avertisements 2

আল-আকসায় শুধু মুসলিমরাই প্রবেশ করতে পারবে

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৩ এপ্রিল,বৃহস্পতিবার,২০২৩ | আপডেট: ১০:০২ পিএম, ১৭ মে,শুক্রবার,২০২৪

Text

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শেষ রমজান পর্যন্ত আল-আকসা মসজিদ কমপ্লেক্স থেকে সব ইহুদি এবং অমুসলিম দর্শনার্থীদের নিষিদ্ধ করা হলো। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) নাবলুসে দুই ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করার পর এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল।

ঊর্ধ্বতন প্রতিরক্ষা সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর (প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন) নেতানিয়াহু এই সিদ্ধান্তের কথা ওই বিবৃতিতে জানান।

গত সপ্তাহে আল-আকসা মসজিদের ভেতর ধ্বংসযজ্ঞ চালায় ইসরায়েলের পুলিশ। এর জেরে নতুন করে সহিংসতা বাড়ে। ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে গাজা, লেবানন এবং সিরিয়া থেকে রকেট ছোড়া হয়। এ ছাড়া ফিলিস্তিনি সশস্ত্র যোদ্ধারা এর প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করেন। এর জেরে সাময়িক সময়ের জন্য আল-আকসায় অমুসলিমদের যাতায়াত বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। আল-আকসা ইহুদিদের কাছে টেম্পল মাউন্ট হিসেবে পরিচিত। এ নিষেধাজ্ঞা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি ফিলিস্তিন।

আল-আকসায় অমুসলিমদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে রমজান মাস শেষ হওয়া পর্যন্ত। রমজান মাসের শেষ ১০ দিনের মধ্যে আছে লাইলাতুল কদর। এই শেষ ১০ দিন মুসলিমদের জন্য বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এই সময় তারা বেশি বেশি ইবাদত করেন।

এ বছর রমজানের শুরুতে ইসরায়েলি পুলিশ বাহিনী অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের পবিত্র আল-আকসা মসজিদের ভেতরে নামাজরত মুসলিমদের ওপর হামলা চালায়। ইসরায়েলি বাহিনী নিয়মিতভাবেই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ শেষে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের মসজিদের আশপাশ থেকে সরিয়ে দেয়। বিশেষ করে রাতে এবং ফজরের নামাজের পরে। এভাবে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা সেখানে তাদের মসৃণ অনুপ্রবেশ নিশ্চিত করে।

গত এক বছর ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে সংঘর্ষ অনেক বেড়েছে। এবার রমজান মাস আসার পর উত্তেজনা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও পবিত্র রমজানে পাসওভার উপলক্ষে ইহুদিরা আল-আকসায় প্রবেশের চেষ্টা চালিয়েছে। আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী, আল-আকসা মসজিদ একটি ইসলামিক স্থান। যেখানে অমুসলিমদের অযাচিত পরিদর্শন, প্রার্থনা এবং আচার-অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ। কিন্তু ইসরায়েল দীর্ঘকাল ধরে এই চুক্তি লঙ্ঘন করে আসছে। আল-আকসায় ইসরায়েলি বাহিনী প্রতিদিন অভিযান চালাতে পারে। এ ছাড়া ফিলিস্তিন বা জর্দানের অনুমতি ছাড়াই তারা সেখানে প্রার্থনা এবং ধর্মীয় আচার পালন করে। যারা জেরুজালেমের ইসলামিক ও খ্রিস্টান জায়গাগুলোর রক্ষক।

ইসরায়েলি বাহিনী ইতিমধ্যেই আল-আকসা মসজিদে কারা প্রবেশ করতে পারবে এবং কখন পারবে তা নির্ধারণ করে দিয়েছে। ফিলিস্তিনিরা বলছে এটা ধর্মীয় স্বাধীনতার লঙ্ঘন।

সূত্র : মিডল ইস্ট আই

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2