avertisements 2

 ডিবি পরিচয়ে ছাত্রদল নেতাকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১০ অক্টোবর,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০১:০৫ এএম, ১৪ মে,মঙ্গলবার,২০২৪

Text

বরিশালের ছাত্রদল নেতা ফোরকান হোসেন ইরানকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়ার ১৭ ঘণ্টা পরও সন্ধান মেলেনি। নগরীর গোড়াচাদ দাস রোড থেকে থেকে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার পরপরই ইরানের বন্ধুরা কোতোয়ালী মডেল থানা, মেট্রোপলিটন ও জেলা গোয়েন্দা বিভাগের কার্যালয়ে গেলে সেখান থেকে তাদের কোনো তথ্য দিতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা।
এ ঘটনায় রবিবার (৯ অক্টোবর) সকালে কোতোয়ালী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ইরানের সঙ্গে থাকা তার চাচাতো ভাই মো. রাব্বি।

ইরান বরিশাল জেলা ছাত্রদলের ১নং সহ-সাধারণ সম্পাদক। নগরীর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গ্লোবাল ভিলিজে বিবিএ অধ্যয়নরত। গোড়াচাদ দাস রোডের একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। উজিরপুর এলাকার বাসিন্দা আলাম চান সরদারের ছেলে ইরান।

ইরানের সঙ্গে থাকা চাচাতো ভাই মো. রাব্বি বলেন, তার ব্যক্তিগত মোবাইল সেট অচল হয়ে পড়ায় শনিবার বিকালে তা সচল করতে নগরীতে আসেন। চাচাতো ভাই ইরানকে সাথে নিয়ে সদর রোড থেকে মোবাইল ঠিক করেন। এরপর হাঁটতে হাঁটতে ইরানের ভাড়া বাসার দিকে দুইজন মিলে যাচ্ছিলেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঈর্ষবসু রোডের মাথায় আওয়ামী লীগ কার্যালয় অতিক্রম করার পরপরই একটি সাদা মাইক্রোবাস এসে তাদের গতিরোধ করে। তারা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দেয়। গেঞ্জি পরিহিতরা ইরানকে জিজ্ঞাসা করেন- আপনার নাম কি ইরান? হ্যাঁ উত্তর দিলে ডিবি কার্যালয়ে যাওয়ার জন্য মাইক্রোবাসে উঠতে বলেন তারা। এ সময় ইরান তার ব্যবহৃত মোবাইল সেটটি রাব্বির হাতে দিয়ে মাইক্রোবাসে ওঠেন।

রাব্বি আরও বলেন, ডিবি পরিচয়ধারীদের কাছে জিজ্ঞাসা করলে তারা জানান থানায় খবর নেবেন। তাকে নিয়ে যাওয়ার পরপরই বিভিন্ন স্থানে খবর দিয়ে ইরানের বন্ধু ও স্বজনদের সাথে নিয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় গিয়ে কোনও সন্ধান পাইনি। সেখান থেকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিমুল করিম একজন এসআইকে সাথে দিয়ে দেন। তাকে এনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করাই। এরপর জেলা ও মেট্রোপলিটন ডিবি অফিসে গিয়েও ইরানের সন্ধান মেলেনি। সেখানকার কর্মরতরা জানিয়েছেন তারা এ সম্পর্কে কিছুই জানেন না।

রাব্বি বলেন, রবিবার সকালে কোতোয়ালী মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে গেলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডায়েরি না করে অভিযোগ আকারে রেখে দেন। এরপর থানা থেকে এসআই মহিউদ্দিনকে সাথে দেওয়া হয়। এসআই মহিউদ্দিন ঘটনাস্থলে এসে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

এ ব্যাপারে কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিমুল করিম বলেন, বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হচ্ছে। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2