরত ফিলিস্তিনি নাগরিকরাও প্রতিবাদের ঝড় তুলেছিলেন। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে 'যুদ্ধ ঘোষণা' দেওয়ার অভিযোগে এবার গণগ্রেপ্তারের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। জানা যায়, ঘোষণা দেওয়া পর এর মধ্যে প্রায় দেড় হাজার ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। আরো অনেককে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে।
যেসব ফিলিস্তিনি পূর্ব জেরুজালেমের শেখ জাররাহ উচ্ছেদ অভিযান ও গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদ করেছে বেছে বেছে তাদেরকেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। ইসরায়েলের পুলিশ এই গ্রেপ্তার অভিযানকে 'অপারেশন ল অ্যান্ড অর্ডার' হিসেবে অভিহিত করেছে। গাজায় ১১ দিনের তাণ্ডবের পর যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় যুদ্ধবাজ নেতানিয়াহু। এর পরপরই গ্রেপ্তার অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। তাদের আগ্রাসনে নারী-শিশুসহ ২৫৩ জন নিরীহ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছিল।
গত রবিবার রাতে এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, তারা ৯ মে থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১,৫৫০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গত দুই সপ্তাহে ইসরায়েলের বিভিন্ন শহর ও নগরে বিক্ষোভ প্রদর্শনকারীদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রাখবে বলেও জানিয়েছে তারা।
লিগ্যাল সেন্টার ফর আরব মাইনরিটি রাইটস ইন ইসরায়েলের পরিচালক হাসান জাবারিন বলেছেন, এটা আসলে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারী, রাজনৈতিক অ্যাক্টিভিস্ট ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের বিরুদ্ধে 'যুদ্ধ ঘোষণা'। এই গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্য হলো ভীতি প্রদর্শন করা ও ইসরায়েলের ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর প্রতিশোধ গ্রহণ করা।
আরও পড়ুন
এই বিভাগের আরো খবর

গাজার পক্ষে থাকতে মেলানিয়া ট্রাম্পকে এরদোয়ানের স্ত্রীর চিঠি

বান্ধবীকে কোলে নিয়ে বাইক চালানোয় ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে প্রাণ হারালো আরও ৭১ ফিলিস্তিনি

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী নিজ বাসভবনে হামলার শিকার, গ্রেপ্তার ১
