avertisements 2

মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ‘ভয়ঙ্কর’ হয়ে উঠেছে: যুক্তরাষ্ট্র

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৬:২৬ পিএম, ২৮ মার্চ,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০২:৫৫ পিএম, ২৬ এপ্রিল,শুক্রবার,২০২৪

Text

মিয়ানমারের শনিবার সামরিক অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ ১১৪ জন নিহতের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, দেশটির সামরিক জান্তা ‘ভয়ঙ্কর’ হয়ে উঠেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্তনি ব্লিনকেন বলেছেন, মিয়ানমারের সাহসী মানুষ সেনাবাহিনীর সন্ত্রাসবাদের রাজত্বকে প্রত্যাখ্যান করেছে। খবর আলজাজিরার।

এর আগে মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়, নিরাপত্তা বাহিনী নিরস্ত্র বেসামরিক লোকজনকে হত্যা করছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসও শনিবার শতাধিক বিক্ষোভকারীর প্রাণহানির ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন।

শনিবার দেশটির সশস্ত্র বাহিনী দিবসে এই হত্যাযজ্ঞে মেতে ওঠে নিরাপত্তা বাহিনী। দিনটিকে বিক্ষোভকারীরা দেশটির সশস্ত্রবাহিনীর জন্য লজ্জা দিবস বলে আখ্যায়িত করেছেন। এদিন নিহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। ইয়াঙ্গুন, মান্দালয় ও অন্য শহরে সেনাবাহিনীর মাথায় ও পিঠে গুলির হুমকি উপেক্ষা করে রাজপথে নেমে আসেন জান্তাবিরোধীরা।

স্থানীয় সময় শনিবার রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ১১৪ জন নিহত হয়েছেন। মান্দালয়ে নিহত ২৯ জনের মধ্যে একজনের বয়স ৫ বছর। ইয়াঙ্গুনে নিহত হয়েছেন ২৪ জন।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীপ্রধান মিন অং হ্লাইং বলেছেন, তারা গণতন্ত্র রক্ষা করতে ক্ষমতায় এসেছেন। নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিলেও তার কোনো সময়সীমা উল্লেখ করেননি তিনি।

সেনাপ্রধান বলেন, গণতন্ত্র রক্ষায় পুরো দেশের সঙ্গে হাত মেলাতে চায় সেনাবাহিনী। দাবি আদায়ে সহিংসতার মাধ্যমে স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করা ঠিক নয়।

উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এরপর থেকেই দেশটিতে বিক্ষোভ চলছে।

বিক্ষোভকারীরা সু চির মুক্তির পাশাপাশি বেসামরিক কর্তৃপক্ষের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন। এসব বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে এরই মধ্যে নিহত হয়েছেন চার শতাধিক।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2